২০১১ সেরা টেস্ট একাদশ
স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটের রূপরসে ভরপুর ছিল গেল বছরটি। লর্ডস, ট্রেন্টব্রিজ, নিউল্যান্ড, জোহানেসবার্গ, মুম্বই, হোবার্ট, মেলবোর্ন, ডারবানের মতো মাঠগুলো মেতেছে খেলোয়াড়ি নৈপুণ্যে। আর গ্যালারি মাতিয়েছেন ক্রিকেটভক্ত দর্শকরা। বছরজুড়ে ক্রিকেটে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে সেরাদের নিয়ে বিশ্ব একাদশ গড়লে তা কেমন হবে? ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো’র বিশেষজ্ঞরা ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন কৌতূহল পূরণ করেছেন ইতিমধ্যে। পারফরমেন্সের ভিত্তিতে গড়েছেন ২০১১ সেরা বিশ্ব একাদশ। ক্রিকইনফোর ১৮ জন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছে এ একাদশ। বছরজুড়ে চমৎকার ব্যাটিংয়ে পুরো ১৮ ভোট নিজের দিকে টেনে এ দলে ঢুকেছেন ইংলিশ টপঅর্ডার অ্যালিস্টার কুক। ১৬টি করে ভোট পেয়ে একাদশে স্থান পেয়েছেন ২০১১ সালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের রাহুল দ্রাবিড় ও ইংল্যান্ডের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়ান বেল। তবে প্রশ্নমুক্ত থাকেনি নির্বাচিত এ একাদশ। শ্রীলঙ্কার ড্যাশিং ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারার জায়গা হয়নি এ দলে। এতে প্রশ্ন ওঠাই অস্বাভাবিক নয়। ব্যাটিংয়ে বর্তমান আইসিসি র্যাংকিংয়ে এক নম্বর স্থানটি কুমার সাঙ্গাকারার। এ লঙ্কানের পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৫টি। এ দলের উইকেটরক্ষকের গ্লাভস ইংলিশ ম্যাট প্রায়রের হাতে উঠেছে মোটামুটি অবাধে। দারুণ নৈপুণ্যে প্রোটিয়া পেসার ভ্যারনন ফিল্যান্ডার আলোচনায় এসেছেন; একাদশে নয়।
অ্যালিস্টার কুক
৮৪.২৭ গড়ে ৯২৭ রান
আগের বছরটি দারুণ ফর্ম দেখিয়েছিলেন কুক। ২০১১ সালে এ ধারা বজায় থাকে কিনা এটা দেখার বিষয় ছিল। তবে বছরের শুরুতেই সিডনি টেস্টে কুকের ১৮৯ রান জানান দেয় ধারাবাহিক ফর্মের। অ্যাশেজের ওই সিরিজে তোলেন ৭৬৬ রান। পরের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৩৯০। ভারতের বিপক্ষে নিজ মাটিতে সিরিজের শুরুতে সেরূপে দেখা না গেলেও এর শেষটায় স্পট লাইটের সব আলো টেনে নেন নিজের দিকে। এজবাস্টন টেস্টে ১৩ ঘণ্টার ব্যক্তিগত ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইংলিশদের রেকর্ডটি ভেঙে দিচ্ছিলেন প্রায়। কিন্তু ২৯৪ রানে ধৈর্য হারান কুক। হারান সে সুযোগও। ১৯৯০ সালে গ্রাহাম গুচের করা ৩৩৩ রান ইংলিশদের মধ্যে এযাবৎ সর্বোচ্চ।
মোহাম্মদ হাফিজ
৪০.৪৩ গড়ে ৬৪৭ রান, ২৫.৯৩ গড়ে উইকেট ১৫টি
জিম্বাবুয়ে সফর থেকে অপরাজিত তিন সিরিজে পাকিস্তানের সবচেয়ে কার্যকর পারফরমার। বুলাওয়ে ও চট্টগ্রামে দুই শতকের সঙ্গে বল হাতেও ছিলেন উজ্জ্বল। আর বছরের শেষে উজ্জ্বল বল হাতে নিয়ে হয়ে যান ইতিহাসেরও সাক্ষী। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শক্ত-চকচকে নতুন বলে প্রতিপক্ষ ইনিংসের শুরুতে স্পিন আক্রমণে যেতে দেখা যায় হাফিজকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে।
রাহুল দ্রাবিড়
৫৭.২৫ গড়ে ১১৪৫ রান
