ভেনিজুয়েলার তরুণী সারকোস ২০১১ সালের বিশ্বসুন্দরী
বিশ্বের ১১৩টি দেশের সুন্দরীকে পেছনে ফেলে ৬১তম বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতেছেন ভেনিজুয়েলার ২১ বছরের তরুণী ইভিয়ান সারকোস। ঝলমলে এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার ২০১১ সালের বিশ্বসুন্দরী ইভিয়ান সারকোসের মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের বিজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের আলেক্সান্দ্রিয়া মিলস। প্রথম রানারআপ হয়েছেন মিস ফিলিপাইন গেনডোলিন রুয়ায়িস। দ্বিতীয় রানারআপের সম্মান পেয়েছেন মিস পুয়ের্তোরিকো আমান্ডা পেরেজ।
ভেনিজুয়েলার তরুণী ইভিয়ান সারকোসের স্বপ্ন ছিল ঈশ্বরের সাধনায় মনোনিবেশ করার। কৈশোরে মা-বাবাকে হারানোর পর নানবিদ্যা নিয়ে পাঁচ বছর পড়াশোনাও করেছিলেন ইভিয়ান সারকোস।
ভেনিজুয়েলার তরুণী ইভিয়ান সারকোসের স্বপ্ন ছিল ঈশ্বরের সাধনায় মনোনিবেশ করার। কৈশোরে মা-বাবাকে হারানোর পর নানবিদ্যা নিয়ে পাঁচ বছর পড়াশোনাও করেছিলেন ইভিয়ান সারকোস।
কিন্তু হঠাত্ করেই একেবারে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয় এই তরুণীর জীবন। মানবসম্পদ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন ও একটি ব্রডকাস্ট কোম্পানিতে কাজ করার পর বিশ্বের সেরা সুন্দরীর স্বীকৃতি পেয়েছেন একদা নান হতে চাওয়া মিস ভেনিজুয়েলা ইভিয়ান সারকোস। বিশ্বসুন্দরীর মুকুট পরার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সারকোস। অশ্রুভেজা চোখে তিনি বলেন, নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারী মনে হচ্ছে। আমি খুবই খুশি। আমার চিত্কার করতে ইচ্ছা হচ্ছে, হাসতে ইচ্ছা হচ্ছে। কান্নাও আসছে। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হওয়ার জন্য আমি প্রচণ্ড খুশি। নান হওয়ার স্বপ্ন সত্যি না হলেও সমাজসেবার কাজে নিজেকে নিবেদন করতে চান বিশ্বসুন্দরী ইভিয়ান সারকোস। ভবিষ্যতে এতিম বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি। বলেছেন, আমি বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি খুব অল্প বয়সেই মা-বাবাকে হারিয়েছিলাম। এখন আমি আমার মতো এতিম কিশোর-কিশোরীদের সাহায্য করতে চাই।
No comments