পানি সঙ্কটে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পানি সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্টেডিয়ামে প্রতিদিনই বিভিন্ন খেলা চললেও ক্রীড়াবিদদের মুখ-হাত ধোয়া বা টয়লেট সারারও ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। জিমনেসিয়ামে কারাতে লিগ শেষ হয়েছে, চলছে বাস্কেটবল প্রশিক্ষণ কোর্স। কিন্তু এখানে বাথরুম বা টয়লেট থাকলেও পানি না থাকায় দুর্গন্ধে পুরো জিমনেসিয়াম দূষিত হয়ে পড়েছে।চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষের পথে। আর কয়টা দিন মাত্র বাকি। আর এই শেষ লগ্নে এসেও একের পর এক খেলা চালানোয় কোনো ক্লান্তি দেখা যাচ্ছে না।
কিন্তু সিজেকেএসের বর্তমান কমিটি খেলাধুলা আয়োজনে ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখালেও এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের তীব্র পানি সঙ্কট তাদের বিশাল অর্জনে কালিমালিপ্ত করেছে।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এখন বিকালে চলছে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ এবং সকালে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। আউটার স্টেডিয়ামে চলছে জমজমাট কাবাডি লিগ। জিমনেসিয়ামে কারাতে লিগ শেষ হলেও এখন চলছে বাস্কেটবল লিগ। একেবারে সরগরম এখন স্টেডিয়াম। কিন্তু এতসব খেলাধুলা চললেও খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সবাইকে পানি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় সময় কাটাতে হচ্ছে। নেই খেলা শেষে একটু মুখ ধোয়ার সুযোগ। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে নেই কোনো পানির ব্যবস্থা। পানি ছাড়া ব্যবহার করতে করতে বাথরুমগুলোর অবস্থা এতটাই নোংরা হয়ে গেছে যে, কোনো সুস্থ মানুষ এসব টয়লেটের পাশ দিয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে যাবে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে সাংবাদিকরা। প্যাভেলিয়ন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রেস বক্সসংলগ্ন বাথরুমটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে অনেকদিন ধরে। বাথরুমে নেই পানির কোনো টেপ, কমোড ভাঙা, এখানে-সেখানে পড়ে আছে পানের পিক, একেবারে অপরিচ্ছন্ন এবং দুর্গন্ধময় এই টয়লেট শুধু মানুষের রোগবালাই বাড়ানোর কাজে আসতে পারে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সেখানে একটু প্রস্রাব করারও কোনো সুযোগ নেই। সিজেকেএস অফিসের পাশেই বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অফিস। তারা যে সুখে আছে তাও নয়, সেখানেও পানি নেই। বাইরে থেকে পানি এনে জরুরি কাজ সারতে হচ্ছে তাদের। কেন পানি নেই স্টেডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়? জানা গেছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অফিসের সামনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অর্থে একটি গভীর নলকূপ বসানো হলেও সেখান থেকে পানির লাইনগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের দিকে। ফলে সব মার্কেট ঘুরে স্টেডিয়ামের অফিসগুলোতে পানি আসতে অনেক সময় লাগে। গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে গভীর নলকূপটিতে ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামতের কাজ চলছে। কিন্তু আইসিসির ৮২তম টেস্ট ভেন্যু, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীর প্রধান স্টেডিয়ামে এমন পানির জন্য হাহাকার সত্যিই লজ্জার ব্যাপার বলে মনে করেন ক্রীড়ামোদীরা। তবে কবে নাগাদ এই পানির হাহাকার শেষ হবে এ ব্যাপারে সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে গ্যাস, বিদ্যুত্, পানির তীব্র সঙ্কট রয়েছে। আমরাও তার থেকে আলাদা নই। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হলেও আমরা সিজেকেএসের অর্থায়নে এখানে গভীর নলকূপ লাগিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি খারাপ হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে পানি সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এটি মেরামত করে পুনর্স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পানি সঙ্কটের ব্যাপারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক আসলাম হোসেন খান বলেন, এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের তীব্র পানি সঙ্কট সমাধানে প্রায় ১৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছি। এ ব্যাপারে সচিব মহোদয়ের সহযোগিতা পাচ্ছি। কেন্দ্রের সহযোগিতা নিয়ে আশা করছি, অচিরেই ডিপ টিউবওয়েল বসানোসহ সব স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু হবে।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এখন বিকালে চলছে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ এবং সকালে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। আউটার স্টেডিয়ামে চলছে জমজমাট কাবাডি লিগ। জিমনেসিয়ামে কারাতে লিগ শেষ হলেও এখন চলছে বাস্কেটবল লিগ। একেবারে সরগরম এখন স্টেডিয়াম। কিন্তু এতসব খেলাধুলা চললেও খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সবাইকে পানি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় সময় কাটাতে হচ্ছে। নেই খেলা শেষে একটু মুখ ধোয়ার সুযোগ। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে নেই কোনো পানির ব্যবস্থা। পানি ছাড়া ব্যবহার করতে করতে বাথরুমগুলোর অবস্থা এতটাই নোংরা হয়ে গেছে যে, কোনো সুস্থ মানুষ এসব টয়লেটের পাশ দিয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে যাবে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে সাংবাদিকরা। প্যাভেলিয়ন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্রেস বক্সসংলগ্ন বাথরুমটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে অনেকদিন ধরে। বাথরুমে নেই পানির কোনো টেপ, কমোড ভাঙা, এখানে-সেখানে পড়ে আছে পানের পিক, একেবারে অপরিচ্ছন্ন এবং দুর্গন্ধময় এই টয়লেট শুধু মানুষের রোগবালাই বাড়ানোর কাজে আসতে পারে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সেখানে একটু প্রস্রাব করারও কোনো সুযোগ নেই। সিজেকেএস অফিসের পাশেই বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার অফিস। তারা যে সুখে আছে তাও নয়, সেখানেও পানি নেই। বাইরে থেকে পানি এনে জরুরি কাজ সারতে হচ্ছে তাদের। কেন পানি নেই স্টেডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়? জানা গেছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অফিসের সামনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অর্থে একটি গভীর নলকূপ বসানো হলেও সেখান থেকে পানির লাইনগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্টেডিয়াম মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের দিকে। ফলে সব মার্কেট ঘুরে স্টেডিয়ামের অফিসগুলোতে পানি আসতে অনেক সময় লাগে। গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে গভীর নলকূপটিতে ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামতের কাজ চলছে। কিন্তু আইসিসির ৮২তম টেস্ট ভেন্যু, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীর প্রধান স্টেডিয়ামে এমন পানির জন্য হাহাকার সত্যিই লজ্জার ব্যাপার বলে মনে করেন ক্রীড়ামোদীরা। তবে কবে নাগাদ এই পানির হাহাকার শেষ হবে এ ব্যাপারে সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে গ্যাস, বিদ্যুত্, পানির তীব্র সঙ্কট রয়েছে। আমরাও তার থেকে আলাদা নই। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হলেও আমরা সিজেকেএসের অর্থায়নে এখানে গভীর নলকূপ লাগিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি খারাপ হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে পানি সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এটি মেরামত করে পুনর্স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পানি সঙ্কটের ব্যাপারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক আসলাম হোসেন খান বলেন, এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের তীব্র পানি সঙ্কট সমাধানে প্রায় ১৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছি। এ ব্যাপারে সচিব মহোদয়ের সহযোগিতা পাচ্ছি। কেন্দ্রের সহযোগিতা নিয়ে আশা করছি, অচিরেই ডিপ টিউবওয়েল বসানোসহ সব স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু হবে।
No comments