২০১১ সালে হাজার রান ছাড়াতে পেরেছেন মাত্র দু’জন ব্যাটসম্যান। এক নম্বরে দ্রাবিড়। কেতাবি ব্যাটিংয়ে দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং পজিশন বদলাতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু বদলায়নি তার ভাল ফর্ম। দলের কঠিন সময়ে সেঞ্চুরি তোলেন জ্যামাইকা ও ট্রেন্টব্রিজে। আবার দলের প্রয়োজনে ওপেন করতে নেমে টানা শতক নটিংহ্যাম ও ওভাল টেস্টে।
কেভিন পিটারসেন
৭৩.১০ গড়ে ৭৩১ রান
প্রতিশ্রুতি নিয়েই ২০০৫ সালে ক্যারিয়ার শুরু কেভিন পিটারসেনের। কিন্তু ধারাবাহিক থাকেনি তার ব্যাট। তবে শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সব সময় জোরালো তার পারফরমেন্স। ২০০০তম টেস্টে লর্ডসে দেখালেন লম্বা ঘরানার ক্রিকেটের ব্যাটিং বিদ্যা। ইনিংসের শুরু রয়ে সয়ে উইকেট সামলে রেখে ক্রিজে কাটিয়ে দেন দীর্ঘ সময়। টানা বোলিংয়ে ক্লান্ত বোলারদের ওপর পরে চড়াও হয়ে তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি।
ইয়ান বেল
১১৮.৭৫ গড়ে ৯৫০ রান
বছরজুড়ে নৈপুণ্য বিচারে এ একাদশের সবচেয়ে সাবলীল ব্যাটসম্যান। সিডনিতে নিজের প্রথম অ্যাশেজ-শতক, পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি। কিন্তু ট্রেন্টব্রিজে ভারতের বিপক্ষে শতকটিকে আলাদা চোখে দেখছেন বোদ্ধারাও। জীবন্ত, ভয়ঙ্কর পিচে নেমেছিলেন অপরিচিত ব্যাটিং পজিশনে। জনাথন ট্রটের ইনজুরিতে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে যাওয়া বেল শতক হাঁকান অবলীলায়। এ ম্যাচে বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনার অন্যতম নায়কও তিনি। অন্যায্য আউট ঘোষিত বেলকে চা-বিরতিতে ফের মাঠে ফিরিয়ে আনেন ভারত দলপতি ধোনি। তবে ততক্ষণে ১৩৭ রানে ছিলেন তিনি।
ড্যারেন ব্রাভো
৪৯.৯৪ গড়ে ৯৪৯ রান
ধূসর নৈপুণ্যের ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে বছরের শেষটায় আলো ছড়িয়েছেন তরুণ এ ব্যাটসম্যান। প্রথম শতক বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাও আবার ১৯৫। পরের সিরিজেই ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের ভুগিয়ে তুলে নেন ১৬৬ রান। তার ব্যাটিং কেতা-ঢংয়ে লারা উঠে আসে দর্শকদের চোখে। আর বিষয়টি জিইয়ে রাখতেই বুঝি অভূতপূর্ব মিল পাওয়া গেল লারার সঙ্গে এক পরিসংখ্যানে। ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ টেস্টে ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১ রান সংগ্রহ ছিল ব্রায়ান লারার। আর ব্রাভো তার জীবনের প্রথম ১২ টেস্টে ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১ রান সংগ্রহ করেন। পরিসংখ্যানটা হুবহু।
ম্যাট প্রায়র
৬৪.৮৭ গড়ে ৫১৯ রান, ৩৪ ক্যাচ ২ স্টাম্পিং
দলকে উজ্জীবিত রাখতে মাঠে সারাক্ষণ কথা বলেন প্রায়র। বিষয়টি বহু কানে শোনা। তবে বছরজুড়ে প্রায়রের ব্যাটিং পারফরমেন্সটাও ছিল চোখ চেয়ে দেখার মতো। ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে যাওয়া প্রায়রের এ বছর সেঞ্চুরি ৩টি। তার একটি লর্ডসে। শুদ্ধ ও কার্যকর ঢংয়ে কভার ড্রাইভ খেলতে পারেন, এমন হাতেগোনাদের একজন তিনি।
স্টুয়ার্ট ব্রড
২২.৩০ গড়ে ৩৩ উইকেট
৩৯.৮৩ গড়ে ২৩৯ রান
বছরের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে ব্রডকে। তারপরও টেস্টে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বছর শেষে ব্যাট-বলে উজ্জ্বল এ ইংলিশই।
