জয় দিয়ে শুরু ভারতের

ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের সুবাসটা আগে থেকেই পাচ্ছিল স্বাগতিক ভারত। স্বাগতিক বোলাররাই মূলত জয়ের পথটা পরিচ্ছন্ন করেছিলেন ড্যারেন সামি বাহিনীকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে। বোলারদের পর জয় নিশ্চিত করেন দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার ও ভিভিএস লক্ষ্মণ। ক্যারিবীয়দের বেঁধে দেয়া ২৭৫ রানের টার্গেট তাড়া করে জয় তুলে নিতে খুব বেশি বেগ পোহাতে হয়নি ভারতকে। টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।


শচীন টেন্ডুলকার শততম সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলের জয়ে রেখেছেন বড় ভূমিকা। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে আরও একটি রেকর্ড গড়লেন শচীন। সেটা সর্বোচ্চ রানের। তিনিই একমাত্র টেস্ট ব্যাটসম্যান, যিনি পনের হাজারি ক্লাবের একমাত্র সদস্য। দেবেন্দ্র বিশুর বলে এক রান তুলে নিয়ে পনের হাজার রানের কোটা পূর্ণ করেন শচীন। ম্যাচে তার সঙ্গে ভিভিএস লক্ষ্মণের হার না মানা ৫৮ রানের ইনিংস দলের জয়কে করেছে ত্বরান্বিত।
গতকাল নয়াদিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুতে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১২৪ রান। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় দিনের শুরুতে মাত্র এক রান যোগ করে সাজঘরের পথ ধরেন ফিদেল এডওয়ার্ডসের বলে বোল্ড হয়ে। তিনি খেলা শুরু করেছিলেন ৩০ রান নিয়ে। তখন দলের রান ছিল ১৬২। এরপর শচীনের সঙ্গে যোগ দেন লক্ষ্মণ। উইকেটে এসেই লেগ গ্ল্যান্স করে দুটি চার মেরে তিনি জানান দেন তার উপস্থিতির কথা। তখন থেকেই উইকেটে ছিল তার সাবলীল পদচারণা।
এদিকে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের দর্শকরা এদিন শচীনের শততম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করতে না পারলেও আরও একটি রেকর্ড করেছেন তিনি। অতিক্রম করেছেন পনের হাজার রানের মাইলফলক। লিটল মাস্টার খ্যাত এ ব্যাটসম্যান দেবেন্দ্র বিশুর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দেন লক্ষ্মণ। তিনি ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দেন দলকে। ১০৫ বলের খরচায় করা ৫৮ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। এটি ছিল লক্ষ্মণের ৫৫তম অর্ধশতক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৫৬ রানে দুই উইকেট নেন স্যামি। তিন টেস্ট সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে আছে ভারত। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে ১৪ নভেম্বর কলকাতায়।

No comments

Powered by Blogger.