গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৭০ কোটি টাকা

ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পরও বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়েনি। গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গড় লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্য দিবসে ৪০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৮১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই সর্বনিম্ন ১৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৩ কোটি টাকা।


অর্থাত্ আগের সপ্তাহের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৩৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। লেনদেনে বড় ধরনের ধস নামার ফলে বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের মাত্রা আরও বেড়েছে।
তবে ঈদের পর বাজার পরিস্থিতি ভালো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার ফলে গত সপ্তাহে বাজারের সূচক আগের তুলনায় সেভাবে পতন হয়নি। ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে বিনিয়োগ করছে বলে মত প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঈদের কারণে লেনদেন কমলেও ঈদের পর বাজার পরিস্থিতি ভালো হবে বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজার এখন বিনিয়োগের জন্য অনুকূল। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর পতনের কারণে গত সপ্তাহেও সূচকের পতন হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় সূচকের পতন হয়েছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৫ হাজার ৩০৮ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষে সূচক কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০৮ পয়েন্টে। এ নিয়ে টানা ৫ম সপ্তাহের মতো সূচকের পতন দিয়েই শেষ হয়েছে সপ্তাহের লেনদেন। আগের সপ্তাহে ডিএসই সূচকের পতন হয়েছিল প্রায় ২৩৬ পয়েন্ট। গত ৫ সপ্তাহে ডিএসই সূচকের পতন হয়েছে ৬০২ পয়েন্টের। সূচকের অব্যাহত পতনের ফলে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর এখন ক্রয়ানুকূলে রয়েছে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর মূল্য-আয় অনুপাত এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮১ তে।

No comments

Powered by Blogger.