৯৭ ভাগ সাংসদ নেতিবাচক কাজে জড়িতঃ টিআইবি
নবম জাতীয় সংসদের ৯৭ ভাগ সংসদ সদস্য বিভিন্ন নেতিবাচক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি। তবে কেউ কেউ কিছু ইতিবাচক কাজও করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত চার বছরে নবম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্যদের কার্যক্রমের ওপর টিআইবি প্রকাশিত একটি খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর ব্র্যাক-ইন সেন্টারে নবম জাতীয় সংসদের সদস্যদের ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভূমিকা পর্যালোচনা শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) শাহাজাদা এম আকরাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান এবং ট্রাস্টি হাফিজ উদ্দিন খান।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নেতিবাচক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে সরাসরি নির্বাচনে জয়ী নারী সদস্য ৭ জন, ২৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সবাই এবং বিরোধী দলের ৫ সংসদ সদস্য রয়েছেন।
মোট ১৪৯টি আসনের সাংসদদের কার্যক্রমের ওপর টিআইবি এ গবেষণা চালায়। ওই ১৪৯ আসনের এসব সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৪১ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। এদের মধ্যে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ১৩৬ জন ও বিরোধী দলের ১৩ জন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন ২৭ জন।
গবেষণায় অন্তর্ভূক্ত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ কোনো না কোনো ইতিবাচক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে নারী সংসদ সদস্য ৬ জন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন এবং বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ৫ জন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অবদান রাখা সংসদ সদস্যরা (৩৫%) নতুন অবকাঠামো নির্মাণ, ভূমি বরাদ্দ, অনুদান বরাদ্দ, চরাঞ্চলের চিকিৎসা সেবা, নতুন কোর্স চালু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় নিজ আসনে অবদান রাখছেন।
নেতিবাচক কার্যক্রমে জড়িত সংসদ সদস্যদের ৮১ দশমিক ৮ ভাগ স্থানীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ, জাতীয়-স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বদলি, নিয়োগ কার্যক্রমে প্রভাব সৃষ্টি করেন।
এছাড়া ৭৬ দশমিক ৯ ভাগ স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম থেকে সপ্তম অধিবেশন পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের গড় উপস্থিতি ছিল ৬৭ ভাগ। সংসদ সদস্যদের দেরিতে উপস্থিতির কারণে কোরাম সংকটের মোট সময় ৭ হাজার ৭৮৫ মিনিট। যার আর্থিক মূল্য ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
প্রধান বিরোধী দলের ধারাবাহিক সংসদ বর্জনের কারণে বিরোধী দলের সব সদস্য ২৫ ভাগের কম কার্য দিবসে উপস্থিত ছিলেন।
২৫৪ দিনের মধ্যে বিরোধী দল উপস্থিত ছিল মাত্র ৫৪ দিন।
অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ কার্যকর হয়নি
অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ কার্যকর হয়নি বলে মনে করে টিআইবি। সংস্থার নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “জনগণের দৃষ্টিতে নবম জাতীয় সংসদের প্রথম চার বছরে সংসদে এবং সংসদের বাইরে সংসদ সদস্যদের কার্যক্রমের ওপর চালানো টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে এ চিত্র। জনগণের দৃষ্টিতে জাতীয় সংসদ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “জনগণ মনে করে সংসদ সদস্যরা তাদের পদকে টাকা আয়ের উৎস বলে মনে করেন। এ কারণেই তারা তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্বকে (আইন প্রণয়ন) অবহেলা করেন এবং অর্থ উপার্জনের জন্য এলাকার উন্নয়ন কাজে অংশ নেন এবং বেশি করে মনোনিবেশ করেন।”
টিআইবির চেয়ারপার্সন এবং ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এক প্রশ্নের জবাবে এ সম্পর্কে বলেন, “এর পেছনে মনোনয়ন বেচাকেনা ও ভোটারদের দেওয়া প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি বড় কারণ।”
তিনি বলেন, “এটা হওয়া উচিত নয়। সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে কাজ আদায় করবেন, পরিকল্পনা পাশ করবেন, অর্থমন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড়ে ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু কাজ বাস্তবায়ন করবেন স্থানীয় সরকার ও নির্বাহীরা।”
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে সংসদ সদস্যরা যুক্ত হলে তা নির্বাহীদের জবাবদিহিতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলেও মত দেন তিনি।