ডেল স্টেইন
১৯.৫৭ গড়ে ২৮ উইকেট
এ বছর মাত্র ৫টি টেস্ট খেলতে পেরেছেন স্টেইন। কিন্তু এতেই যথেষ্ট সামর্থ্য দেখিয়ে রেখেছিলেন স্টেইন বিশ্ব একাদশে জায়গা পেতে। কেপটাউন টেস্টে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে মাঠের লড়াই, আর পরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজে বারবার নিজেকে চিনিয়েছেন প্রতিপক্ষদের।
সাঈদ আজমল
২৩.৮৬ গড়ে ৫০ উইকেট
তার স্পিন ‘দুসরা’র মতোই কার্যকর ছিল বছরজুড়ে। পাকিস্তানের তিনটি সিরিজ জয়ে বল হাতে মুখ্য ভূমিকা ছিল সাঈদ আজমলের। এ বছর তার অর্জন একথাই বলে। বছরের একমাত্র অর্ধশত উইকেট শিকারি তিনি।
জেমস অ্যান্ডারসন
২৪.৮৫ গড়ে ৩৫ উইকেট
স্টেইনের সঙ্গে পেস জুটি সাজাতে বছরজুড়ে টেস্ট নৈপুণ্যে অ্যান্ডারসনই হয়েছেন নির্বাচকদের সেরা পছন্দ।'
অ্যালিস্টার কুক
৮৪.২৭ গড়ে ৯২৭ রান
আগের বছরটি দারুণ ফর্ম দেখিয়েছিলেন কুক। ২০১১ সালে এ ধারা বজায় থাকে কিনা এটা দেখার বিষয় ছিল। তবে বছরের শুরুতেই সিডনি টেস্টে কুকের ১৮৯ রান জানান দেয় ধারাবাহিক ফর্মের। অ্যাশেজের ওই সিরিজে তোলেন ৭৬৬ রান। পরের সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৩৯০। ভারতের বিপক্ষে নিজ মাটিতে সিরিজের শুরুতে সেরূপে দেখা না গেলেও এর শেষটায় স্পট লাইটের সব আলো টেনে নেন নিজের দিকে। এজবাস্টন টেস্টে ১৩ ঘণ্টার ব্যক্তিগত ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ইংলিশদের রেকর্ডটি ভেঙে দিচ্ছিলেন প্রায়। কিন্তু ২৯৪ রানে ধৈর্য হারান কুক। হারান সে সুযোগও। ১৯৯০ সালে গ্রাহাম গুচের করা ৩৩৩ রান ইংলিশদের মধ্যে এযাবৎ সর্বোচ্চ।
মোহাম্মদ হাফিজ
৪০.৪৩ গড়ে ৬৪৭ রান, ২৫.৯৩ গড়ে উইকেট ১৫টি
জিম্বাবুয়ে সফর থেকে অপরাজিত তিন সিরিজে পাকিস্তানের সবচেয়ে কার্যকর পারফরমার। বুলাওয়ে ও চট্টগ্রামে দুই শতকের সঙ্গে বল হাতেও ছিলেন উজ্জ্বল। আর বছরের শেষে উজ্জ্বল বল হাতে নিয়ে হয়ে যান ইতিহাসেরও সাক্ষী। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শক্ত-চকচকে নতুন বলে প্রতিপক্ষ ইনিংসের শুরুতে স্পিন আক্রমণে যেতে দেখা যায় হাফিজকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে।
রাহুল দ্রাবিড়
৫৭.২৫ গড়ে ১১৪৫ রান
২০১১ সালে হাজার রান ছাড়াতে পেরেছেন মাত্র দু’জন ব্যাটসম্যান। এক নম্বরে দ্রাবিড়। কেতাবি ব্যাটিংয়ে দলের প্রয়োজনে ব্যাটিং পজিশন বদলাতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু বদলায়নি তার ভাল ফর্ম। দলের কঠিন সময়ে সেঞ্চুরি তোলেন জ্যামাইকা ও ট্রেন্টব্রিজে। আবার দলের প্রয়োজনে ওপেন করতে নেমে টানা শতক নটিংহ্যাম ও ওভাল টেস্টে।
কেভিন পিটারসেন
৭৩.১০ গড়ে ৭৩১ রান
প্রতিশ্রুতি নিয়েই ২০০৫ সালে ক্যারিয়ার শুরু কেভিন পিটারসেনের। কিন্তু ধারাবাহিক থাকেনি তার ব্যাট। তবে শক্তিধর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সব সময় জোরালো তার পারফরমেন্স। ২০০০তম টেস্টে লর্ডসে দেখালেন লম্বা ঘরানার ক্রিকেটের ব্যাটিং বিদ্যা। ইনিংসের শুরু রয়ে সয়ে উইকেট সামলে রেখে ক্রিজে কাটিয়ে দেন দীর্ঘ সময়। টানা বোলিংয়ে ক্লান্ত বোলারদের ওপর পরে চড়াও হয়ে তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি।
