চেনা পথেই হাঁটছেন সাক্কু
আহমেদ জামাল, কুমিল্লা থেকে: গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর পৌষের শীতল বাতাসকে সঙ্গী করে জনসংযোগে নামেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অন্যতম মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। সকাল থেকে একটানা মধ্যরাত পর্যন্ত চলে তার এই জনসংযোগ। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন আজ। আগামী পরশু অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তাই শেষ সময়ের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে চান তিনি। এজন্য প্রায় দিনভর বৈরী প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে তার এই ক্লান্তিহীন প্রচারণা। সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের ব্যানারে মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ইতিপূর্বে কুমিল্লা পৌরসভার মেয়র হিসেবে প্রায় ৭ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সুবাদে এই শহরের পাড়া-মহল্লা-অলিগলি সবই তার চেনা। গতকাল ঘুরে পৃষ্ঠা ২০ কলাম ১
ফিরে সেই চেনা পথেই সারাদিন হেঁটেছেন তিনি। ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন, দোয়া চেয়েছেন তাদের। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গতকাল খানিকটা দেরি করে সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। পরনে ছিল তার সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। প্রথমেই যান শহরের কাটাবিল হযরতপাড়ায়। তার আগমনের খবরে আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন দলের অর্ধ শতাধিক কর্মী-সমর্থক। এখানে প্রায় প্রতিটি বাসাবাড়ি, দোকানপাটে ঢুকে জনে জনে সালাম দেন, হাত মেলান সাক্কু। এরপর তিনি যান বাগিচাগাঁও এলাকায়। এখানেও অপেক্ষায় দেখা গেছে, বেশকিছু নেতাকর্মী ও সমর্থককে। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালে ঢোকেন। এখানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন স্থানীয় রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন। এখান থেকে তিনি যান শহরের আদালতপাড়ায়। এখানে ভোটার ছাড়াও সরকারি, আধা-সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনি কোর্টবাড়ি, জাদুঘর, সালমানপুর প্রভৃতি এলাকায় জনসংযোগ ও কয়েকটি উঠোন বৈঠক করেন। দিনভর লাগাতার এই জনসংযোগকালে মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা শহরের নাগরিক সুবিধার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ভোটারদের বলেন, পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন আমি যে সব প্রকল্প হাতে নিয়েছি, সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলে সেসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করবো। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, ক্ষমতায় থেকে অতীতে কারো কোন ক্ষতি করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। সহজ সরল ও বিনয়ী ব্যবহারের জন্য মনিরুল হক সাক্কুর অতীত সুনাম রয়েছে। দিন-রাত ক্লান্তিহীন জনসংযোগ ও প্রচার প্রচারণায় তার সেই চরিত্রের পরিবর্তন দেখা যায়নি।
শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় অন্য প্রার্থীরাও ব্যস্ত
এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মেয়র এবং সকল কাউন্সিলর প্রার্থীর যেন ঘুম নেই। শীতের তীব্রতা ও বৈরী আবহাওয়া থামাতে পারছে না কোন প্রার্থীকে। কি মেয়র কি কাউন্সিলর। সব প্রার্থীর ব্যস্ততা একই রকম। এক্ষেত্রে মহিলা কাউন্সিলরদের ব্যস্ততা মনে রাখার মতো। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে তাদের আকুতির যেন শেষ নেই। মেয়র পদে একমাত্র মহিলা প্রার্থী শিরিন আক্তারের তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। কোন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট না হওয়ায় নির্বাচনী মাঠে একাই লড়ছেন তিনি। মহিলা হিসেবে মহিলা ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী শিরিন আক্তার নিজেকে আরেকজন আইভী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।
ফিরে সেই চেনা পথেই সারাদিন হেঁটেছেন তিনি। ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন, দোয়া চেয়েছেন তাদের। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে গতকাল খানিকটা দেরি করে সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। পরনে ছিল তার সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। প্রথমেই যান শহরের কাটাবিল হযরতপাড়ায়। তার আগমনের খবরে আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন দলের অর্ধ শতাধিক কর্মী-সমর্থক। এখানে প্রায় প্রতিটি বাসাবাড়ি, দোকানপাটে ঢুকে জনে জনে সালাম দেন, হাত মেলান সাক্কু। এরপর তিনি যান বাগিচাগাঁও এলাকায়। এখানেও অপেক্ষায় দেখা গেছে, বেশকিছু নেতাকর্মী ও সমর্থককে। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে তিনি কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালে ঢোকেন। এখানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন স্থানীয় রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন। এখান থেকে তিনি যান শহরের আদালতপাড়ায়। এখানে ভোটার ছাড়াও সরকারি, আধা-সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনি কোর্টবাড়ি, জাদুঘর, সালমানপুর প্রভৃতি এলাকায় জনসংযোগ ও কয়েকটি উঠোন বৈঠক করেন। দিনভর লাগাতার এই জনসংযোগকালে মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা শহরের নাগরিক সুবিধার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ভোটারদের বলেন, পৌরসভার মেয়র থাকাকালীন আমি যে সব প্রকল্প হাতে নিয়েছি, সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলে সেসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করবো। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, ক্ষমতায় থেকে অতীতে কারো কোন ক্ষতি করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। সহজ সরল ও বিনয়ী ব্যবহারের জন্য মনিরুল হক সাক্কুর অতীত সুনাম রয়েছে। দিন-রাত ক্লান্তিহীন জনসংযোগ ও প্রচার প্রচারণায় তার সেই চরিত্রের পরিবর্তন দেখা যায়নি।
শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় অন্য প্রার্থীরাও ব্যস্ত
এদিকে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মেয়র এবং সকল কাউন্সিলর প্রার্থীর যেন ঘুম নেই। শীতের তীব্রতা ও বৈরী আবহাওয়া থামাতে পারছে না কোন প্রার্থীকে। কি মেয়র কি কাউন্সিলর। সব প্রার্থীর ব্যস্ততা একই রকম। এক্ষেত্রে মহিলা কাউন্সিলরদের ব্যস্ততা মনে রাখার মতো। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে তাদের আকুতির যেন শেষ নেই। মেয়র পদে একমাত্র মহিলা প্রার্থী শিরিন আক্তারের তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। কোন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্ট না হওয়ায় নির্বাচনী মাঠে একাই লড়ছেন তিনি। মহিলা হিসেবে মহিলা ভোটারদের বেশির ভাগ ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী শিরিন আক্তার নিজেকে আরেকজন আইভী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।
No comments