টিআইবির সুপারিশ
টিআইবি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে কিছু সুপারিশও প্রকাশ করেছে। এগুলো হলো- সংসদ সদস্যদের স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ভূমিকা থেকে সরিয়ে আনতে হবে যাতে তারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারে। এজন্য আইন সংশোধন করতে হবে।
সংসদ সদস্যদের সংসদে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হলে বর্তমান ৯০ দিনের অনুমোদন কমিয়ে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া সর্বোচ্চ ৩০ তিন এবং একটানা সাত দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকা নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিরোধী দলের কার্যকর ও ন্যায় ভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিরোধীদল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করতে হবে এবং ডেপুটি স্পিকারের দল থেকে পদত্যাগ ও পরবর্তী নির্বাচনে একই আসন থেকে ডেপুটি স্পিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে। সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিসহ অন্তত ৫০ ভাগ স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধীদল থেকে নির্বাচন করতে হবে।
নিজদল থেকে স্পিকারের পদত্যাগ ও ডেপুটি স্পিকারের মতো তাকেও পরবর্তী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধান করতে হবে।
সংবিধানের ৭০ ধারা সংশোধন করে অনাস্থা প্রস্তাব, জাতীয় বাজেট, এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু বিষয় ছাড়া বাকি বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
আইন করে সংসদ বর্জন বন্ধ করা দরকার
টিআইবির ট্রাস্টি সদস্য এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, “বিশ্বের কোথাও অর্গানাইজডভাবে সংসদ বর্জনের ইতিহাস নেই। কেবল মাত্র বাংলাদেশেই এটা সম্ভব। সব জায়গায় ওয়াক আউট আছে।”
তিনি বলেন, “যে সংসদ সদস্য সংসদ বর্জন করেন, তার এলাকা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা থেকে বঞ্চিত হয়। এতে ওই সংসদ সদস্যের রাষ্ট্রের কাছ থেকে নেওয়া সুযোগ সুবিধা এবং বেতন-ভাতা অবৈধ বলে গণ্য হয়।”
বেসরকারি বিল
টিআইবির নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আমাদের দেশে বেসরকারি বিল আমলে নেওয়া হয় না। অবশ্য পৃথিবীর সব দেশের চিত্রই প্রায় এক রকম।”
তিনি বলেন, “আমি কখনোই বলব না সব সংসদ সদস্যের অবস্থা নেতিবাচক। তবে আমাদের দেশের রাজনীতি হলো, ক্ষমতায় গেলে সব পেয়েছি এবং ক্ষমতা থেকে গেলে সব হারিয়েছি। এসবের পরও আমাদের জনগণের কাছেই ভরসা করতে হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান এবং ট্রাস্টি হাফিজ উদ্দিন খান।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নেতিবাচক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে সরাসরি নির্বাচনে জয়ী নারী সদস্য ৭ জন, ২৭ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সবাই এবং বিরোধী দলের ৫ সংসদ সদস্য রয়েছেন।
মোট ১৪৯টি আসনের সাংসদদের কার্যক্রমের ওপর টিআইবি এ গবেষণা চালায়। ওই ১৪৯ আসনের এসব সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৪১ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। এদের মধ্যে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ১৩৬ জন ও বিরোধী দলের ১৩ জন।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন ২৭ জন।
গবেষণায় অন্তর্ভূক্ত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ কোনো না কোনো ইতিবাচক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে নারী সংসদ সদস্য ৬ জন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন এবং বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ৫ জন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অবদান রাখা সংসদ সদস্যরা (৩৫%) নতুন অবকাঠামো নির্মাণ, ভূমি বরাদ্দ, অনুদান বরাদ্দ, চরাঞ্চলের চিকিৎসা সেবা, নতুন কোর্স চালু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় নিজ আসনে অবদান রাখছেন।
নেতিবাচক কার্যক্রমে জড়িত সংসদ সদস্যদের ৮১ দশমিক ৮ ভাগ স্থানীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ, জাতীয়-স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বদলি, নিয়োগ কার্যক্রমে প্রভাব সৃষ্টি করেন।
এছাড়া ৭৬ দশমিক ৯ ভাগ স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম থেকে সপ্তম অধিবেশন পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের গড় উপস্থিতি ছিল ৬৭ ভাগ। সংসদ সদস্যদের দেরিতে উপস্থিতির কারণে কোরাম সংকটের মোট সময় ৭ হাজার ৭৮৫ মিনিট। যার আর্থিক মূল্য ৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
