ক্রিকেটকে ভালবাসার জন্য বৃটেনে অবস্থানের অনুমতি পেলেন বাংলাদেশী ছাত্র
মানবজমিন ডেস্ক: ক্রিকেটকে ভালবাসার কারণে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন বাংলাদেশী ছাত্র আবদুল্লাহ মুনাওয়ার (২৩)। লন্ডনে একাউন্টিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। তার কাছে ছিল ৩ বছর মেয়াদি ভিসা। কিন্তু মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় ২০১০ সালে ভিসা নবায়নের জন্য তিনি লন্ডনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি পৃষ্ঠা ৫ কলাম ৪
আপার ট্রাইব্যুনাল অব দ্য ইমিগ্রেশন অ্যান্ড এসাইলাম চেম্বারে আপিল করেন। সেখানে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে আবদুল্লাহ মুনাওয়ার বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার রাখেন। কারণ তিনি ক্রিকেটকে ভালবাসেন। সপ্তাহের প্রতি ছুটির দিনে তিনি ক্রিকেট খেলা দেখতে যান। এছাড়া, যুক্তরাজ্যে তিনি বন্ধুত্ব গড়েছেন অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। বৃটিশ জীবনধারা তিনি রপ্ত করেছেন। তাই তাকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানের অনুমতি দিতে হবে। এ বক্তব্য শোনার পর আদালত তার পক্ষেই রায় দিয়েছে। এখন তিনি বৃটেনে অবস্থান করতে পারবেন। বিচারক সুসান পিট তার রায়ে বলেন, ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান জানানো উচিত। প্রথম আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ায় আবদুল্লাহ মুনাওয়ারের প্রতি যথাযথ বিচার করা হয়নি। ভিসা নবায়ন প্রত্যাখ্যান করাকে ব্যক্তিগত জীবনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার নামান্তর বলেও তিনি রায় দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে মনোয়ার বর্তমানে একাউনটেন্সি ফার্মে ভাল চাকরি নিয়ে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছেন। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অন্যদিকে এই রায়ের ফলে যুক্তরাজ্যে বন্যার পানির ন্যায় অভিবাসীদের আগমন বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে দেশটিতে বসবাসকারী কয়েক লাখ বিদেশী ছাত্র তাদের শিক্ষা জীবন শেষে দেশটিতে থাকার অনুমতি পেতে এই রায়কে কাজে লাগাতে পারে। এমন মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। ফলে এই রায় সৃষ্টি করেছে তুমুল বিতর্কের। খোদ অভিবাসন মন্ত্রী ডেমিয়েন গ্রিন এই রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আদালতকে অভিবাসন সমস্যা বাড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন। সরকার বিদেশী অভিবাসন কমাতে বদ্ধপরিকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, যাদের যুক্তরাজ্যে থাকার বৈধতা নেই তাদের অপসারণ রুখতে মানবাধিকার আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। অভিবাসন আইনের অপব্যবহার রুখতে আইনের সংশোধনী আনা হবে বলেও জানান তিনি। সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী লর্ড টেবিটও তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন। তিনি এই রায়কে কৌতুকপ্রদ বলে অভিহিত করেছেন।
আপার ট্রাইব্যুনাল অব দ্য ইমিগ্রেশন অ্যান্ড এসাইলাম চেম্বারে আপিল করেন। সেখানে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তাতে আবদুল্লাহ মুনাওয়ার বলেন, তিনি যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার রাখেন। কারণ তিনি ক্রিকেটকে ভালবাসেন। সপ্তাহের প্রতি ছুটির দিনে তিনি ক্রিকেট খেলা দেখতে যান। এছাড়া, যুক্তরাজ্যে তিনি বন্ধুত্ব গড়েছেন অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। বৃটিশ জীবনধারা তিনি রপ্ত করেছেন। তাই তাকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানের অনুমতি দিতে হবে। এ বক্তব্য শোনার পর আদালত তার পক্ষেই রায় দিয়েছে। এখন তিনি বৃটেনে অবস্থান করতে পারবেন। বিচারক সুসান পিট তার রায়ে বলেন, ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান জানানো উচিত। প্রথম আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ায় আবদুল্লাহ মুনাওয়ারের প্রতি যথাযথ বিচার করা হয়নি। ভিসা নবায়ন প্রত্যাখ্যান করাকে ব্যক্তিগত জীবনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করার নামান্তর বলেও তিনি রায় দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে মনোয়ার বর্তমানে একাউনটেন্সি ফার্মে ভাল চাকরি নিয়ে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছেন। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অন্যদিকে এই রায়ের ফলে যুক্তরাজ্যে বন্যার পানির ন্যায় অভিবাসীদের আগমন বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে দেশটিতে বসবাসকারী কয়েক লাখ বিদেশী ছাত্র তাদের শিক্ষা জীবন শেষে দেশটিতে থাকার অনুমতি পেতে এই রায়কে কাজে লাগাতে পারে। এমন মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। ফলে এই রায় সৃষ্টি করেছে তুমুল বিতর্কের। খোদ অভিবাসন মন্ত্রী ডেমিয়েন গ্রিন এই রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি আদালতকে অভিবাসন সমস্যা বাড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন। সরকার বিদেশী অভিবাসন কমাতে বদ্ধপরিকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, যাদের যুক্তরাজ্যে থাকার বৈধতা নেই তাদের অপসারণ রুখতে মানবাধিকার আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। অভিবাসন আইনের অপব্যবহার রুখতে আইনের সংশোধনী আনা হবে বলেও জানান তিনি। সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী লর্ড টেবিটও তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন। তিনি এই রায়কে কৌতুকপ্রদ বলে অভিহিত করেছেন।
No comments