মাংসের দোকান বন্ধ, ভিড় নেই সবজির বাজারে

দের ছুটির পর বুধবার থেকে অফিস-আদালত খুলেছে। রাজধানীতে এখনো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসেনি। তাই নগরীর বেশির ভাগ শাকসবজি, মাছ ও মাংসের দোকান এখনো বন্ধ। কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি সবজির দোকান খোলা। দোকানিরা বলছেন, 'ঈদের পর এখনো মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। এ ছাড়া কোরবানির ঈদে মানুষ মাংসের ওপর নিভরশীল থাকে। তাই শাকসবজির প্রতি তাদের আগ্রহ থাকে খুবই কম। এ ছাড়া বেশির ভাগ দোকানদার ঈদ করতে গ্রামে গেছেন। তাই বেশির ভাগ দোকান এখনো বন্ধ রয়েছে।


তারা ফিরেই এলেই দোকানগুলোয় শুরু হবে আবার বেচাবিক্রি।' কারওয়ান বাজারে যেসব দোকান খোলা রয়েছে, সেসব দোকান ঘুরে দেখা গেছে, খুব কম দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি।
বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, করলা ৩৫ থেকে ৪০, বরবটি ৩০ থেকে ৩৫, শিম ৩৫ থেকে ৪০, ঢেঁড়স ৩০, পটল ৩০ টাকায় ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়।
সরবরাহ কম হওয়ার পরও দাম কমের কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম (২২) বাংলানিউজকে বলেন, 'এমনিতে চাহিদা কম, এখন যদি লাভের আশায় বেশি দামে বিক্রি করতে চাই, আর যদি বিক্রি করতে না পারি আগামীকাল সব সবজি পচে যাবে। তখন পুরোটাই লোকসান হবে।'
'তাই লাভ না করে কম দামে সব বিক্রি করে দেওয়া ভালো' বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কাঁঠালবাগান বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়, করলা ৩৫ থেকে ৪০, বরবটি ৩৫ থেকে ৪০, শিম ৪০, ঢেঁড়স ৩৫, পটল ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় ও পেঁপে ১৬ টাকায়। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের তুলনায় দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাঁঠালবাগান বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান (৩০) বলেন, 'আমরা কারওয়ান বাজার থেকে সবজি এনে বিক্রি করি, তাই দুই-এক টাকা পার্থক্য থাকে। তবে চাহিদা কম থাকায় লাভ ছাড়াই এসব সবজি বিক্রি করে দিচ্ছি।'
এদিকে বাজারগুলোয় মাছ ও মুরগির দোকানগুলোর মধ্যে খুব কম দোকানই খোলা। গরু ও খাসির মাংসের কোনো দোকানই খুলতে দেখা যায়নি। মাছের চাহিদা কেমন, জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারে মাছ বিক্রেতা রতন (৪৫) বাংলানিউজকে বলেন, 'কোরবানির ঈদে মানুষ শুধু মাংস খাওয়ায় ব্যস্ত থাকে। তবে কয়েক দিন পর যখন মাংসের ওপর মানুষের বিরক্ত আসবে তখন মাছের চাহিদা বাড়বে।'
মুরগি কেমন বিক্রি হচ্ছে, জানতে চাইলে কাঁঠালবাগান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সিদ্দিক (৫২) বলেন, 'মুরগির দাম যখন বেশি ছিল তখন বেচাকেনা অনেক ভালো ছিল। কোরবানি ঈদের আগ থেকেই মুরগির দাম কমছে। তার পরও বেচাকেনা নেই।' প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তাঁর কোনো বেচাকেনা নেই বলেও আক্ষেপ করেন এই মুরগি বিক্রেতা। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

No comments

Powered by Blogger.