লাল মাটির হলুদ by শাহজাহান সোহেল,
'লাল মাটির বর্ণ রান্নায় অনন্য'_ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার লাল মাটির খিয়েরি এলাকায় এ কথাটির ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। চমৎকার রান্নায় লাল মাটির হলুদ খুব সামান্যতেই তরকারির চাহিদা মেটায়। সে জন্য দেশজুড়ে লাল মাটির হলুদের সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে। দেশের একটি বৃহৎ অংশে হলুদ জোগান দেওয়া সাদুল্যাপুর উপজেলায় এবারও ব্যাপক হলুদের চাষ হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার ধাপেরহাট, ফরিদপুর, ইদিলপুর, ক্ষোর্দকোমরপুর এবং ভাতগ্রাম ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে হলুদ ক্ষেত।
গত মৌসুমে কৃষকরা আশাতীত উচ্চ মূল্য পাওয়ায় এবার আরও বেশি জমিতে হলুদ চাষ করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সামান্য খরচে হলুদ চাষ হওয়ায় কৃষকরা এখন এদিকেই বেশি ঝুঁকে পড়ছেন।
উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলী নগর গ্রামের হলুদচাষি আবুল কাশেম সরকার জানান, খুব স্বল্প খরচে হলুদ চাষ হয়। অন্যান্য ফসলের মতো হলুদ ক্ষেতে পানি (সেচ) দিতে হয় না, বাড়তি কোনো রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। হলুদ রোপণের পর শুধু ঠিকমতো পরিচর্যা করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। পাশ্ববর্তী তিলকপাড়া গ্রামের হলুদচাষি মজিবর রহমান বলেন, শুধু নিচু জমি ছাড়া যে জমিতে অন্য ফসল ফলানো যায় না, সে জমিতেও হলুদ চাষ করা সম্ভব। বাড়ির পাশের পতিত জমিসহ গাছের ছায়ার নিচে থাকা জমিতেও বেশ ভালোই হলুদ উৎপাদন হয়। জমিতে সামান্য পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করে হলুদের আশাতীত ফলন পাওয়া যায়। তার মতে, কোনো পুঁজি ছাড়াই হলুদ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারেন। বলা চলে হলুদ কৃষকের জন্য পুঁজিহীন একটি অর্থনৈতিক আয়ের উৎস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলায় এবার ১৫৪ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই জমি থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ৩ হাজার টন হলুদ। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নতিতে ব্যাপক সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে হলুদ চাষ প্রথম সারিতে রয়েছে। খুব কম খরচেই হলুদ চাষ করা যায়। তুলনামূলক একটু উঁচু জমিতে হলুদের ভালো ফলন মেলে। তাই এলাকার কৃষকরা এখন বেশি হলুদ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কারণ ঘরে হলুদ থাকলে কৃষকের টাকার অভাব হয় না। কৃষকরা হলুদ বিক্রির টাকায় সংসার চালিয়ে অন্যান্য ফসলের খরচ জোগান দিতে পারেন।
উপজেলার ধাপেরহাট বাজারের ইজারাদার শফিকুল কবির মিন্টু জানান, প্রতি হাটবারে এখানে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মণ হলুদ বেচাকেনা হয়। খিয়েরি অঞ্চলের লাল মাটির হলুদের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারের সঙ্গে কসমেটিক্স কোম্পানিগুলো এই হাটে হলুদ কিনতে আসে। বর্তমানে প্রতিমণ হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। আশপাশের আরও ৩ উপজেলার প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষ এই হাটে হলুদ বিক্রি করে থাকে।
উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলী নগর গ্রামের হলুদচাষি আবুল কাশেম সরকার জানান, খুব স্বল্প খরচে হলুদ চাষ হয়। অন্যান্য ফসলের মতো হলুদ ক্ষেতে পানি (সেচ) দিতে হয় না, বাড়তি কোনো রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। হলুদ রোপণের পর শুধু ঠিকমতো পরিচর্যা করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। পাশ্ববর্তী তিলকপাড়া গ্রামের হলুদচাষি মজিবর রহমান বলেন, শুধু নিচু জমি ছাড়া যে জমিতে অন্য ফসল ফলানো যায় না, সে জমিতেও হলুদ চাষ করা সম্ভব। বাড়ির পাশের পতিত জমিসহ গাছের ছায়ার নিচে থাকা জমিতেও বেশ ভালোই হলুদ উৎপাদন হয়। জমিতে সামান্য পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করে হলুদের আশাতীত ফলন পাওয়া যায়। তার মতে, কোনো পুঁজি ছাড়াই হলুদ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হতে পারেন। বলা চলে হলুদ কৃষকের জন্য পুঁজিহীন একটি অর্থনৈতিক আয়ের উৎস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলায় এবার ১৫৪ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই জমি থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ৩ হাজার টন হলুদ। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার অর্থনৈতিক উন্নতিতে ব্যাপক সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে হলুদ চাষ প্রথম সারিতে রয়েছে। খুব কম খরচেই হলুদ চাষ করা যায়। তুলনামূলক একটু উঁচু জমিতে হলুদের ভালো ফলন মেলে। তাই এলাকার কৃষকরা এখন বেশি হলুদ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কারণ ঘরে হলুদ থাকলে কৃষকের টাকার অভাব হয় না। কৃষকরা হলুদ বিক্রির টাকায় সংসার চালিয়ে অন্যান্য ফসলের খরচ জোগান দিতে পারেন।
উপজেলার ধাপেরহাট বাজারের ইজারাদার শফিকুল কবির মিন্টু জানান, প্রতি হাটবারে এখানে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মণ হলুদ বেচাকেনা হয়। খিয়েরি অঞ্চলের লাল মাটির হলুদের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারের সঙ্গে কসমেটিক্স কোম্পানিগুলো এই হাটে হলুদ কিনতে আসে। বর্তমানে প্রতিমণ হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। আশপাশের আরও ৩ উপজেলার প্রায় ২৫ গ্রামের মানুষ এই হাটে হলুদ বিক্রি করে থাকে।
No comments