সিরিজ নিশ্চিত করতে ঝুঁকির পথে যায়নি পাকিস্তান
পাকিস্তান ঝুঁকি নিতে চায়নি মোটেই। শেষ দিনে ২৫৫ রানের লক্ষ্য জয়ের জন্য। সেখানে রঙ্গনা হেরাথ ২২ ওভার বল করে মেডেন নিলেন ১৪টি। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন মিসবাউল হক। তিনি আসাদ শফিককে নিয়ে ৯৫ বলে ১০ রানের জুটি গড়ার পথেই যা জানান দেওয়ার জানিয়ে দিয়েছিলেন। শারজার এই ম্যাচ জেতা নয়, পাকিস্তান বরং সিরিজ জয়ের কৃতিত্বটাই হাতছাড়া করতে চায়নি। তৃতীয় টেস্টে ড্রটা তাই বিরক্তিকর ঠেকলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-০ সিরিজ জয়ের উৎসব করতে কোনো বাধা হয়নি পাকিস্তানিদের।
আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের জন্য এটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে মিসবাহদের, সন্দেহ নেই। তবে লঙ্কানদের জন্য অনুপ্রেরণাও হয়ে থাকল এই শেষ টেস্টটা। সাঈদ আজমলের সঙ্গে ম্যান অব দ্য সিরিজের ট্রফি নিতে এসে কুমার সাঙ্গাকারা যেমন বলেছেন, 'এই টেস্টের পুরোটা সময়ই আমরা চালকের আসনে ছিলাম। এটা আমাদের কাছে এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে যে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে আমরা যদি একটা দারুণ শুরু এনে দিতে পারি, তাহলে টেস্টে আমরা ভালো করবই।' তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দলকে ভালো একটা শুরু এনে দেওয়ার কৃতিত্ব কুমার সাঙ্গাকারার। প্রথম টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাবেক এই অধিনায়ক, তবে সেটা দ্বিতীয় ইনিংসে কাজে দিয়েছে হার বাঁচাতে। আবুধাবি টেস্টে সাঙ্গা সেঞ্চুরি পাননি, প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ১৯৭ রানে। পাকিস্তান সেই ম্যাচটা জিতেই সোমবার সিরিজ জয়ের আনন্দে ভেসেছে। 'এই জয়ের জন্য খেলোয়াড় এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সবাইকেই ধন্যবাদ। তবে ওয়ানডে ভিন্ন বলের খেলা আমাদের, তাই আবার নতুনভাবে মনোযোগ দিতে পারি। আশা করি, আমরা আবারও সাফল্য পাব।' সিরিজ জয়ের ট্রফি হাতে জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
মিসবাহর উচ্ছ্বাসটা মাত্রা ছাড়ায়নি, শেষ টেস্টে ব্যাকফুটে চলে যাওয়াতেই হয়তো। পাকিস্তান ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, বলা যাবে না। লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংই হয়তো সাহসী হতে দেয়নি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ আউট হয়েছেন দলীয় ২০ রানে। ৭৭ রানের মধ্যে পাকিস্তান একে একে হারিয়েছে ইনফর্ম তৌফিক ওমর, আজহার আলী ও ইউনুস খানকে। মিসবাহ তাই চ্যালেঞ্জটা নেননি। পঞ্চম দিনের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার স্কোর যখন ৬ উইকেটে ১৮১, বোলারদের ওপর আস্থা রেখে তখনই দ্বিতীয় ঘোষণা করেন দিলশান। ম্যাচশেষে ওয়ালেগেদেরা, হেরাথ, রানদিভরা তাই প্রশংসাই পেলেন অধিনায়কের, 'দ্বিতীয় টেস্টটা হেরে যাওয়ার পর এই ম্যাচে আমরা সর্বস্ব দিয়ে খেলেছিলাম। ধাম্মিকার ইনজুরিতে আমাদের কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বোলাররা সত্যিই দারুণ করেছে। ওয়ানডে সিরিজেও আশা করছি আমরা ভালো করব।' ক্রিকইনফো
শ্রীলংকা : ৪১৩ ও ১৮১/৬ ডিক্লে. (পারানাভিতানা ৭৬, সাঙ্গাকারা ৫১; আজমল ৩/৫০, গুল ২/৪৪)।
পাকিস্তান : ৩৪০ ও ৮৭/৪ (তৌফিক ৩৯; ওয়েলেগেদারা ১/১৯, রানদিভ ১/১৯)।
ফল : ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : কুমার সাঙ্গাকারা।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : কুমার সাঙ্গাকারা ও সাঈদ আজমল।
মিসবাহর উচ্ছ্বাসটা মাত্রা ছাড়ায়নি, শেষ টেস্টে ব্যাকফুটে চলে যাওয়াতেই হয়তো। পাকিস্তান ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, বলা যাবে না। লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংই হয়তো সাহসী হতে দেয়নি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ আউট হয়েছেন দলীয় ২০ রানে। ৭৭ রানের মধ্যে পাকিস্তান একে একে হারিয়েছে ইনফর্ম তৌফিক ওমর, আজহার আলী ও ইউনুস খানকে। মিসবাহ তাই চ্যালেঞ্জটা নেননি। পঞ্চম দিনের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার স্কোর যখন ৬ উইকেটে ১৮১, বোলারদের ওপর আস্থা রেখে তখনই দ্বিতীয় ঘোষণা করেন দিলশান। ম্যাচশেষে ওয়ালেগেদেরা, হেরাথ, রানদিভরা তাই প্রশংসাই পেলেন অধিনায়কের, 'দ্বিতীয় টেস্টটা হেরে যাওয়ার পর এই ম্যাচে আমরা সর্বস্ব দিয়ে খেলেছিলাম। ধাম্মিকার ইনজুরিতে আমাদের কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বোলাররা সত্যিই দারুণ করেছে। ওয়ানডে সিরিজেও আশা করছি আমরা ভালো করব।' ক্রিকইনফো
শ্রীলংকা : ৪১৩ ও ১৮১/৬ ডিক্লে. (পারানাভিতানা ৭৬, সাঙ্গাকারা ৫১; আজমল ৩/৫০, গুল ২/৪৪)।
পাকিস্তান : ৩৪০ ও ৮৭/৪ (তৌফিক ৩৯; ওয়েলেগেদারা ১/১৯, রানদিভ ১/১৯)।
ফল : ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : কুমার সাঙ্গাকারা।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : কুমার সাঙ্গাকারা ও সাঈদ আজমল।
No comments