ট্রাইব্যুনালে নবম সাক্ষী-সাঈদীর নির্দেশে বিসা বালীকে গুলি করে এক রাজাকার
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী মো. আলতাফ হোসেন হাওলাদার (৫৮) বলেছেন, সাঈদীর নির্দেশে এক রাজাকার পিরোজপুরের উমেদপুর গ্রামের বিসা বালীকে গুলি করে। ঝোপের আড়ালে দাঁড়িয়ে তিনি ঘটনাটি দেখেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গতকাল মঙ্গলবার জবানবন্দিতে এ কথা বলেন
আলতাফ। জবানবন্দিতে তিনি আরও বলেন, সাঈদীর নেতৃত্বে পিরোজপুরের পারেরহাট ইউনিয়নে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় একই সময়ে সাঈদীকেও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আলতাফ জবানবন্দিতে বলেন, একাত্তরের ৭ মে পাকিস্তানি সেনারা পারেরহাটে আসার ছয়-সাত দিন আগে সেখানে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। সেকান্দার শিকদারের নেতৃত্বে শান্তি কমিটিতে সাঈদী, মোসলেমউদ্দিন মাওলানা, দানেশ আলী মোল্লা ও আরও অনেকে ছিল। পরে সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। শান্তি কমিটির সদস্যরাই রাজাকার বাহিনীতে ছিল। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে এই রাজাকার বাহিনী পারেরহাট বন্দরের ৩০-৩৫টি দোকান ও বাসাবাড়ি লুট করে। পরে পাকিস্তানি সেনারা পারেরহাটের রাজলক্ষ্মী স্কুলে এবং স্থানীয় ফকির দাসের ভবনে ক্যাম্প করে।
আলতাফ আরও বলেন, একাত্তরের ২ জুন তিনি মামার বাড়ি উমেদপুর গ্রামে যাওয়ার পথে সকাল ১০টা-সাড়ে ১০টার দিকে দেখেন, সাঈদীসহ অনেক রাজাকার একদল পাকিস্তানি সেনা নিয়ে ওই গ্রামের হিন্দুপাড়ায় ঢুকছে। তিনি রাস্তার পাশে ঝোপের আড়ালে গিয়ে ঘটনা দেখতে থাকেন। তিনি দেখেন, পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা হিন্দুপাড়ার লোকজনের মালামাল লুট করে ১৮-২০টি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। রাজাকাররা বিসা বালী নামে এক ব্যক্তিকে ধরে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। সাঈদী এক পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে আলোচনার পর বলেন, ‘শালাকে গুলি কর।’ এরপর একজন রাজাকার লম্বা একটি অস্ত্র দিয়ে বিসা বালীকে গুলি করে। অস্ত্রটি রাইফেল না পিস্তল তা তিনি বলতে পারেননি। ওই দিন বিকেলে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তিনিও হিন্দুপাড়ার পোড়াবাড়ি ও বিসা বালীকে গুলি করার স্থান দেখতে গিয়ে সেখানে রক্ত দেখেন। স্থানীয় লোকজন বলাবলি করছিল, লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাহাবুবুল আলম হাওলাদার ও পঞ্চম সাক্ষী মাহতাবউদ্দিন হাওলাদারও ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে বলেছিলেন, সাঈদীর নির্দেশে এক রাজাকার বিসা বালীকে গুলি করেছিল।
প্রায় আধা ঘণ্টা আলতাফ জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তাঁকে জেরা করেন। জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, তিনি পারেরহাট ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। একাত্তরের ছয়-সাত বছর আগে থেকে তিনি সাঈদীকে চেনেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিসা বালীর হত্যাকারীকে গত ৪০ বছরে খোঁজার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি।
এই জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
আলতাফ জবানবন্দিতে বলেন, একাত্তরের ৭ মে পাকিস্তানি সেনারা পারেরহাটে আসার ছয়-সাত দিন আগে সেখানে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। সেকান্দার শিকদারের নেতৃত্বে শান্তি কমিটিতে সাঈদী, মোসলেমউদ্দিন মাওলানা, দানেশ আলী মোল্লা ও আরও অনেকে ছিল। পরে সাঈদীর নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। শান্তি কমিটির সদস্যরাই রাজাকার বাহিনীতে ছিল। পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে এই রাজাকার বাহিনী পারেরহাট বন্দরের ৩০-৩৫টি দোকান ও বাসাবাড়ি লুট করে। পরে পাকিস্তানি সেনারা পারেরহাটের রাজলক্ষ্মী স্কুলে এবং স্থানীয় ফকির দাসের ভবনে ক্যাম্প করে।
আলতাফ আরও বলেন, একাত্তরের ২ জুন তিনি মামার বাড়ি উমেদপুর গ্রামে যাওয়ার পথে সকাল ১০টা-সাড়ে ১০টার দিকে দেখেন, সাঈদীসহ অনেক রাজাকার একদল পাকিস্তানি সেনা নিয়ে ওই গ্রামের হিন্দুপাড়ায় ঢুকছে। তিনি রাস্তার পাশে ঝোপের আড়ালে গিয়ে ঘটনা দেখতে থাকেন। তিনি দেখেন, পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা হিন্দুপাড়ার লোকজনের মালামাল লুট করে ১৮-২০টি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। রাজাকাররা বিসা বালী নামে এক ব্যক্তিকে ধরে নারকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। সাঈদী এক পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে আলোচনার পর বলেন, ‘শালাকে গুলি কর।’ এরপর একজন রাজাকার লম্বা একটি অস্ত্র দিয়ে বিসা বালীকে গুলি করে। অস্ত্রটি রাইফেল না পিস্তল তা তিনি বলতে পারেননি। ওই দিন বিকেলে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তিনিও হিন্দুপাড়ার পোড়াবাড়ি ও বিসা বালীকে গুলি করার স্থান দেখতে গিয়ে সেখানে রক্ত দেখেন। স্থানীয় লোকজন বলাবলি করছিল, লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মাহাবুবুল আলম হাওলাদার ও পঞ্চম সাক্ষী মাহতাবউদ্দিন হাওলাদারও ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে বলেছিলেন, সাঈদীর নির্দেশে এক রাজাকার বিসা বালীকে গুলি করেছিল।
প্রায় আধা ঘণ্টা আলতাফ জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তাঁকে জেরা করেন। জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, তিনি পারেরহাট ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। একাত্তরের ছয়-সাত বছর আগে থেকে তিনি সাঈদীকে চেনেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিসা বালীর হত্যাকারীকে গত ৪০ বছরে খোঁজার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি।
এই জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
No comments