ঈদুল আজহা উদ্যাপিত
আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং ত্যাগের শিক্ষায় প্রাণিত হয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গত সোমবার মুসলমানরা তাঁদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেছেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ত্যাগের নমুনা হিসেবে মুসলমানরা হালাল পশু কোরবানি দিয়েছেন। কোরবানির পশুর মাংস বিলিয়েছেন ফকির, মিসকিন ও দরিদ্র মানুষ এবং প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে। এর আগে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানসহ দেশের প্রতিটি মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন মুসলি্লরা।
সকাল ৮টায় ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এ জামাতে অংশ নেন। ঈদের এই কেন্দ্রীয় জামাতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। নামাজ শেষে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে বিদেশি কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ঈদের দিন দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এতিমখানা, জেলখানা ও শিশুসদনগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। মহানগরীর বেশ কিছু ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
বিকেলের দিকে নগরবাসী অনেকেই ছোট ছেলেমেয়েসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে ছোটেন মিরপুর চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে। ঈদের ছুটিতে নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় অনেকেই রিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়ান শহরময়। অনেকেই বেড়াতে যান আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে।
পবিত্র হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে বিশ্ব মুসলিম প্রত্যেকে সাধ্য ও পছন্দ অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন এবং নামাজ আদায় করেন। আরবি আজহা ও কোরবান উভয় শব্দের অর্থ হচ্ছে উৎসর্গ। কোরবানি শব্দের উৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ, আ@ে@@@াৎসর্গ, নিজেকে বিসর্জন, নৈকট্য লাভের চেষ্টা ও অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া ইত্যাদি।
কোরবানির ঈদের মূল আনুষ্ঠানিকতা চলে ঈদের নামাজ আদায় এবং পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বাড়িতে ফিরে পশু কোরবানির মাধ্যমে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কোরবানির পশুর মাংস গরিব-দুঃখী, আত্মীয়স্বজন ও কোরবানিদাতা প্রত্যেকের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে বিতরণ করতে হয়। ঈদের নামাজের পর প্রায় সারা দিনই কেটে যায় কোরবানির পশুর মাংস কাটা, মাংস বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়নে। সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র মানুষ এ দিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাংস সংগ্রহ করে। এভাবেই কোরবানি ঈদের আনন্দ ভাগ হয়ে যায় ধনী-গরিব সবার মাঝে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অনেককে গরিব ও দুস্থদের মধ্যে কোরবানির মাংস বিতরণ করতে দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকেই রাজধানীবাসী নতুন পোশাক পরে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে বের হয়। যানজটমুক্ত রাজধানী এক অচেনা শহরে রূপ নিয়েছিল।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ পরিবেশ বজায় রাখতে শনিবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত এ নিরাপত্তাব্যবস্থা বহাল ছিল। ঈদ উপলক্ষে র্যাব স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত তিন হাজার সদস্য নিয়োগ করেছিল।
রবিবার থেকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়। তবে তিন দিনের ছুটির আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি ছুটি দাঁড়িয়েছে পাঁচ দিনে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, সব বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও এফএম রেডিও ঈদ উপলক্ষে কয়েক দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সমপ্রচার করছে। ঈদ উপলক্ষে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে বিদেশি কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ঈদের দিন দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এতিমখানা, জেলখানা ও শিশুসদনগুলোতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। মহানগরীর বেশ কিছু ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
বিকেলের দিকে নগরবাসী অনেকেই ছোট ছেলেমেয়েসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে ছোটেন মিরপুর চিড়িয়াখানাসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে। ঈদের ছুটিতে নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় অনেকেই রিকশা নিয়ে ঘুরে বেড়ান শহরময়। অনেকেই বেড়াতে যান আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে।
পবিত্র হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে বিশ্ব মুসলিম প্রত্যেকে সাধ্য ও পছন্দ অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন এবং নামাজ আদায় করেন। আরবি আজহা ও কোরবান উভয় শব্দের অর্থ হচ্ছে উৎসর্গ। কোরবানি শব্দের উৎপত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ, আ@ে@@@াৎসর্গ, নিজেকে বিসর্জন, নৈকট্য লাভের চেষ্টা ও অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া ইত্যাদি।
কোরবানির ঈদের মূল আনুষ্ঠানিকতা চলে ঈদের নামাজ আদায় এবং পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বাড়িতে ফিরে পশু কোরবানির মাধ্যমে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কোরবানির পশুর মাংস গরিব-দুঃখী, আত্মীয়স্বজন ও কোরবানিদাতা প্রত্যেকের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে বিতরণ করতে হয়। ঈদের নামাজের পর প্রায় সারা দিনই কেটে যায় কোরবানির পশুর মাংস কাটা, মাংস বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়নে। সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র মানুষ এ দিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে মাংস সংগ্রহ করে। এভাবেই কোরবানি ঈদের আনন্দ ভাগ হয়ে যায় ধনী-গরিব সবার মাঝে।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অনেককে গরিব ও দুস্থদের মধ্যে কোরবানির মাংস বিতরণ করতে দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকেই রাজধানীবাসী নতুন পোশাক পরে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে বের হয়। যানজটমুক্ত রাজধানী এক অচেনা শহরে রূপ নিয়েছিল।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ পরিবেশ বজায় রাখতে শনিবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত এ নিরাপত্তাব্যবস্থা বহাল ছিল। ঈদ উপলক্ষে র্যাব স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত তিন হাজার সদস্য নিয়োগ করেছিল।
রবিবার থেকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়। তবে তিন দিনের ছুটির আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি ছুটি দাঁড়িয়েছে পাঁচ দিনে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, সব বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও এফএম রেডিও ঈদ উপলক্ষে কয়েক দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সমপ্রচার করছে। ঈদ উপলক্ষে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
No comments