প্রধান বিরোধী দলের ধারাবাহিক সংসদ বর্জনের কারণে বিরোধী দলের সব সদস্য ২৫ ভাগের কম কার্য দিবসে উপস্থিত ছিলেন।
২৫৪ দিনের মধ্যে বিরোধী দল উপস্থিত ছিল মাত্র ৫৪ দিন।
অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ কার্যকর হয়নি
অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ কার্যকর হয়নি বলে মনে করে টিআইবি। সংস্থার নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “জনগণের দৃষ্টিতে নবম জাতীয় সংসদের প্রথম চার বছরে সংসদে এবং সংসদের বাইরে সংসদ সদস্যদের কার্যক্রমের ওপর চালানো টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে এ চিত্র। জনগণের দৃষ্টিতে জাতীয় সংসদ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “জনগণ মনে করে সংসদ সদস্যরা তাদের পদকে টাকা আয়ের উৎস বলে মনে করেন। এ কারণেই তারা তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্বকে (আইন প্রণয়ন) অবহেলা করেন এবং অর্থ উপার্জনের জন্য এলাকার উন্নয়ন কাজে অংশ নেন এবং বেশি করে মনোনিবেশ করেন।”
টিআইবির চেয়ারপার্সন এবং ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এক প্রশ্নের জবাবে এ সম্পর্কে বলেন, “এর পেছনে মনোনয়ন বেচাকেনা ও ভোটারদের দেওয়া প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি বড় কারণ।”
তিনি বলেন, “এটা হওয়া উচিত নয়। সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে কাজ আদায় করবেন, পরিকল্পনা পাশ করবেন, অর্থমন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড়ে ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু কাজ বাস্তবায়ন করবেন স্থানীয় সরকার ও নির্বাহীরা।”
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে সংসদ সদস্যরা যুক্ত হলে তা নির্বাহীদের জবাবদিহিতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলেও মত দেন তিনি।
টিআইবির সুপারিশ
টিআইবি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের সঙ্গে কিছু সুপারিশও প্রকাশ করেছে। এগুলো হলো- সংসদ সদস্যদের স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ভূমিকা থেকে সরিয়ে আনতে হবে যাতে তারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারে। এজন্য আইন সংশোধন করতে হবে।
সংসদ সদস্যদের সংসদে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হলে বর্তমান ৯০ দিনের অনুমোদন কমিয়ে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া সর্বোচ্চ ৩০ তিন এবং একটানা সাত দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকা নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিরোধী দলের কার্যকর ও ন্যায় ভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিরোধীদল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করতে হবে এবং ডেপুটি স্পিকারের দল থেকে পদত্যাগ ও পরবর্তী নির্বাচনে একই আসন থেকে ডেপুটি স্পিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে। সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিসহ অন্তত ৫০ ভাগ স্থায়ী কমিটির সভাপতি বিরোধীদল থেকে নির্বাচন করতে হবে।
নিজদল থেকে স্পিকারের পদত্যাগ ও ডেপুটি স্পিকারের মতো তাকেও পরবর্তী নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধান করতে হবে।
সংবিধানের ৭০ ধারা সংশোধন করে অনাস্থা প্রস্তাব, জাতীয় বাজেট, এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু বিষয় ছাড়া বাকি বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
আইন করে সংসদ বর্জন বন্ধ করা দরকার
টিআইবির ট্রাস্টি সদস্য এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, “বিশ্বের কোথাও অর্গানাইজডভাবে সংসদ বর্জনের ইতিহাস নেই। কেবল মাত্র বাংলাদেশেই এটা সম্ভব। সব জায়গায় ওয়াক আউট আছে।”
তিনি বলেন, “যে সংসদ সদস্য সংসদ বর্জন করেন, তার এলাকা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা থেকে বঞ্চিত হয়। এতে ওই সংসদ সদস্যের রাষ্ট্রের কাছ থেকে নেওয়া সুযোগ সুবিধা এবং বেতন-ভাতা অবৈধ বলে গণ্য হয়।”
বেসরকারি বিল
টিআইবির নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আমাদের দেশে বেসরকারি বিল আমলে নেওয়া হয় না। অবশ্য পৃথিবীর সব দেশের চিত্রই প্রায় এক রকম।”
তিনি বলেন, “আমি কখনোই বলব না সব সংসদ সদস্যের অবস্থা নেতিবাচক। তবে আমাদের দেশের রাজনীতি হলো, ক্ষমতায় গেলে সব পেয়েছি এবং ক্ষমতা থেকে গেলে সব হারিয়েছি। এসবের পরও আমাদের জনগণের কাছেই ভরসা করতে হবে।”
No comments