চমক আসছে মন্ত্রিসভায় by শাহেদ চৌধুরী
মহাজোট সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রিসভায় আরেক দফা রদবদল ও সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ পরিবর্তন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা থেকে কয়েকজন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী ছিটকে পড়তে পারেন। মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ সংযোজনের কথাও আলোচিত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আবদুর রাজ্জাকের
মৃত্যুর কারণে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের কার্যক্রম পিছিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৫ অথবা ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে রদবদল না হলে কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে। রদবদলের বেলায় প্রধানমন্ত্রী চমক দেবেন।
নতুন মুখ : নতুনদের মধ্যে কারা মন্ত্রী হচ্ছেন_ এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে নানা আলোচনা ও চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। দলের উপদেষ্টা পরিষদের দু'সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর দু'সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে ঘিরে এ আলোচনা আবর্তিত হচ্ছে। এ চার নেতা মন্ত্রিসভায় আসছেন বলে অনেকেই নিশ্চিত করেছেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভূঁইয়া মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মন্ত্রিসভায় আসছেন বলে কানাঘুষা রয়েছে। সম্ভাব্য পদোন্নতির তালিকায় আছেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আলোচনায় তিন মন্ত্রী : মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার তালিকায় আছেন কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। তাদের মধ্যে পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা এবং সমাজ
কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি নেই বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। পদস্থ কর্মকর্তারা প্রায়ই ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করেন না। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম প্রতিমন্ত্রী হলে ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরাকে সরে যেতে হবে। ভূমিমন্ত্রী ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জামালপুরের বাসিন্দা।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক ধরনের স্থিতাবস্থা বিরাজ করছে। তা ছাড়া সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ গুরুতর অসুস্থ।
গুঞ্জন : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অবস্থান শক্ত আছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাড়তি হিসেবে একজন প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রবাসী একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদের নাম আলোচনায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটা হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান খানকে অন্য উপদেষ্টা করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীরউত্তমের বিরুদ্ধে ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষতক সেটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ কে খন্দকার সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রধান।
অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে সরিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা থাকলেও আপাতত তা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সাহারা খাতুন বর্তমান দায়িত্বেই থাকবেন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের অবস্থান খুবই নড়বড়ে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ঝুঁকিতে আছেন। ঝুঁকিতে থাকলেও টিকে যেতে পারেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন তার এপিএসের দরপত্র কেলেঙ্কারির কারণে বিপাকে পড়েছেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের অবস্থা কিছুটা নড়বড়ে।
হজ ব্যবস্থাপনায় সফল হলেও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়াকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এনামুল হক ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রমের সঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ তার দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মন্ত্রী করার সুপারিশ করেছেন; কিন্তু সরকারের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ তা চাইছেন না। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে মন্ত্রী করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এইচএম এরশাদের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
দু'বছর তিন মাস ২৭ দিনের মাথায় গত ২৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অন্তর্ভুক্ত করার পর মন্ত্রিসভার আকার হয়েছে ৪৬ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ জন পূর্ণ মন্ত্রী এবং ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ৬০। বর্তমান মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী নেই।
নতুন মুখ : নতুনদের মধ্যে কারা মন্ত্রী হচ্ছেন_ এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে নানা আলোচনা ও চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। দলের উপদেষ্টা পরিষদের দু'সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর দু'সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে ঘিরে এ আলোচনা আবর্তিত হচ্ছে। এ চার নেতা মন্ত্রিসভায় আসছেন বলে অনেকেই নিশ্চিত করেছেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভূঁইয়া মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মন্ত্রিসভায় আসছেন বলে কানাঘুষা রয়েছে। সম্ভাব্য পদোন্নতির তালিকায় আছেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আলোচনায় তিন মন্ত্রী : মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার তালিকায় আছেন কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। তাদের মধ্যে পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা এবং সমাজ
কল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি নেই বলে মনে করছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। পদস্থ কর্মকর্তারা প্রায়ই ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করেন না। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম প্রতিমন্ত্রী হলে ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরাকে সরে যেতে হবে। ভূমিমন্ত্রী ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জামালপুরের বাসিন্দা।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক ধরনের স্থিতাবস্থা বিরাজ করছে। তা ছাড়া সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ গুরুতর অসুস্থ।
গুঞ্জন : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের অবস্থান শক্ত আছে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাড়তি হিসেবে একজন প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রবাসী একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদের নাম আলোচনায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা করার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটা হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান খানকে অন্য উপদেষ্টা করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীরউত্তমের বিরুদ্ধে ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষতক সেটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ কে খন্দকার সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রধান।
অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে সরিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা থাকলেও আপাতত তা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সাহারা খাতুন বর্তমান দায়িত্বেই থাকবেন। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের অবস্থান খুবই নড়বড়ে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস ঝুঁকিতে আছেন। ঝুঁকিতে থাকলেও টিকে যেতে পারেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন তার এপিএসের দরপত্র কেলেঙ্কারির কারণে বিপাকে পড়েছেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের অবস্থা কিছুটা নড়বড়ে।
হজ ব্যবস্থাপনায় সফল হলেও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়াকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এনামুল হক ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রমের সঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ তার দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মন্ত্রী করার সুপারিশ করেছেন; কিন্তু সরকারের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ তা চাইছেন না। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে মন্ত্রী করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এইচএম এরশাদের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
দু'বছর তিন মাস ২৭ দিনের মাথায় গত ২৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে অন্তর্ভুক্ত করার পর মন্ত্রিসভার আকার হয়েছে ৪৬ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ জন পূর্ণ মন্ত্রী এবং ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ৬০। বর্তমান মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী নেই।
No comments