রাজধানীতে ৮ দিনে অজ্ঞান ও মলম পার্টির কবলে ৮৭ জন
ঈদুল আজহায় রাজধানীর বিভিন্ন পশুরহাট, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটে অজ্ঞান ও মলম পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ৮৭ জন। এর মধ্যে বেশিরভাগই গরু ব্যবসায়ী। এছাড়াও রয়েছেন ঘরমুখো মানুষ। গত ৮ দিনে পশু কেনাবেচা ও বাড়ি ফেরার পথে প্রতারকচক্র তাদরে নেশাজাতীয়দ্রব্য খাইয়ে ও চোখে মলম লাগিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ও মালামাল কেড়ে নেয়। প্রতারকচক্রের কবলে পড়ে গুরুতর অসুস্থ বা অচেতন ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘটনাগুলো ঘটেছে মেরুল বাড্ডা গরুরহাট, গাবতলী, খিলক্ষেত, মহাখালী, সায়েদাবাদ, আরামবাগ, ফকিরাপুল মোড়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন মোড়, গুলিস্তান, কমলাপুর রেলস্টেশন, মতিঝিল শাপলা চত্বর, ফার্মগেট, পুরনো ঢাকার বাবুবাজার, নয়াবাজার, মালিবাগ রেলগেট, নিউমার্কেট ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
পশুরহাট, বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনে নিরাপত্তায় র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হলেও অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্য এবং ছিনতাইকারীরা ছিল বেপরোয়া।
জানা যায়, মেরুল বাড্ডা আফতাবনগর গরুরহাটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে শনিবার রাতে গরু বিক্রির সর্বস্ব খুইয়েছেন ঝিনাইদহের ৯ গরু ব্যবসায়ী। রোববার দুপুরে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের কাছে থাকা গরু বিক্রির সর্বমোট ৮ লাখ টাকা লুটে নিয়ে গেছে।
গরু ব্যবসায়ীরা হলেন—আবদুুর রহিম, আমির হোসেন, মন্টু মিয়া, আতিয়ার, মনিরুল, আরিফুল, খায়রুল, রায়হান এবং রবিউল। অসুস্থ গরু ব্যবসায়ীরা ঝিনাইদহ জেলার শ্যামনগর থানার বাসিন্দা বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আমির হোসেন জানান, তারা ৯ জন একসঙ্গে ঝিনাইদহ থেকে ১৮টি গরু নিয়ে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা হাটে এসেছিলেন। শনিবার রাতের মধ্যে তাদের সবগুলো গরু বিক্রি হয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফেরা নিরাপদ নয় চিন্তা করে সবাই মিলে হাট এলাকায় রান্না করে খাওয়ার আয়োজন করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাদের কাছে এসে পানি খেতে চাইলে তারা পানি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই ব্যক্তি জোরপূর্বক তাদের পানির পাত্র থেকে পানি পান করে চলে যায়। রাতে খাবারের পর ওই পাত্র থেকে তারা পানি পান করেন। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা একের পর এক অজ্ঞান হতে শুরু করেন। পরে রোববার বিকালে হাটের লোকজন এবং স্থানীয় পুলিশ তাদের অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অন্যদিকে গাবতলীর পশুরহাট থেকে গবাদিপশু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে রোববার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের বলিয়ারপুরে আবুল কাসেম, মোয়াজ্জেম, তারা মিয়া ও ইছহাক ব্যাপারী নামের চার গরু ব্যবসায়ী মলম পার্টির খপ্পরে পড়েন।
তারা জানান, গাবতলী থেকে জনসেবা পরিবহনের একটি বাসে ধামরাইয়ে ফেরার পথে যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা চোখে মলম লাগিয়ে গরু বিক্রির নগদ ৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা লুট করে তাদের রাস্তায় ফেলে দেয়। যাত্রীরা মলম পার্টির এক সদস্যকে ধরে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করে। এছাড়া জড়িত সন্দেহে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর থেকে চাপাতি ও রডসহ ৩ জনকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। ধামরাই থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, আটককৃতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামের এক কলেজ ছাত্রও রয়েছে। অন্যরা হচ্ছে দুলাল ও কয়েদ আলী।
অপরদিকে গাবতলী ও খিলক্ষেত খাঁপাড়া এলাকায় শনিবার রাতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ১৪ গরু ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে গাবতলীর ৪ গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া টাকার পরিমাণ জানা যায়নি। গাবতলীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া ৪ জন এবং খাঁপাড়া এলাকার ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাবতলী এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত চার গরু ব্যবসায়ী হলেন— আবদুর রাজ্জাক, রব্বানী, হাবিবুর রহমান ও আবদুল মতিন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজ্জাকের বড়ভাই আনোয়ার হোসেন তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, পুরনো