সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় কয়েকজন প্রার্থীর, রাতে টাকাসহ যুবক আটক-সব প্রস্তুতি সম্পন্ন কাল নির্বাচন by গাজীউল হক
কাল বৃহস্পতিবার বহু কাঙ্ক্ষিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায় সব প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে শেষ মুহূর্তে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকজন মেয়র পদপ্রার্থী সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এদিকে গত রাতে টাকাসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সম্মিলিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী মনিরুল হকের (সাক্কু) অভিযোগ, তাঁর নেতা-কর্মীর বাসায় বিনা
পরোয়ানায় পুলিশ হানা দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। পোলিং এজেন্টরা যাতে কেন্দ্রে না যেতে পারেন, সে জন্য ভীতি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, সোমবার রাত একটায় পুলিশ শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রউফ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাজ্জাদুল কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মোল্লার বাড়িতে হানা দেয়। কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই তাঁদের গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ।
মনিরুল হকের মিডিয়া সেলের প্রধান বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, ‘প্রশাসন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে। তারা হাঁস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের হয়রানি করছে।’
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আফজল খানের বিরুদ্ধে গত সোমবার নগরের গাংচরে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে গণসংযোগ করার অভিযোগ করেন মনিরুল হক।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান (মিঠু) বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কারণ দেখা যাচ্ছে না। সর্বত্র প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলছে।’ আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ (তানিম) বলেন, ‘নির্বাচনে কালোটাকা ব্যবহূত হচ্ছে। প্রশাসন কালোটাকা ব্যবহারকারীদের এখনো ধরতে পারেনি।’
জাতীয় পার্টি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী এয়ার আহমেদ (সেলিম) বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে।’
তবে গতকাল আফজল খান বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর প্রচারণার সময় মোটর শোভাযাত্রা হয়ে থাকতে পারে।
মনিরুল হকের অভিযোগ প্রসঙ্গে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন তো হওয়ার কথা নয়। পুলিশ হয়তো তাদের বাড়ির আশপাশে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য গিয়েছিল। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জামিনে মুক্ত থাকলেও তাদের কাছে অস্ত্র আছে। আমরা এখনো কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারিনি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট তৎপর। বুধবার (আজ) বিকেলের মধ্যে ইভিএম মেশিন ও ওয়েবক্যাম চলে যাবে প্রতিটি কেন্দ্রে।
প্রচারণা শেষ: ‘আফজল-বাহার ভাই ভাই, আনারস প্রতীকে ভোট চাই’, ‘সাক্কু ভাইয়ে আইছে গো, হাঁস মার্কা লইয়া গো’, ‘আনিসুর রহমান (মিঠু) ভাই, জাহাজ মার্কায় ভোট চাই’, ‘ভোটটা বড় মূল্যবান, তানিম ভাইকে করবেন দান’, ‘সোনার ছেলে সেলিম ভাই, টেলিভিশন মার্কায় ভোট চাই’—এ রকম স্লোগানে গত ১৯ দিন কুমিল্লা শহর মুখরিত ছিল।
গতকাল প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে আফজল খান নগরের অশোকতলা ও মনোহরপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। নির্বাচনে তিনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে জয়ী করার উদাত্ত আহ্বান জানান। আফজল খান বলেন, ‘আমার বয়স ফুরিয়ে গেছে। এটাই আমার শেষ নির্বাচন। আমার অতীতের ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমাকে বিজয়ী করুন।’
মনিরুল হক গতকাল দুপুরের দিকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। মনিরুল বলেন, ‘জনতার রায়ের অপেক্ষায় আমি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি ইনশাআল্লাহ জয়ী হব।’
এয়ার আহমেদ নগরের প্রফেসরপাড়া, উত্তর চর্থা, বাগিচাগাঁও, মনোহরপুর, সংরাইশ ও কাঁটাবিল এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নূর-উর রহমান মাহমুদ নগরের মুন্সেফবাড়িসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচারণা ও গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম আমার সঙ্গে আছে। কুমিল্লার মানুষ মেধাবী লোককেই রায় দেবে।’
আনিসুর রহমান নগরের মৌলভীপাড়া, কান্দিরপাড় ও অশোকতলায় গণসংযোগ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে নীরব ভোটাররা রয়েছে। জনতার ভোটে আমি পাস করব।’
