এখনো রাজধানীর যত্রতত্র পশুর বর্জ্য-আজ সরানো শেষ হবে!
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো পরিষ্কার করা হলেও পাড়া-মহল্লা ও অলিগলিতে এখনো কোরবানির পশুর বর্জ্য রয়ে গেছে। বর্জ্যের স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ। নির্ধারিত এলাকার পরিবর্তে যত্রতত্র পশুর বর্জ্য ফেলায় এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর সব বর্জ্য অপসারণের পূর্ব ঘোষণা দিলেও গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ডিসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সোমবার দুপুর ২টা থেকে ডিসিসির কর্মীরা পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করেন। সে হিসেবে কাল বৃহস্পতিবার (আজ) দুপুর ২টায় সেই সময় শেষ হবে।
আজ (গতকাল) বিকেল পর্যন্ত আমরা ৮০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি ২০ শতাংশ কাল (আজ) দুপুর ১২টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।'
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যেসব স্থানে পশুর হাট বসেছিল, সেসব স্থান এখনো আবর্জনামুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া পশু কোরবানি শেষে নির্ধারিত স্থানের বাইরে অনেকেই যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে রাখে। এতে চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে অলিগলিতে ফেলে রাখায় ওই সব আবর্জনা সংগ্রহ করতেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেগ পেতে হয়। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম কিছুটা ভালো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এবার বেশ আগে থেকেই ব্যাপক জনসচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল ডিসিসি। তার পরও নগরীর হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মিরপুর প্রভৃতি এলাকার অলিগলিতে গতকালও বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়। মোহাম্মদপুরের জাকিয়া সুলতানা রোড ও নূরজাহান রোডের মোড়ে মোড়ে গতকালও ছোট ছোট আবর্জনার স্তূপ দেখা গেছে। ফলে পথচারী ও এলাকাবাসীর তাতে সমস্যা হচ্ছে।
অনেকে অভিযোগ করেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার মাধ্যমে ডিসিসি যেসব ফোন নম্বর দিয়ে বর্জ্য অপসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল, সেসব নম্বরে ফোন করেও নগরবাসী আশানুরূপ সহযোগিতা পায়নি। অনেক সময় নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। আবার ফোন বাজলেও কেউ ধরেনি। অবশ্য ৯ নম্বর অঞ্চলের ফোনে কালের কণ্ঠ থেকে ফোন করলে তা গ্রহণ করেন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, 'অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা অনেক তৎপর ছিলাম বলেই এবার নগরীতে আবর্জনার স্তূপ জমেনি।' তিনি জানান, এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একটি বিশেষ টিমও গঠন করা হয়। ওই টিমের সদস্যরাও ব্যাপক সক্রিয় ছিলেন।
টিমের সদস্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, 'রাজধানীর প্রতিটি এলাকার বর্জ্য পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক খবর নিয়েছি। গতবারের চেয়ে এবার অনেক বেশি পশু কোরবানি হলেও ডিসিসির তৎপরতার কারণে নগরবাসী বুঝতে পারেনি।' এ ছাড়া ঈদের পরের দুই দিনেও এবার অনেক পশু কোরবানি হয়েছে বলে তিনি জানান।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যেসব স্থানে পশুর হাট বসেছিল, সেসব স্থান এখনো আবর্জনামুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া পশু কোরবানি শেষে নির্ধারিত স্থানের বাইরে অনেকেই যত্রতত্র বর্জ্য ফেলে রাখে। এতে চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে অলিগলিতে ফেলে রাখায় ওই সব আবর্জনা সংগ্রহ করতেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেগ পেতে হয়। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম কিছুটা ভালো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এবার বেশ আগে থেকেই ব্যাপক জনসচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণ করেছিল ডিসিসি। তার পরও নগরীর হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মিরপুর প্রভৃতি এলাকার অলিগলিতে গতকালও বর্জ্যের স্তূপ দেখা যায়। মোহাম্মদপুরের জাকিয়া সুলতানা রোড ও নূরজাহান রোডের মোড়ে মোড়ে গতকালও ছোট ছোট আবর্জনার স্তূপ দেখা গেছে। ফলে পথচারী ও এলাকাবাসীর তাতে সমস্যা হচ্ছে।
অনেকে অভিযোগ করেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার মাধ্যমে ডিসিসি যেসব ফোন নম্বর দিয়ে বর্জ্য অপসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল, সেসব নম্বরে ফোন করেও নগরবাসী আশানুরূপ সহযোগিতা পায়নি। অনেক সময় নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। আবার ফোন বাজলেও কেউ ধরেনি। অবশ্য ৯ নম্বর অঞ্চলের ফোনে কালের কণ্ঠ থেকে ফোন করলে তা গ্রহণ করেন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, 'অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা অনেক তৎপর ছিলাম বলেই এবার নগরীতে আবর্জনার স্তূপ জমেনি।' তিনি জানান, এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একটি বিশেষ টিমও গঠন করা হয়। ওই টিমের সদস্যরাও ব্যাপক সক্রিয় ছিলেন।
টিমের সদস্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, 'রাজধানীর প্রতিটি এলাকার বর্জ্য পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক খবর নিয়েছি। গতবারের চেয়ে এবার অনেক বেশি পশু কোরবানি হলেও ডিসিসির তৎপরতার কারণে নগরবাসী বুঝতে পারেনি।' এ ছাড়া ঈদের পরের দুই দিনেও এবার অনেক পশু কোরবানি হয়েছে বলে তিনি জানান।
No comments