পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি-কেন্দ্রে মোবাইলফোন নিষিদ্ধ করতে হবে
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন নতুন বিষয় নয়। এটা সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়েরই বহিঃপ্রকাশ। একসময় এই দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরীক্ষায় নকলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বস্তাভর্তি নকল উদ্ধার করার সংবাদও প্রকাশিত হতো।
হালে নকল-প্রবণতা কমে গেছে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলে। পাবলিক পরীক্ষাগুলো এখন অনেকাংশে নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু অসদুপায় অবলম্বনের মানসিকতা পোষণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে গেছে- এমনটা বলা যাবে না। সে রকম প্রমাণ পাওয়া যায় বিসিএস কিংবা চাকরিপ্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় নকল করা কিংবা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেলেঙ্কারির মাধ্যমে। কিন্তু সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে যে পন্থায় নকল বা অসদুপায় অবলম্বন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাকে শুধু অভিনব বলা হলেও যেন কমই বলা হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি চক্র। পয়সার বিনিময়ে তারা পরীক্ষার্থীকে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেই সুবিধা প্রদান করছে। এ কাজে তারা ব্যবহার করছে মোবাইল ফোন। আর সেই মোবাইল ফোনে খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর টেবিলে চলে যাচ্ছে প্রশ্নের জবাব। কোনো কাগজপত্র ছাড়াই এই নকল চলছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জবাব পাঠাচ্ছে পরীক্ষার হলের বাইরে থাকা পরীক্ষার্থীর কুকর্মের দোসররা। তবে আশার কথা হলো, এই পদ্ধতিও পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চোখে ধরা পড়ে গেছে। সুতরাং এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোনসেট ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসেট রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এটা শুধু নকল বন্ধ করার প্রয়োজনেই নয়, পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট না করার প্রয়োজনেও জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে অসদুপায় অবলম্বনকারীদের সহযোগিতা করার জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসাটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানকালে দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মী মোবাইল ফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন করে আটক হলে তাকে ছাত্রলীগের নেতারা ছাড়িয়ে নিয়ে অত্যন্ত খারাপ উদাহরণ তৈরি করেছেন। এতে ছাত্ররাজনীতির দুর্নাম হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পরীক্ষায় অসদুপায় বন্ধ করা কঠিন হবে। অন্যরাও এই পথে যেতে অনুপ্রাণিত হবে। সুতরাং অন্যায়ের পথে যেন রাজনীতি পরিচালিত না হয়, সেদিকে ছাত্রসংগঠন ও এর মুরবি্ব রাজনৈতিক দলগুলোর নজর দেওয়াও প্রয়োজন।
উন্নত প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণ এনেছে, কিন্তু এর অপব্যবহার মানুষের অকল্যাণও করছে। প্রযুক্তিনির্ভর অসদুপায় বন্ধ করার জন্য সদিচ্ছাই যথেষ্ট। আমরা তা-ই দেখতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে অসদুপায় অবলম্বনকারীদের সহযোগিতা করার জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসাটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়, যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানকালে দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মী মোবাইল ফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন করে আটক হলে তাকে ছাত্রলীগের নেতারা ছাড়িয়ে নিয়ে অত্যন্ত খারাপ উদাহরণ তৈরি করেছেন। এতে ছাত্ররাজনীতির দুর্নাম হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পরীক্ষায় অসদুপায় বন্ধ করা কঠিন হবে। অন্যরাও এই পথে যেতে অনুপ্রাণিত হবে। সুতরাং অন্যায়ের পথে যেন রাজনীতি পরিচালিত না হয়, সেদিকে ছাত্রসংগঠন ও এর মুরবি্ব রাজনৈতিক দলগুলোর নজর দেওয়াও প্রয়োজন।
উন্নত প্রযুক্তি মানুষের কল্যাণ এনেছে, কিন্তু এর অপব্যবহার মানুষের অকল্যাণও করছে। প্রযুক্তিনির্ভর অসদুপায় বন্ধ করার জন্য সদিচ্ছাই যথেষ্ট। আমরা তা-ই দেখতে চাই।
No comments