পদত্যাগ করছেন বারলুসকোনি
ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি বলেছেন, তার সরকারের নেয়া অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনাগুলো অনুমোদন করার পর চলতি মাসের শেষ দিকে তিনি পদত্যাগ করবেন। আস্থাভোটে উের গেলেও পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় তিনি পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনি দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। বারলুসকোনি সরকারের প্রধান প্রধান অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়গুলো এরই মধ্যে পার্লামেন্টে অনুমোদন পেয়েছে।
এদিকে এ মাসের শেষ দিকে বাজেট আইনটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে। আর এর পর পরই ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন বারলুসকোনি। এর মধ্যেই কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রোমে জড়ো হয়ে সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থা জানিয়েছেন। বারলুসকোনি শর্ত দিয়েছেন, পার্লামেন্টে বাজেট পুনর্গঠন প্রস্তাব পাস হলেই তিনি পদত্যাগ করবেন। ঋণ সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা ইতালিকে রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য সদস্যদের আহ্বানে পার্লামেন্টে বাজেট পুনর্গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। বারলুসকোনির পদত্যাগের প্রতিশ্রুতিতে তার মধ্য ডানপন্থী রাজনৈতিক দল নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এ অবস্থায় ইতালিতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
ইতালিয়ান এক টেলিভিশনকে বারলুসকোনি বলেন, পার্লামেন্টে আমরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নই। আমাদের দায়িত্বশীলতা তুলে ধরে বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিষয়টি আমাদের মেনে নেয়া উচিত। এর আগে বাজেট সংক্রান্ত সরকারের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ৩০৮ ভোট পড়ে। এতে প্রস্তাবটি পাস হলেও সরকারের ভবিষ্যত্ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কারণ সরকার চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পার্লামেন্টের অর্ধেক অর্থাত্ ৩১৬ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। ভোটাভুটির আগ পর্যন্ত পদত্যাগের সব আহ্বানই নাকচ করে আসছিলেন ইতালির অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী বারলুসকোনি। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির পরই তিনি ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থতার পর দায় স্বীকার করে পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
সম্প্রতি ইতালিতে ঋণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানের জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে, যদিও ইতালির ঘাটতি তুলনামূলক কম। তারপরও ইতালিতে বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইতালির জিডিপি বৃদ্ধির হার কম এবং ঋণের পরিমাণ ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ইউরো হওয়ায় ইউরোজোনের দেশগুলোর মধ্যে পরবর্তী দেশ হিসেবে ইতালি ইউরো সঙ্কটে পড়বে। অর্থনীতি বিষয়ক ইউরোপিয়ান কমিশনার ওলি রেন দেশটির অর্থনীতির অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ইতালির অর্থনীতি ‘খুবই উদ্বেগজনক’।
ইতালিয়ান এক টেলিভিশনকে বারলুসকোনি বলেন, পার্লামেন্টে আমরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নই। আমাদের দায়িত্বশীলতা তুলে ধরে বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিষয়টি আমাদের মেনে নেয়া উচিত। এর আগে বাজেট সংক্রান্ত সরকারের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ৩০৮ ভোট পড়ে। এতে প্রস্তাবটি পাস হলেও সরকারের ভবিষ্যত্ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কারণ সরকার চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পার্লামেন্টের অর্ধেক অর্থাত্ ৩১৬ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। ভোটাভুটির আগ পর্যন্ত পদত্যাগের সব আহ্বানই নাকচ করে আসছিলেন ইতালির অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী বারলুসকোনি। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির পরই তিনি ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থতার পর দায় স্বীকার করে পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
সম্প্রতি ইতালিতে ঋণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানের জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে, যদিও ইতালির ঘাটতি তুলনামূলক কম। তারপরও ইতালিতে বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইতালির জিডিপি বৃদ্ধির হার কম এবং ঋণের পরিমাণ ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ইউরো হওয়ায় ইউরোজোনের দেশগুলোর মধ্যে পরবর্তী দেশ হিসেবে ইতালি ইউরো সঙ্কটে পড়বে। অর্থনীতি বিষয়ক ইউরোপিয়ান কমিশনার ওলি রেন দেশটির অর্থনীতির অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ইতালির অর্থনীতি ‘খুবই উদ্বেগজনক’।
No comments