নাসির-সৌরভের ঈদ উপহার
'মা, তোমাকে খুব মনে পড়ছে... মিস ইউ মা...' ঈদের দিন দূর দেশে থাকা এক ছেলে মাকে মনে পড়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল এভাবেই। পরদিন সে ছেলে যখন দেশের হয়ে ১৩৪ রান করেন, তখন তার সে অর্জনকে ঈদ উপহার হিসেবে মায়ের জন্যই পাঠিয়ে দেন। ছেলেটির নাম নাসির হোসেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছেন। যেখানে চার দিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা ১৩৪ রান করেন।
আরেক নবাগত মমিনুল হক সৌরভও তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান স্টেডিয়ামে। ক্যারিবিয়ান পেসের দাপট সামলিয়ে ছোট্ট ছেলেটি ১৫০ রান করেছেন। মূলত নাসির আর সৌরভের জোড়া সেঞ্চুরির কারণেই চার দিনের ম্যাচটি ড্র করতে পেরেছে বাংলাদেশ। সফরের দ্বিতীয় ম্যাচে নাসিররা শনিবার একই দলের বিপক্ষে নামবে।
ঢাকা টেস্ট শেষ হওয়ার পরই রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রওনা হন নাসির হোসেন, রাকিবুল হাসান আর সোহরাওয়ার্দী শুভ। তারা ছাড়াও জুনায়েদ সিদ্দিকী, জহুরুল ইসলাম অমি আর শুভগত হোম চৌধুরীর মতো জাতীয় দলের তারকারা খেলছেন এ সিরিজ। যেখানে জুনায়েদ সিদ্দিকী দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ সফর রাকিবুল হাসানের জন্যও একটি পরীক্ষা ছিল; কিন্তু প্রথম ম্যাচে তিনিও তেমন কিছু করতে পারেননি, প্রথম ইনিংসে ৫ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ করেছেন। ৫ নভেম্বর শুরু হওয়া এ ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই ৩৫৮ রানের বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। পেসার কামরুল ইসলাম রাবি্ব ১১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তী সময়ে ডেনজা হায়াতের ৯২ আর আন্দ্রে রাসেলের ১২৮ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে সামলে ওঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাবি্ব ৫৪ রান দিয়ে আর সোহরাওয়ার্দী শুভ ১০৭ রানের বিনিময়ে চারটি করে উইকেটের দখল নেন। এরপর এই রান তাড়া করতে নেমে জাতীয় দলের মতো 'এ' দলও ৫৯ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে। অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি ২২, জুনায়েদ ২, শুভগত ৫ আর রাকিবুল হাসান ৫ রান করে আউট হয়ে যান। এরপরই পঞ্চম উইকেট জুটিতে সৌরভ আর নাসির ২৫৯ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌরভ ২২৩ বলে ২০ বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন। তৃতীয় দিন সৌরভ পাসকেলের বলে বোল্ড হয়ে গেলে নাসিরও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। এরপর আট নম্বরে নামা উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ৫২ রানের ঝটপট এক ইনিংস খেলে দলের স্কোর ৪২২ রানে পেঁৗছে দেন।
বাংলাদেশ থেকে ৬৪ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোনারের ১২৭ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে এবার ২৯৬ রানে অল আউট হয় স্বাগতিকরা। এ ইনিংসেও সোহরাওয়ার্দী শুভ উইকেটের দেখা পান। ৮১ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখলে নেন শুভ। বাকিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম শিবলু ৩ আর নাসির হোসেন ২ উইকেট শিকার করেন। শেষ দিন ২৩২ রানের টার্গেট ছিল বাংলাদেশিদের সামনে, হাতে ছিল ৫৩ ওভার; কিন্তু শুরুতেই ১ রান করা জুনায়েদ আউট হয়ে গেলে কিছুটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শুভগত হোমও ১২ রানের মধ্যে ফিরে যান, অধিনায়ক জহুরুল ৪১ রানের বেশি যেতে পারেননি। আগের ইনিংসে দেড়শ' করা মমিনুল ১৩ রানে ফিরে যান। ১০৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নাসির আর মিঠুন অপরাজিত থেকে দলের স্কোর ৫ উইকেটে ১৩৫ রান রেখে ম্যাচ শেষ করে।
ঢাকা টেস্ট শেষ হওয়ার পরই রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রওনা হন নাসির হোসেন, রাকিবুল হাসান আর সোহরাওয়ার্দী শুভ। তারা ছাড়াও জুনায়েদ সিদ্দিকী, জহুরুল ইসলাম অমি আর শুভগত হোম চৌধুরীর মতো জাতীয় দলের তারকারা খেলছেন এ সিরিজ। যেখানে জুনায়েদ সিদ্দিকী দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ সফর রাকিবুল হাসানের জন্যও একটি পরীক্ষা ছিল; কিন্তু প্রথম ম্যাচে তিনিও তেমন কিছু করতে পারেননি, প্রথম ইনিংসে ৫ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭ করেছেন। ৫ নভেম্বর শুরু হওয়া এ ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই ৩৫৮ রানের বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। পেসার কামরুল ইসলাম রাবি্ব ১১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তী সময়ে ডেনজা হায়াতের ৯২ আর আন্দ্রে রাসেলের ১২৮ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে সামলে ওঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাবি্ব ৫৪ রান দিয়ে আর সোহরাওয়ার্দী শুভ ১০৭ রানের বিনিময়ে চারটি করে উইকেটের দখল নেন। এরপর এই রান তাড়া করতে নেমে জাতীয় দলের মতো 'এ' দলও ৫৯ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে বসে। অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি ২২, জুনায়েদ ২, শুভগত ৫ আর রাকিবুল হাসান ৫ রান করে আউট হয়ে যান। এরপরই পঞ্চম উইকেট জুটিতে সৌরভ আর নাসির ২৫৯ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌরভ ২২৩ বলে ২০ বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন। তৃতীয় দিন সৌরভ পাসকেলের বলে বোল্ড হয়ে গেলে নাসিরও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। এরপর আট নম্বরে নামা উইকেটকিপার কাম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ৫২ রানের ঝটপট এক ইনিংস খেলে দলের স্কোর ৪২২ রানে পেঁৗছে দেন।
বাংলাদেশ থেকে ৬৪ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোনারের ১২৭ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে এবার ২৯৬ রানে অল আউট হয় স্বাগতিকরা। এ ইনিংসেও সোহরাওয়ার্দী শুভ উইকেটের দেখা পান। ৮১ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখলে নেন শুভ। বাকিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম শিবলু ৩ আর নাসির হোসেন ২ উইকেট শিকার করেন। শেষ দিন ২৩২ রানের টার্গেট ছিল বাংলাদেশিদের সামনে, হাতে ছিল ৫৩ ওভার; কিন্তু শুরুতেই ১ রান করা জুনায়েদ আউট হয়ে গেলে কিছুটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শুভগত হোমও ১২ রানের মধ্যে ফিরে যান, অধিনায়ক জহুরুল ৪১ রানের বেশি যেতে পারেননি। আগের ইনিংসে দেড়শ' করা মমিনুল ১৩ রানে ফিরে যান। ১০৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নাসির আর মিঠুন অপরাজিত থেকে দলের স্কোর ৫ উইকেটে ১৩৫ রান রেখে ম্যাচ শেষ করে।
No comments