শিক্ষার্থীরা কার পায়ে কুড়াল মারছেন?-কুয়েটে সহিংসতা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে যে সহিংস ঘটনা ঘটে গেল, তা যারপরনাই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি আবাসিক হলের বার্ষিক ভোজে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ রকম গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, তা ভাবাই যায় না। অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৮৮৫ টাকা চাঁদা নিয়ে বার্ষিক ভোজের আয়োজন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, টাকার তুলনায়
খাবারের মান খারাপ। তাই প্রতিবাদ ও চাঁদার টাকার হিসাব চেয়ে তদন্তের দাবি। এসব নিয়ে বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করেন তাঁদের চার শিক্ষককে। রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সেখানে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে দিয়ে এই মর্মে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন যে ভোজন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরই কেবল মুক্তি ঘটে অবরুদ্ধ চার শিক্ষকের।
ভোজন কমিটির সদস্যরা সরকারপন্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। পরদিন ভরদুপুরে চাপাতি, রামদা, রড, লাঠি, শিকল ইত্যাদি নিয়ে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী অমর একুশে হলের ফটকের তালা ভেঙে ঢুকে পড়লেন; সামনে যাকে পেলেন তাকেই পেটালেন, কোপালেন; ভাঙচুর চালালেন কক্ষে কক্ষে। গুরুতরভাবে জখম করলেন অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে। একটি আবাসিক হলে এই আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ল সারা ক্যাম্পাসে। এর প্রতিক্রিয়া হলো আরও মারাত্মক ও মূঢ়তাপূর্ণ: সাধারণ শিক্ষার্থী হামলা চালালেন খোদ উপাচার্যের বাসভবনে ও প্রশাসনিক ভবনে। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবন থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন উপাচার্য-পত্নীকে। পুলিশের হস্তক্ষেপের ফলে তা ঘটেনি, কিন্তু উপাচার্যের ১৩ বছর বয়সী মেয়ে আহত হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভোজন কমিটির সদস্য ও তাঁদের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী—উভয় পক্ষের আচরণই ন্যক্কারজনক। এসব ঘটনা থেকে শিক্ষার্থীদের বলপ্রয়োগের প্রবণতাই মুখ্য হয়ে ফুটে উঠেছে। এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। প্রশ্ন উঠে আসে: শিক্ষার্থীরা এভাবে কার পায়ে কুড়াল মারছেন?
বার্ষিক ভোজের চাঁদার টাকার তদন্ত হোক; নয়ছয় হয়ে থাকলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সহিংস ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। সহিংসতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হয়েছে; শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আবার তা খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ফিরে যাক।
ভোজন কমিটির সদস্যরা সরকারপন্থী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। পরদিন ভরদুপুরে চাপাতি, রামদা, রড, লাঠি, শিকল ইত্যাদি নিয়ে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী অমর একুশে হলের ফটকের তালা ভেঙে ঢুকে পড়লেন; সামনে যাকে পেলেন তাকেই পেটালেন, কোপালেন; ভাঙচুর চালালেন কক্ষে কক্ষে। গুরুতরভাবে জখম করলেন অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে। একটি আবাসিক হলে এই আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ল সারা ক্যাম্পাসে। এর প্রতিক্রিয়া হলো আরও মারাত্মক ও মূঢ়তাপূর্ণ: সাধারণ শিক্ষার্থী হামলা চালালেন খোদ উপাচার্যের বাসভবনে ও প্রশাসনিক ভবনে। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবন থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন উপাচার্য-পত্নীকে। পুলিশের হস্তক্ষেপের ফলে তা ঘটেনি, কিন্তু উপাচার্যের ১৩ বছর বয়সী মেয়ে আহত হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভোজন কমিটির সদস্য ও তাঁদের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী—উভয় পক্ষের আচরণই ন্যক্কারজনক। এসব ঘটনা থেকে শিক্ষার্থীদের বলপ্রয়োগের প্রবণতাই মুখ্য হয়ে ফুটে উঠেছে। এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। প্রশ্ন উঠে আসে: শিক্ষার্থীরা এভাবে কার পায়ে কুড়াল মারছেন?
বার্ষিক ভোজের চাঁদার টাকার তদন্ত হোক; নয়ছয় হয়ে থাকলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সহিংস ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। সহিংসতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হয়েছে; শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আবার তা খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ফিরে যাক।
No comments