ঢাকার নয়াবাজার পশুরহাটে বেচাকেনা করে টাকা-পয়সা নিয়ে গাবতলী যাওয়ার পথে বাসে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নেশাজাতীয়দ্রব্য খাইয়ে তাদের ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া খিলক্ষেত খাঁপাড়া এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ১০ গরু ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্য ব্যবসায়ীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পশুরহাট, বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনে নিরাপত্তায় র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হলেও অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্য এবং ছিনতাইকারীরা ছিল বেপরোয়া।
জানা যায়, মেরুল বাড্ডা আফতাবনগর গরুরহাটে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে শনিবার রাতে গরু বিক্রির সর্বস্ব খুইয়েছেন ঝিনাইদহের ৯ গরু ব্যবসায়ী। রোববার দুপুরে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের কাছে থাকা গরু বিক্রির সর্বমোট ৮ লাখ টাকা লুটে নিয়ে গেছে।
গরু ব্যবসায়ীরা হলেন—আবদুুর রহিম, আমির হোসেন, মন্টু মিয়া, আতিয়ার, মনিরুল, আরিফুল, খায়রুল, রায়হান এবং রবিউল। অসুস্থ গরু ব্যবসায়ীরা ঝিনাইদহ জেলার শ্যামনগর থানার বাসিন্দা বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আমির হোসেন জানান, তারা ৯ জন একসঙ্গে ঝিনাইদহ থেকে ১৮টি গরু নিয়ে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা হাটে এসেছিলেন। শনিবার রাতের মধ্যে তাদের সবগুলো গরু বিক্রি হয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফেরা নিরাপদ নয় চিন্তা করে সবাই মিলে হাট এলাকায় রান্না করে খাওয়ার আয়োজন করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাদের কাছে এসে পানি খেতে চাইলে তারা পানি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই ব্যক্তি জোরপূর্বক তাদের পানির পাত্র থেকে পানি পান করে চলে যায়। রাতে খাবারের পর ওই পাত্র থেকে তারা পানি পান করেন। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা একের পর এক অজ্ঞান হতে শুরু করেন। পরে রোববার বিকালে হাটের লোকজন এবং স্থানীয় পুলিশ তাদের অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অন্যদিকে গাবতলীর পশুরহাট থেকে গবাদিপশু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে রোববার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের বলিয়ারপুরে আবুল কাসেম, মোয়াজ্জেম, তারা মিয়া ও ইছহাক ব্যাপারী নামের চার গরু ব্যবসায়ী মলম পার্টির খপ্পরে পড়েন।
তারা জানান, গাবতলী থেকে জনসেবা পরিবহনের একটি বাসে ধামরাইয়ে ফেরার পথে যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা চোখে মলম লাগিয়ে গরু বিক্রির নগদ ৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা লুট করে তাদের রাস্তায় ফেলে দেয়। যাত্রীরা মলম পার্টির এক সদস্যকে ধরে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করে। এছাড়া জড়িত সন্দেহে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কালামপুর থেকে চাপাতি ও রডসহ ৩ জনকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। ধামরাই থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, আটককৃতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম নামের এক কলেজ ছাত্রও রয়েছে। অন্যরা হচ্ছে দুলাল ও কয়েদ আলী।
অপরদিকে গাবতলী ও খিলক্ষেত খাঁপাড়া এলাকায় শনিবার রাতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ১৪ গরু ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে গাবতলীর ৪ গরু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া টাকার পরিমাণ জানা যায়নি। গাবতলীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া ৪ জন এবং খাঁপাড়া এলাকার ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাবতলী এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত চার গরু ব্যবসায়ী হলেন— আবদুর রাজ্জাক, রব্বানী, হাবিবুর রহমান ও আবদুল মতিন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজ্জাকের বড়ভাই আনোয়ার হোসেন তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, পুরনো ঢাকার নয়াবাজার পশুরহাটে বেচাকেনা করে টাকা-পয়সা নিয়ে গাবতলী যাওয়ার পথে বাসে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নেশাজাতীয়দ্রব্য খাইয়ে তাদের ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া খিলক্ষেত খাঁপাড়া এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ১০ গরু ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্য ব্যবসায়ীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
No comments