কংগ্রেস-তৃণমূল দূরত্ব বাড়ছেই
ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। 'ইন্দিরা ভবনে'র নাম পরিবর্তন করে 'নজরুল ভবন' রাখা এবং রাজ্যসভায় লোকপাল বিল নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে তৃণমূল নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপ্যাধায় ও ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। এ ছাড়া তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ছত্রছায়া থেকে বের হওয়ার পরিকল্পনা করছেন মমতা। এ জন্য পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম বিস্তৃত
করে চলেছেন তিনি। সাংগঠনিক কাঠামো না থাকলেও উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে অংশ নিতে সেখানে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে যাচ্ছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে বিভক্তি এখন স্পষ্ট। খবর : দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস।
গতকাল মঙ্গলবার কলকাতায় লোকপাল ও ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে কংগ্রেসের সমালোচনা করেন মমতা। জ্যোতি বসুর স্মৃতিবিজড়িত ইন্দিরা ভবনে কবি নজরুল গবেষণাগার নির্মাণের সরকারি উদ্যোগ ঘিরে উদ্ভূত রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সরাসরি কংগ্রেস ও সিপিএমের গোপন আঁতাতের অভিযোগ এনেছেন তিনি। মমতা বলেন, নজরুল ইসলামের সম্মানার্থে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, অথচ যখন আমরা এ উদ্যোগ নিলাম তখন অপ্রয়োজনীয়ভাবে এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এটি অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত, আমরা এর নিন্দা জানাই। ইন্দিরা ভবনের নামবদলের উদ্যোগের প্রতিবাদে এদিনই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। জোট শরিকের এ আচরণে ক্ষুব্ধ মমতা অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে সিপিএমের সঙ্গে
হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। তবে মমতার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস।
লোকপাল ইস্যুতে মমতা বলেন, এ বিলটি সর্বদলের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই পাস করতে হবে। লোকযুক্তের মডেল কী হবে, তা রাজ্যগুলোর ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, লোকযুক্ত প্রশ্নে রাজ্যগুলোকেই নির্বাচন করতে দেওয়া উচিত। তারা কোন মডেল বেছে নিচ্ছে এটি রাজ্যের নিজস্ব বিষয়; এখানে দিলি্ল হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
এদিকে কংগ্রেসের ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে জাতীয় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে দলের কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মমতা। এরই অংশ হিসেবে উত্তর প্রদেশে সাংগঠনিক শক্তি না থাকা সত্ত্বেও আসন্ন বিধানসভা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চাইছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, এ লক্ষ্যেই ১৮ জানুয়ারি লক্ষেষ্টৗতে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে চলেছে তারা। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, উত্তর প্রদেশে নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর লক্ষেষ্টৗতে নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হবে। উত্তর প্রদেশের ভোটের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস যে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে সেদিকেও সতর্ক রয়েছেন মমতা। বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেসকে বার্তা দিতেই উত্তর প্রদেশে ভোটে নামার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলীয় শক্তি আরও বাড়াতেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করেছে। বিশেষত দক্ষিণ বাংলার জেলা যেমন মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ মেদিনীপুর, কুচবিহার, দার্জিলিংয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে তৃণমূল। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের একজন নেতা বলেন, কংগ্রেস থেকে বের হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন মমতা। ত্রিপুরা এবং গোয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মমতা এটাই বোঝাতে চাইছেন, তিনি তার রাজনৈতিক এলাকা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার কলকাতায় লোকপাল ও ইন্দিরা ভবনের নাম পরিবর্তন ইস্যুতে কংগ্রেসের সমালোচনা করেন মমতা। জ্যোতি বসুর স্মৃতিবিজড়িত ইন্দিরা ভবনে কবি নজরুল গবেষণাগার নির্মাণের সরকারি উদ্যোগ ঘিরে উদ্ভূত রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সরাসরি কংগ্রেস ও সিপিএমের গোপন আঁতাতের অভিযোগ এনেছেন তিনি। মমতা বলেন, নজরুল ইসলামের সম্মানার্থে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, অথচ যখন আমরা এ উদ্যোগ নিলাম তখন অপ্রয়োজনীয়ভাবে এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। এটি অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত, আমরা এর নিন্দা জানাই। ইন্দিরা ভবনের নামবদলের উদ্যোগের প্রতিবাদে এদিনই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। জোট শরিকের এ আচরণে ক্ষুব্ধ মমতা অভিযোগ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে সিপিএমের সঙ্গে
হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। তবে মমতার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে কংগ্রেস।
লোকপাল ইস্যুতে মমতা বলেন, এ বিলটি সর্বদলের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই পাস করতে হবে। লোকযুক্তের মডেল কী হবে, তা রাজ্যগুলোর ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, লোকযুক্ত প্রশ্নে রাজ্যগুলোকেই নির্বাচন করতে দেওয়া উচিত। তারা কোন মডেল বেছে নিচ্ছে এটি রাজ্যের নিজস্ব বিষয়; এখানে দিলি্ল হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
এদিকে কংগ্রেসের ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে জাতীয় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে দলের কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মমতা। এরই অংশ হিসেবে উত্তর প্রদেশে সাংগঠনিক শক্তি না থাকা সত্ত্বেও আসন্ন বিধানসভা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চাইছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রের খবর, এ লক্ষ্যেই ১৮ জানুয়ারি লক্ষেষ্টৗতে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে চলেছে তারা। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, উত্তর প্রদেশে নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর লক্ষেষ্টৗতে নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হবে। উত্তর প্রদেশের ভোটের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস যে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে সেদিকেও সতর্ক রয়েছেন মমতা। বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেসকে বার্তা দিতেই উত্তর প্রদেশে ভোটে নামার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলীয় শক্তি আরও বাড়াতেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক কার্যক্রম জোরদার করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতাকর্মী তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করেছে। বিশেষত দক্ষিণ বাংলার জেলা যেমন মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ মেদিনীপুর, কুচবিহার, দার্জিলিংয়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে তৃণমূল। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের একজন নেতা বলেন, কংগ্রেস থেকে বের হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন মমতা। ত্রিপুরা এবং গোয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মমতা এটাই বোঝাতে চাইছেন, তিনি তার রাজনৈতিক এলাকা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন।
No comments