আদৃতার পরিচয় মিললেও বেওয়ারিশ দাফনে পুলিশে তোলপাড়
র্যাম্প মডেল তাহিয়া তাবাসসুম আদৃতার (১৮) মৃত্যুরহস্য এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। গ্রেপ্তার হয়নি ঘাতকরা। গত সোমবার রাত পৌনে ১০টায় মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডের সি ব্লকের একটি ভবনের ছাদসংলগ্ন সিঁড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, পরিচয় মেলার পরও পুলিশের অবহেলার কারণে বেওয়ারিশ পরিচয়ে গত বৃহস্পতিবার আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম তাঁর লাশ দাফন করে।নিহত আদৃতার পরিবারসহ পুলিশেরই একাধিক সূত্র জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের পর থানার পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মডেল আদৃতাকে খুন করা হয়েছে।
তাঁর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানোর পর পরিচয় পাওয়া না গেলে আঞ্জুমান মুফিদুলে পাঠিয়ে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। অন্যদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি লাশের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিলেন। তবে আসামি গ্রেপ্তারের কৌশলগত কারণে বিষয়টি গোপন রেখে তাঁরা বেওয়ারিশ হিসেবেই দাফনের ব্যবস্থা করেন। ওসির এ বক্তব্য নিয়ে পুলিশের ওপর মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো কৌশলগত কারণেই পরিচয় পাওয়া কারো লাশ অজ্ঞাতপরিচয়ে বা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করাতে পারেন না। তিনি আরো সময় নিতে পারতেন। এটা হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার শামিল। পুরো পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তির ওপরই ওসির এ বক্তব্যের প্রভাব পড়েছে। জেনেসিস ভিউ অ্যান্ড মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট নামের যে প্রতিষ্ঠানের সিঁড়ি থেকে আদৃতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও ওসির সম্পর্ক আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, আদৃতা খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁর প্রেমিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রেহানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রেহান নিজেও একজন র্যাম্প মডেল। এ ছাড়া ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন মডেল কন্যাসহ ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওড়না জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘাতকরা আলামত সরিয়ে ফেলেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেলে আলামতও জব্দ করা যাবে।
নিহত আদৃতার পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর আদৃতার খোঁজে মোহাম্মদপুর থানায় হাজির হন তাঁর স্বজনরা। তখন পর্যন্ত লাশের পরিচয় নিয়ে রহস্য ছিল। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর পুলিশ নতুন করে হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামলেও গত তিন দিনে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। অজ্ঞাতপরিচয় কলগার্ল হিসেবে সন্দেহ পোষণ ও লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করে পুলিশ। ফলে তড়িঘড়ি লাশ দাফন করায় বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যেও রহস্য দেখা দিয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, লাশ উদ্ধার করার পর মডেল কন্যা আদৃতার পরিচয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্যই তাঁর পরিচয় গোপন করা হয়েছিল। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। তাঁকে কলগার্ল হিসেবে উপস্থাপন করা হয় কেন_এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি জানান, লাশ উদ্ধারের পর জেনেসিস ভিউ অ্যান্ড মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানের লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই তাঁকে কলগার্ল বলা হয়েছিল। এর পেছনে তাঁর কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো কৌশলগত কারণেই পরিচয় পাওয়া কারো লাশ অজ্ঞাতপরিচয়ে বা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করাতে পারেন না। তিনি আরো সময় নিতে পারতেন। এটা হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার শামিল। পুরো পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তির ওপরই ওসির এ বক্তব্যের প্রভাব পড়েছে। জেনেসিস ভিউ অ্যান্ড মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট নামের যে প্রতিষ্ঠানের সিঁড়ি থেকে আদৃতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও ওসির সম্পর্ক আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, আদৃতা খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁর প্রেমিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রেহানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রেহান নিজেও একজন র্যাম্প মডেল। এ ছাড়া ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন মডেল কন্যাসহ ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওড়না জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘাতকরা আলামত সরিয়ে ফেলেছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেলে আলামতও জব্দ করা যাবে।
নিহত আদৃতার পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর আদৃতার খোঁজে মোহাম্মদপুর থানায় হাজির হন তাঁর স্বজনরা। তখন পর্যন্ত লাশের পরিচয় নিয়ে রহস্য ছিল। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর পুলিশ নতুন করে হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামলেও গত তিন দিনে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। অজ্ঞাতপরিচয় কলগার্ল হিসেবে সন্দেহ পোষণ ও লাশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করে পুলিশ। ফলে তড়িঘড়ি লাশ দাফন করায় বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যেও রহস্য দেখা দিয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহমুদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, লাশ উদ্ধার করার পর মডেল কন্যা আদৃতার পরিচয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্যই তাঁর পরিচয় গোপন করা হয়েছিল। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। তাঁকে কলগার্ল হিসেবে উপস্থাপন করা হয় কেন_এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি জানান, লাশ উদ্ধারের পর জেনেসিস ভিউ অ্যান্ড মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানের লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই তাঁকে কলগার্ল বলা হয়েছিল। এর পেছনে তাঁর কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না বলে তিনি জানান।
No comments