খোকনের মুক্তি দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি : সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই : ফখরুল

বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনের মুক্তির দাবিতে দু’দিনের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।খোকনের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১১ নভেম্বর শুক্রবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এবং ১২ নভেম্বর শনিবার নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ।


মির্জা ফখরুল খোকনের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নরসিংদীর মেয়র লোকমান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নামে মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ভাইকে। আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ মন্ত্রীর দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছে। অথচ সরকার ১৪ জন আসামির একজনকেও গ্রেফতার না করে বিএনপির সবচেয়ে ভদ্র নেতা শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনকে প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে। আজ (বুধবার) সেই মামলা আদালত খারিজ করে দিলে তাকে পুনরায় সার্কিট হাউজ ভাংচুর ও ট্রেন জ্বালিয়ে দেয়ার মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যখন সার্কিট হাউজে ভাংচুর করা হয়, তখন খোকন ঢাকায় ছিলেন। আর যখন ট্রেনে আগুন দেয়া হয়, তখন তিনি জেল সুপারের কামরায় বসা ছিলেন। অথচ সরকার অত্যন্ত হাস্যকরভাবে ওই দুই ঘটনায় গ্রেফতার করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা নিজেরাই জানে না তারা কী করছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হাস্যকর মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। একই সঙ্গে সরকার আদালতকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের দেশ পরিচালনা দেখে মনে হয়, তারা জাতীয় রাজনীতিকে গ্রাম্য রাজনীতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। তিনি বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে। ’৭২ থেকে ’৭৫ সালেও আওয়ামী লীগ দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়ে হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। এখনও তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি করছে। তারা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আবদুস সালাম পিন্টু, নাসির উদ্দিন পিন্টুসহ বিরোধীদলের সিনিয়র নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। তিনি অবিলম্বে সব নেতার মুক্তি দাবি করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডন সফরকালে তার দেখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, শিরিন সুলতানা, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.