ইয়ান বেল
১১৮.৭৫ গড়ে ৯৫০ রান
বছরজুড়ে নৈপুণ্য বিচারে এ একাদশের সবচেয়ে সাবলীল ব্যাটসম্যান। সিডনিতে নিজের প্রথম অ্যাশেজ-শতক, পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি। কিন্তু ট্রেন্টব্রিজে ভারতের বিপক্ষে শতকটিকে আলাদা চোখে দেখছেন বোদ্ধারাও। জীবন্ত, ভয়ঙ্কর পিচে নেমেছিলেন অপরিচিত ব্যাটিং পজিশনে। জনাথন ট্রটের ইনজুরিতে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে যাওয়া বেল শতক হাঁকান অবলীলায়। এ ম্যাচে বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনার অন্যতম নায়কও তিনি। অন্যায্য আউট ঘোষিত বেলকে চা-বিরতিতে ফের মাঠে ফিরিয়ে আনেন ভারত দলপতি ধোনি। তবে ততক্ষণে ১৩৭ রানে ছিলেন তিনি।
ড্যারেন ব্রাভো
৪৯.৯৪ গড়ে ৯৪৯ রান
ধূসর নৈপুণ্যের ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে বছরের শেষটায় আলো ছড়িয়েছেন তরুণ এ ব্যাটসম্যান। প্রথম শতক বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাও আবার ১৯৫। পরের সিরিজেই ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের ভুগিয়ে তুলে নেন ১৬৬ রান। তার ব্যাটিং কেতা-ঢংয়ে লারা উঠে আসে দর্শকদের চোখে। আর বিষয়টি জিইয়ে রাখতেই বুঝি অভূতপূর্ব মিল পাওয়া গেল লারার সঙ্গে এক পরিসংখ্যানে। ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ টেস্টে ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১ রান সংগ্রহ ছিল ব্রায়ান লারার। আর ব্রাভো তার জীবনের প্রথম ১২ টেস্টে ৪৭.০৫ গড়ে ৯৪১ রান সংগ্রহ করেন। পরিসংখ্যানটা হুবহু।
ম্যাট প্রায়র
৬৪.৮৭ গড়ে ৫১৯ রান, ৩৪ ক্যাচ ২ স্টাম্পিং
দলকে উজ্জীবিত রাখতে মাঠে সারাক্ষণ কথা বলেন প্রায়র। বিষয়টি বহু কানে শোনা। তবে বছরজুড়ে প্রায়রের ব্যাটিং পারফরমেন্সটাও ছিল চোখ চেয়ে দেখার মতো। ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে যাওয়া প্রায়রের এ বছর সেঞ্চুরি ৩টি। তার একটি লর্ডসে। শুদ্ধ ও কার্যকর ঢংয়ে কভার ড্রাইভ খেলতে পারেন, এমন হাতেগোনাদের একজন তিনি।
স্টুয়ার্ট ব্রড
২২.৩০ গড়ে ৩৩ উইকেট
৩৯.৮৩ গড়ে ২৩৯ রান
বছরের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে ব্রডকে। তারপরও টেস্টে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বছর শেষে ব্যাট-বলে উজ্জ্বল এ ইংলিশই।
ডেল স্টেইন
১৯.৫৭ গড়ে ২৮ উইকেট
এ বছর মাত্র ৫টি টেস্ট খেলতে পেরেছেন স্টেইন। কিন্তু এতেই যথেষ্ট সামর্থ্য দেখিয়ে রেখেছিলেন স্টেইন বিশ্ব একাদশে জায়গা পেতে। কেপটাউন টেস্টে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে মাঠের লড়াই, আর পরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজে বারবার নিজেকে চিনিয়েছেন প্রতিপক্ষদের।
সাঈদ আজমল
২৩.৮৬ গড়ে ৫০ উইকেট
তার স্পিন ‘দুসরা’র মতোই কার্যকর ছিল বছরজুড়ে। পাকিস্তানের তিনটি সিরিজ জয়ে বল হাতে মুখ্য ভূমিকা ছিল সাঈদ আজমলের। এ বছর তার অর্জন একথাই বলে। বছরের একমাত্র অর্ধশত উইকেট শিকারি তিনি।
জেমস অ্যান্ডারসন
২৪.৮৫ গড়ে ৩৫ উইকেট
স্টেইনের সঙ্গে পেস জুটি সাজাতে বছরজুড়ে টেস্ট নৈপুণ্যে অ্যান্ডারসনই হয়েছেন নির্বাচকদের সেরা পছন্দ।'
No comments