পদত্যাগে রাজি বার্লুসকোনি
ইতালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন। দেশটির পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটিতে তার সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা স্পষ্ট হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তবে পার্লামেন্টে বাজেট পুনর্গঠন প্রস্তাব পাস হলেই তিনি পদত্যাগ করবেন। ঋণ সংকটে ধুঁকতে থাকা ইতালিকে রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য সদস্যদের আহ্বানে পার্লামেন্টে বাজেট পুনর্গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এদিকে গতকাল প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বার্লুসকোনি বলেছেন, তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
বার্লুসকোনির পদত্যাগের প্রতিশ্রুতিতে তার মধ্য ডানপন্থি রাজনৈতিক দল নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল একটি জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। এ অবস্থায় ইতালিতে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
লা স্টাম্পা পত্রিকাকে বার্লুসকোনি বলেন, আমি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না। এ মাসের শেষ দিকে পদত্যাগ করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার পরিবর্তে সাবেক বিচারমন্ত্রী এবং পিপলস ফ্রিডম পার্টির নেতা অ্যাঞ্জেলিনো আলফানসো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানান ইতালির প্রধানমন্ত্রী। ইতালিয়ান এক টেলিভিশনকে ফোনে বার্লুসকোনি বলেন, পার্লামেন্টে আমরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নই। আমাদের দায়িত্বশীলতা তুলে ধরে বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিষয়টি আমাদের মেনে নেওয়া উচিত।
এর আগে মঙ্গলবার বাজেট সংক্রান্ত সরকারের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ৩০৮ ভোট পড়ে। এতে প্রস্তাবটি পাস হলেও সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কারণ সরকার চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পার্লামেন্টের অর্ধেক অর্থাৎ ৩১৬ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। খবর বিবিসি, আলজাজিরা।
বিরোধী দল পদত্যাগ করতে বার্লুসকোনির ওপর জোর চাপ দেয়। বার্লুসকোনির সরকারের অংশীদার কয়েকটি দলও তাকে আর সমর্থন দিতে অসম্মতি জানিয়েছে। বাজেট সংক্রান্ত প্রস্তাবে বার্লুসকোনির জোট শরিকদের অনেকে ভোটদানে বিরত ছিল। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধনকুবের বার্লুসকোনির ওপর চাপ ছিল। ভোটাভুটির আগে মিত্র দল নর্দান লীগও বার্লুসকোনিকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়। দলটির নেতা উমবার্তো বোসি সাংবাদিকদের বলেন, পিডিএল দলের প্রধানের পদও বার্লুসকোনির ছাড়া উচিত। ওই পদে আসা উচিত অ্যাঞ্জেলিনো আলফানোর।
মঙ্গলবারের ভোটাভুটির আগ পর্যন্ত পদত্যাগের সব আহ্বানই নাকচ করে আসছিলেন ইতালির অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী বার্লুসকোনি। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির পরই তিনি ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এখন ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থতার পর দায় স্বীকার করে পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
ইতালিতে বাজেট ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আশঙ্কাজনক কম প্রবৃদ্ধির হার এবং প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ইউরো দেনা নিয়ে গ্রিসের পর ইউরো অঞ্চলের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সংকটে পড়তে যাচ্ছে ইতালি।
লা স্টাম্পা পত্রিকাকে বার্লুসকোনি বলেন, আমি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না। এ মাসের শেষ দিকে পদত্যাগ করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তার পরিবর্তে সাবেক বিচারমন্ত্রী এবং পিপলস ফ্রিডম পার্টির নেতা অ্যাঞ্জেলিনো আলফানসো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানান ইতালির প্রধানমন্ত্রী। ইতালিয়ান এক টেলিভিশনকে ফোনে বার্লুসকোনি বলেন, পার্লামেন্টে আমরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নই। আমাদের দায়িত্বশীলতা তুলে ধরে বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিষয়টি আমাদের মেনে নেওয়া উচিত।
এর আগে মঙ্গলবার বাজেট সংক্রান্ত সরকারের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ৩০৮ ভোট পড়ে। এতে প্রস্তাবটি পাস হলেও সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। কারণ সরকার চালানোর মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পার্লামেন্টের অর্ধেক অর্থাৎ ৩১৬ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। খবর বিবিসি, আলজাজিরা।
বিরোধী দল পদত্যাগ করতে বার্লুসকোনির ওপর জোর চাপ দেয়। বার্লুসকোনির সরকারের অংশীদার কয়েকটি দলও তাকে আর সমর্থন দিতে অসম্মতি জানিয়েছে। বাজেট সংক্রান্ত প্রস্তাবে বার্লুসকোনির জোট শরিকদের অনেকে ভোটদানে বিরত ছিল। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধনকুবের বার্লুসকোনির ওপর চাপ ছিল। ভোটাভুটির আগে মিত্র দল নর্দান লীগও বার্লুসকোনিকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়। দলটির নেতা উমবার্তো বোসি সাংবাদিকদের বলেন, পিডিএল দলের প্রধানের পদও বার্লুসকোনির ছাড়া উচিত। ওই পদে আসা উচিত অ্যাঞ্জেলিনো আলফানোর।
মঙ্গলবারের ভোটাভুটির আগ পর্যন্ত পদত্যাগের সব আহ্বানই নাকচ করে আসছিলেন ইতালির অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী বার্লুসকোনি। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির পরই তিনি ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এখন ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থতার পর দায় স্বীকার করে পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
ইতালিতে বাজেট ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আশঙ্কাজনক কম প্রবৃদ্ধির হার এবং প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ইউরো দেনা নিয়ে গ্রিসের পর ইউরো অঞ্চলের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সংকটে পড়তে যাচ্ছে ইতালি।
No comments