পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে ইরান
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে_ জানিয়েছে জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ। ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টায় সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে এক প্রতিবেদনে বলেছে, পরমাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে তেহরান কাজ করেছে বলে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আছে। মঙ্গলবার ১১৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়, যাচাইকৃত ও বিশ্বস্ত এসব তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পরমাণু বোমার নকশা তৈরির ক্ষেত্রে ইরান কাজ করেছে। ইরান প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমারা। খবর বিবিসি, এএফপি।
আইএইএর প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক দাবির পক্ষ নিচ্ছে। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না আপনারা কেন যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক দাবির পক্ষ নিয়ে জাতিসংঘের সম্মান নষ্ট করছেন। ইরানের কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইরান তাদের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করবে না। ইরানের শের ই কুর্দে এক বিশাল জনসভায় ভাষণদানকালে আহমাদিনেজাদ এসব কথা বলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালের শেষদিকে ইরান এ কাজ শুরু করেছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এমনকি ইরান পরমাণু অস্ত্রের প্রাথমিক নকশাসহ সংশ্লিষ্ট উপকরণের পরীক্ষাও চালিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আগামী সপ্তাহে জমা দেবে আইএইএ। একই সঙ্গে সংস্থাটি ইরানকে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই আইএইএ'কে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আইএইএর এই প্রতিবেদন তেহরান নাকচ করে দিয়ে বলেছে, মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, আমাদের কোনো পরমাণু বোমার দরকার নেই। শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পরমাণু কার্যক্রম চালাচ্ছে ইরান।
এদিকে আইএইএর এই প্রতিবেদনের পর চীন তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক দলকে ইরানের আন্তরিকতা দেখানো উচিত এবং দৃঢ়ভাবে সহযোগিতা করা উচিত। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোং লেই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে ইরানকে 'নমনীয়তা' দেখানোর পাশাপাশি দৃঢ়ভাবে 'সহযোগিতা করা' উচিত। একই সঙ্গে হোং লেই আইএইএ'কে 'সঠিক এবং নিরপেক্ষভাবে' তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চীন এবং রাশিয়া ইরানের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তবে রাশিয়া এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইরানকে আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে বলে হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরান যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে তাদের এ কর্মসূচি চালিয়ে যায় তবে তাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা সংক্রান্ত আইএইএ প্রতিবেদনে তারা গভীর উদ্বিগ্ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টনের মুখপাত্র জানান, আইএইএর এই প্রতিবেদন প্রমাণ করে, ইরান পরামাণু অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে এগুচ্ছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। এদিকে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিলেও এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনও জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি নিয়ে পর্যালোচনা করছে। এমনকি তিনি বলেন, নেতানিয়াহু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেশটির সামরিক ও বেসামরিক কমকর্তাদের নিষেধ করেছেন। ইরানের পরমাণু স্থাপনা গুটিয়ে দিতে ইসরায়েল সে দেশে হামলা চালাতে পারে_ এমন গুজবের কয়েক দিন পরই আইএইএ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল। বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিবেদনটি তেহরানকে আরও চাপের মুখে ফেলবে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান অবজ্ঞা করায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তেহরানের ওপর এ পর্যন্ত চার দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালের শেষদিকে ইরান এ কাজ শুরু করেছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এমনকি ইরান পরমাণু অস্ত্রের প্রাথমিক নকশাসহ সংশ্লিষ্ট উপকরণের পরীক্ষাও চালিয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আগামী সপ্তাহে জমা দেবে আইএইএ। একই সঙ্গে সংস্থাটি ইরানকে কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই আইএইএ'কে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আইএইএর এই প্রতিবেদন তেহরান নাকচ করে দিয়ে বলেছে, মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, আমাদের কোনো পরমাণু বোমার দরকার নেই। শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পরমাণু কার্যক্রম চালাচ্ছে ইরান।
এদিকে আইএইএর এই প্রতিবেদনের পর চীন তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক দলকে ইরানের আন্তরিকতা দেখানো উচিত এবং দৃঢ়ভাবে সহযোগিতা করা উচিত। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোং লেই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ে ইরানকে 'নমনীয়তা' দেখানোর পাশাপাশি দৃঢ়ভাবে 'সহযোগিতা করা' উচিত। একই সঙ্গে হোং লেই আইএইএ'কে 'সঠিক এবং নিরপেক্ষভাবে' তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, চীন এবং রাশিয়া ইরানের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তবে রাশিয়া এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ইরানকে আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে বলে হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরান যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে তাদের এ কর্মসূচি চালিয়ে যায় তবে তাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা সংক্রান্ত আইএইএ প্রতিবেদনে তারা গভীর উদ্বিগ্ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টনের মুখপাত্র জানান, আইএইএর এই প্রতিবেদন প্রমাণ করে, ইরান পরামাণু অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্যে এগুচ্ছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। এদিকে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার হুমকি দিলেও এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনও জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি নিয়ে পর্যালোচনা করছে। এমনকি তিনি বলেন, নেতানিয়াহু এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে দেশটির সামরিক ও বেসামরিক কমকর্তাদের নিষেধ করেছেন। ইরানের পরমাণু স্থাপনা গুটিয়ে দিতে ইসরায়েল সে দেশে হামলা চালাতে পারে_ এমন গুজবের কয়েক দিন পরই আইএইএ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল। বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিবেদনটি তেহরানকে আরও চাপের মুখে ফেলবে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান অবজ্ঞা করায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তেহরানের ওপর এ পর্যন্ত চার দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
No comments