বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের শাস্তি-'বাধ্যতামূলক অবসর'প্রাপ্তরা চাকরি ফিরে পেলেন by মজুমদার বাবু

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে মারধরের দায়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সিবিএর সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় নেতাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাঁদের কর্মস্থল হবে ঢাকার বাইরে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ গত বৃহস্পতিবার গোপনে শাস্তি শিথিল করার এ নির্দেশনা জারি করে। শাস্তিপ্রাপ্তদের আবেদনের ভিত্তিতে 'শর্তসাপেক্ষে' নতুন করে এ লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন সূত্র নিশ্চিত করেছে।


এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কারো শাস্তি হলে ছয় মাসের মধ্যে তাঁর আপিলের সুযোগ রয়েছে। সে মোতাবেক ছয়জন শাস্তিপ্রাপ্ত আপিল করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁদের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী পরিচালক রাজী আল হাসানের নেতৃত্বে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করে। কমিটি শাস্তি কমানোর পক্ষে মত দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শর্তসাপেক্ষে তাঁদেরকে লঘু শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী গুরুতর অভিযুক্তদের চারটি ইনক্রিমেন্ট কেটে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। তিনটি ইনক্রিমেন্ট কেটে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হককে রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে। তবে সবাইকে সাধারণ শর্ত দেওয়া হয়েছে, যদি কখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রশাসনিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁদের ক্ষমা করেছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা কাজে যোগদান করেছেন।
২০১০ সালের ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের উপপরিচালক (বর্তমান যুগ্ম পরিচালক) সহিদার রহমানকে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক (করণিক), আইয়ুব আলী (কেয়ারটেকার), মোহাম্মদ আবদুল গাফফার (গাড়িচালক), মো. হুমায়ুন (কেয়ারটেকার), আবুল খায়ের (কেয়ারটেকার) এবং আবদুল বারিককে (কেয়ারটেকার) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে সিবিএ সভাপতি আহসানুল হাবিবের (কেয়ারটেকার) বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি তিন বছর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া আবদুল হাকিম (কেয়ারটেকার), এনামুল হক খান (কেয়ারটেকার) ও মুহাম্মদ সারোয়ার আলমকে (ডাটা এন্ট্রি অপারেটর) তিন বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বন্ধ রেখে সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনা অফিসে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

No comments

Powered by Blogger.