জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় চার্জশিট শিগগির-ভৈরব সেতু নির্মাণে খালেদার দুর্নীতি পায়নি দুদক by হকিকত জাহান হকি

ভৈরব সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৭ সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের সময় এ ব্রিজ নির্মাণে প্রায় ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিজে লাভবান হওয়া বা অন্যকে লাভবান হতে সহায়তা করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।


এদিকে জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করে অবৈধ উৎস থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা সংগ্রহ ও খরচের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম
খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিট আদালতে পেশ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনূর রশীদ বাদী হয়ে গত বছরের ৮ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁও থানায় মামলা করেছিলেন।
সোমবার দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভৈরব ব্রিজ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়। সভায় কমিশনার মোঃ বদিউজ্জামান ও সাহাবউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার খবরটি প্রকাশ হলে সাংবাদিকরা দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানতে চান। এ সময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নিজের স্বার্থে কাজ করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ৯৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। অভিযুক্তরা সে সময় সরকারের ভেতরে থেকে নিজে লাভবান হওয়া ও অন্যকে লাভবান হতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ওই পরিমাণ টাকা দেননি। ঠিকাদার কোম্পানিকে ওই পরিমাণ টাকা প্রদান ছিল যথার্থ।
সূত্র জানায়, চারদলীয় জোট সরকারের সময় ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্যদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অভিযুক্তের মধ্যে সাবেক যোগাযোগ সচিব শফিকুল ইসলামসহ সে সময়কার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান ও এলজিআরডি মন্ত্রী আবদুুল মান্নান ভূঁইয়া মৃত্যুবরণ করায় এর আগেই অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.