রাতে টাকাসহ আটক: কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিমউদ্দিন জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে নগরের সালমানপুর এলাকা থেকে আবুল কালাম আজাদ নামের এক যুবককে আট হাজার ৯০০ টাকাসহ আটক করে পুলিশ। তিনি সম্মিলিত নাগরিক কমিটির মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হকের পক্ষে টাকা বিলি করছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে মনিরুল হকের মিডিয়া সেলের প্রধান আসিফ আকবর প্রথম আলোকে জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। আটক হওয়া এই যুবক জামায়াতপন্থী এক কাউন্সিলর প্রার্থীর লোক।
মনিরুল হকের মিডিয়া সেলের প্রধান বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, ‘প্রশাসন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে। তারা হাঁস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের হয়রানি করছে।’
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আফজল খানের বিরুদ্ধে গত সোমবার নগরের গাংচরে মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে গণসংযোগ করার অভিযোগ করেন মনিরুল হক।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী আনিসুর রহমান (মিঠু) বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কারণ দেখা যাচ্ছে না। সর্বত্র প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলছে।’ আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ (তানিম) বলেন, ‘নির্বাচনে কালোটাকা ব্যবহূত হচ্ছে। প্রশাসন কালোটাকা ব্যবহারকারীদের এখনো ধরতে পারেনি।’
জাতীয় পার্টি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী এয়ার আহমেদ (সেলিম) বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে।’
তবে গতকাল আফজল খান বলেছেন, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর প্রচারণার সময় মোটর শোভাযাত্রা হয়ে থাকতে পারে।
মনিরুল হকের অভিযোগ প্রসঙ্গে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এমন তো হওয়ার কথা নয়। পুলিশ হয়তো তাদের বাড়ির আশপাশে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য গিয়েছিল। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জামিনে মুক্ত থাকলেও তাদের কাছে অস্ত্র আছে। আমরা এখনো কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারিনি।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট তৎপর। বুধবার (আজ) বিকেলের মধ্যে ইভিএম মেশিন ও ওয়েবক্যাম চলে যাবে প্রতিটি কেন্দ্রে।
প্রচারণা শেষ: ‘আফজল-বাহার ভাই ভাই, আনারস প্রতীকে ভোট চাই’, ‘সাক্কু ভাইয়ে আইছে গো, হাঁস মার্কা লইয়া গো’, ‘আনিসুর রহমান (মিঠু) ভাই, জাহাজ মার্কায় ভোট চাই’, ‘ভোটটা বড় মূল্যবান, তানিম ভাইকে করবেন দান’, ‘সোনার ছেলে সেলিম ভাই, টেলিভিশন মার্কায় ভোট চাই’—এ রকম স্লোগানে গত ১৯ দিন কুমিল্লা শহর মুখরিত ছিল।
গতকাল প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে আফজল খান নগরের অশোকতলা ও মনোহরপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। নির্বাচনে তিনি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে জয়ী করার উদাত্ত আহ্বান জানান। আফজল খান বলেন, ‘আমার বয়স ফুরিয়ে গেছে। এটাই আমার শেষ নির্বাচন। আমার অতীতের ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমাকে বিজয়ী করুন।’
মনিরুল হক গতকাল দুপুরের দিকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। মনিরুল বলেন, ‘জনতার রায়ের অপেক্ষায় আমি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি ইনশাআল্লাহ জয়ী হব।’
এয়ার আহমেদ নগরের প্রফেসরপাড়া, উত্তর চর্থা, বাগিচাগাঁও, মনোহরপুর, সংরাইশ ও কাঁটাবিল এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নূর-উর রহমান মাহমুদ নগরের মুন্সেফবাড়িসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রচারণা ও গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম আমার সঙ্গে আছে। কুমিল্লার মানুষ মেধাবী লোককেই রায় দেবে।’
আনিসুর রহমান নগরের মৌলভীপাড়া, কান্দিরপাড় ও অশোকতলায় গণসংযোগ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে নীরব ভোটাররা রয়েছে। জনতার ভোটে আমি পাস করব।’
রাতে টাকাসহ আটক: কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিমউদ্দিন জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে নগরের সালমানপুর এলাকা থেকে আবুল কালাম আজাদ নামের এক যুবককে আট হাজার ৯০০ টাকাসহ আটক করে পুলিশ। তিনি সম্মিলিত নাগরিক কমিটির মেয়র পদপ্রার্থী মনিরুল হকের পক্ষে টাকা বিলি করছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে মনিরুল হকের মিডিয়া সেলের প্রধান আসিফ আকবর প্রথম আলোকে জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। আটক হওয়া এই যুবক জামায়াতপন্থী এক কাউন্সিলর প্রার্থীর লোক।
No comments