উপমহাদেশ জিততে এসেছেন স্ট্রাউস

ই উপমহাদেশে ‘ইউনিয়ন জ্যাক’ উড়িয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেই পতাকা নেমে গেছে সেই কবে। তবে আবারও ভারতীয় উপমহাদেশ জয় করতে চায় ব্রিটিশরা। এবার আর গোলা-বারুদ দিয়ে নয়; ব্যাটে আর বলে। কয়েক বছর ধরেই টেস্ট ক্রিকেট সগৌরবে পতপত করে উড়তে থাকা ইংল্যান্ডের পতাকাটি এবার উপমহাদেশেও ওড়াতে চান ‘বড়লাট’ অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। গত ১০ বছরে এশিয়ায় সাতটি টেস্ট সিরিজে খেলে মাত্র দুবার জিতেছে ইংল্যান্ড।


দুবারই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ছিল বলে সেই জয়ে তৃপ্তি নেই, অহং নেই। বরং আছে বাকি পাঁচবারের চারটিতেই হেরে যাওয়ার দুঃখ। সেই দুঃখ এবার ইংল্যান্ড ঘোচাতে চায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতে। ‘হোম’ সিরিজ হলেও পাকিস্তান খেলবে আরব আমিরাতে। ঠিক ভারতীয় উপমহাদেশে না হলেও এশিয়ায় তো ইউনিয়ন জ্যাক ওড়ানোর সুযোগ পাওয়া গেল!
সর্বশেষ ছয়টি টেস্ট সিরিজেই জিতেছে টেস্টের এক নম্বর দল ইংল্যান্ড। জিতেছে আসলে সর্বশেষ নয় সিরিজের আটটিতেই! এই দুর্দান্ত ফর্ম আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরশু দেশ ছেড়েছে ইংল্যান্ড দল। হিথরো বিমানবন্দরে স্ট্রাউস অকপটে বলেছেন তাঁর লক্ষ্যের কথা। এক দিক দিয়ে নিজ দলের উদ্দেশেই ছুড়ে দিয়েছেন চ্যালেঞ্জ। বলেছেন, তাঁরা যে যোগ্যতর দল হিসেবেই এক নম্বর, সেটা এবার প্রমাণ করতে হবে, ‘সারা বিশ্বেই সেরা দল হয়ে উঠতে চাইলে যেকোনো কন্ডিশনেই জেতার ক্ষমতা আপনার থাকতে হবে। ভারতীয় উপমহাদেশের কন্ডিশনে ইংল্যান্ড দলের পারফরম্যান্স একেবারেই বাজে।’
এ বছরই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ভারত—তিন দলের বিপক্ষেই অ্যাওয়ে সিরিজ আছে ইংল্যান্ডের। ১৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ, যাদের বিপক্ষে তারা সর্বশেষ অ্যাওয়ে সিরিজ জিতেছে ২০০০ সালে। মার্চ-এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে খেলবে দুই টেস্টের সিরিজ, শ্রীলঙ্কা থেকে তারা টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছে ২০০১ সালে। বছরের শেষাশেষি ভারত সফর আছে। ভারতে টেস্ট সিরিজ জয়ের ঘটনা তো সেই ১৯৮৪ সালের!
এ বছর উপমহাদেশে একাধিক সিরিজ থাকায় স্ট্রাউস খুশি, ‘ঠিক সময়েই ভারতীয় উপমহাদেশে অনেকগুলো খেলা পড়েছে আমাদের। কারণ, দুই বছর ধরেই আমরা সত্যিই দারুণ খেলছি। এটা আমাদের জন্য নতুন যুদ্ধক্ষেত্র, যেটা এখনো জয় করা হয়নি। আশা করি, উপমহাদেশেও আমরা ধারাবাহিক জয় পাব।’
নতুন এই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথমেই কঠিন পরীক্ষার মুখে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানও এই সময়ে দারুণ খেলছে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড যেমন ৬টি টেস্ট জিতে শীর্ষে ছিল, তেমনি ৬টি টেস্ট জিতে ও একটি হেরে দুইয়ে ছিল পাকিস্তান। তা ছাড়া সালমান বাটের বিদায়ের পর নেতৃত্বে আসা মিসবাহর অধীনে এই দলটা অনেক সংহত। পাকিস্তান দলে এটি খুঁজে পাওয়া তো বিরল। এএফপি, ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.