লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে পাঠানোর নির্দেশ
তিউনিসিয়ার একটি আপিল আদালত লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আল-বাগদাদি আল-মাহমুদিকে দেশে ফেরত পাঠানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন। লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার এ আবেদন জানিয়েছিল। গত মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন আপিল আদালত।মাহমুদিকে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে তাঁর নিজের এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার উদ্বেগের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত জানালেন আদালত। মাহমুদির আইনজীবী মাব্রুক করশিদ এ রায়কে 'অন্যায্য ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত' হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শুনানির সময় আদালতের বাইরে কয়েক ডজন লিবীয় মাহমুদিকে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ও তাঁর ছেলে সাইফ আল ইসলামের পর মাহমুদিকে 'তৃতীয় স্বৈরাচারী' হিসেবে উল্লেখ করেন।
কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত মাহমুদি (৭০) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত সেপ্টেম্বরে আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ তিউনিসিয়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধভাবে তিউনিসিয়ায় প্রবেশের জন্য তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আপিল করলে রায় প্রত্যাহার করা হয়। তবে প্রত্যাবর্তনের শুনানির জন্য তাঁকে রাজধানী তিউনিসের নিকটবর্তী একটি কারাগারে আটক রাখা হয়। তিউনিসিয়া গত আগস্টেই এনটিসি সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত সপ্তাহে তিউনিসিয়ার প্রতি মাহমুদিকে লিবিয়ার কাছে হস্তান্তর না করার আহ্বান জানায়। লিবিয়ায় তাঁর মানবাধিকার 'ভয়াবহভাবে লঙ্ঘিত' হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি। মাহমুদির আইনজীবী করশিদও গত সপ্তাহে জানান, মাহমুদি মনে করেন লিবিয়ায় ফিরে গেলে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত মাহমুদি (৭০) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত সেপ্টেম্বরে আলজেরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ তিউনিসিয়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধভাবে তিউনিসিয়ায় প্রবেশের জন্য তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আপিল করলে রায় প্রত্যাহার করা হয়। তবে প্রত্যাবর্তনের শুনানির জন্য তাঁকে রাজধানী তিউনিসের নিকটবর্তী একটি কারাগারে আটক রাখা হয়। তিউনিসিয়া গত আগস্টেই এনটিসি সরকারকে স্বীকৃতি দেয়।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত সপ্তাহে তিউনিসিয়ার প্রতি মাহমুদিকে লিবিয়ার কাছে হস্তান্তর না করার আহ্বান জানায়। লিবিয়ায় তাঁর মানবাধিকার 'ভয়াবহভাবে লঙ্ঘিত' হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি। মাহমুদির আইনজীবী করশিদও গত সপ্তাহে জানান, মাহমুদি মনে করেন লিবিয়ায় ফিরে গেলে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments