কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আর বাধা নেই - সাখাওয়াত : ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে সেনা মোতায়েন হবে না
আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা নেই বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। কিন্তু সেনা মোতায়েনের জন্য কমিশন সরকারের কাছে আবেদন জানাবে না।গতকাল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাখাওয়াত বলেন, এরই মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নতুন এই সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণী গেজেট প্রকাশ করেছে। সিটি করপোরেশনের গেজেট প্রকাশ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে সে অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে কমিশন আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাখাওয়াত বলেন, আমাদের ইচ্ছা না থাকলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ভোটার তালিকার সিডি তৈরি করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের আয়-ব্যয় মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি নিয়োগ দেবে কমিশন। এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কুমিল্লার ৫০ ভাগ কেন্দ্র মনিটরিং করা হবে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনেও বেশকিছু কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হয়েছিল।
সাখাওয়াত বলেন, কুমিল্লায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন ব্যয়ের হিসাব জমা নেবে এবং প্রার্থীদের আয়করের বিষয়টি রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। কোনো প্রার্থীর পক্ষে অন্য যেসব ব্যক্তি সৌজন্যতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে তারা সরকারকে কর দেয় কি না বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, এসব বাড়তি খরচ করে কোনো লাভ হয় না, তার প্রমাণ আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পেয়েছি।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন ইভিএম বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে। এছাড়া দেড় লাখ ভোটারের প্রয়োজনে বুথ সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী পরিবেশ নারায়ণগঞ্জের মতো জটিল হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ফলে এ নির্বাচনে সেনা নিয়োগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে কমিশন।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক র্যাব নিয়োগ করা হলে সেনা বা বিজিবি মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। কারণ হিসেবে তিনি প্রচলিত বাহিনীর আইনি ক্ষমতা, দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অন্য বাহিনীর চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করেন।
নারায়ণগঞ্জে সেনা চাওয়া এবং না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি কথা বলব।
১৪ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে।
সরকার নারায়ণগঞ্জে সেনা না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে কি না—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সংবিধান বিশেষজ্ঞরাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
ওই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং না পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তত্কালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি সাঈদ সাহেবকেও সেনা দেননি।
নারায়ণগঞ্জে সেনা চাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন মেয়র প্রার্থী সেখানকার কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই তালিকা কমিশনের হাতে পৌঁছলে এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবির মুখে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে কমিশন আগামীকাল (আজ বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাখাওয়াত বলেন, আমাদের ইচ্ছা না থাকলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ভোটার তালিকার সিডি তৈরি করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের আয়-ব্যয় মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি নিয়োগ দেবে কমিশন। এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে (ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কুমিল্লার ৫০ ভাগ কেন্দ্র মনিটরিং করা হবে। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনেও বেশকিছু কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হয়েছিল।
সাখাওয়াত বলেন, কুমিল্লায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন ব্যয়ের হিসাব জমা নেবে এবং প্রার্থীদের আয়করের বিষয়টি রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। কোনো প্রার্থীর পক্ষে অন্য যেসব ব্যক্তি সৌজন্যতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে তারা সরকারকে কর দেয় কি না বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, এসব বাড়তি খরচ করে কোনো লাভ হয় না, তার প্রমাণ আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পেয়েছি।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন ইভিএম বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে। এছাড়া দেড় লাখ ভোটারের প্রয়োজনে বুথ সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী পরিবেশ নারায়ণগঞ্জের মতো জটিল হবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ফলে এ নির্বাচনে সেনা নিয়োগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে কমিশন।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক র্যাব নিয়োগ করা হলে সেনা বা বিজিবি মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। কারণ হিসেবে তিনি প্রচলিত বাহিনীর আইনি ক্ষমতা, দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অন্য বাহিনীর চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করেন।
নারায়ণগঞ্জে সেনা চাওয়া এবং না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি কথা বলব।
১৪ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে।
সরকার নারায়ণগঞ্জে সেনা না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে কি না—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সংবিধান বিশেষজ্ঞরাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
ওই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং না পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তত্কালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি সাঈদ সাহেবকেও সেনা দেননি।
নারায়ণগঞ্জে সেনা চাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন মেয়র প্রার্থী সেখানকার কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই তালিকা কমিশনের হাতে পৌঁছলে এবং নারায়ণগঞ্জবাসীর দাবির মুখে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
No comments