নতুন মূসক আইন সময়ের দাবি: অর্থমন্ত্রী
বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইনটিকে জটিল বলে অভিহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আইনটি প্রথম দিকে যা ছিল, বর্তমানে সেই আকারে নেই। এতে সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে অনেক বেশি। সামগ্রিকভাবে এটি অনেক জটিল হয়ে পড়েছে। তাই নতুন আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।
প্রস্তাবিত মূসক আইনের খসড়াটি ব্যবসায়ীরা ভালো করে পড়েননি বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
গতকাল রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মূসক আইন-২০১১-এর ওপর অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআরের সদস্য আবদুল মান্নান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও আইন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তাবিত আইনের প্রধান প্রধান সংশোধিত অংশ তুলে ধরেন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রস্তাবিত আইনটিকে সমর্থন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো করে দেখলে একে গ্রহণ না করার মতো কিছু নেই। তবে আরও ব্যবসাবান্ধব করতে ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়া যেতে পারে।’
অর্থমন্ত্রী এনবিআরকে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনেরও নির্দেশ দেন।
ব্যস্ততার কারণে অনুষ্ঠানের মাঝখানে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত আইনটি অনেক সময়োপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনটি সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের পুরোপুরি ধারণা না থাকায় তিনি বিস্মিত।
তবে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, নতুন করে মূসক আইন প্রণয়নের দরকার নেই। বরং বিদ্যমান আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করলেই হবে। যেভাবে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে তাঁদের ধারণা।
প্রস্তাবিত মূসক আইনে মূল্য, ইনভয়েস পদ্ধতি, প্যাকেজ পদ্ধতি, কর অব্যাহতি, সেবা আমদানি, উৎসে কর, টার্নওভার এনলিস্টেড ফার্ম, রিফান্ড ও রিওয়ার্ডের জন্য আলাদা হিসাব, রিটার্ন দাখিল, মূসকের হার, আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি, নিবাসী ও অনিবাসীদের মূসক দেওয়ার বিষয়ে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া এতে কোনো ব্যক্তি মূসক আরোপের যোগ্য হওয়ার পরও মূসক নিবন্ধন না নিলে জেল-জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আইনে। এমনকি পাঁচ বছরের জেল দণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া মূসক কর্মকর্তারা কোনো ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে মূসক নিবন্ধন দেখতে চাইতে পারেন। ওই ব্যবসায়ী যদি মূসক নিবন্ধন সনদপত্র দেখাতে না পারেন, তবে ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা আইনে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ছয় মাস পর্যন্ত জেল দেওয়ারও বিধান রাখা হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কে আজাদ বলেন, প্রস্তাবিত আইনে শাস্তির যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে মূসক আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি নতুন আইনে কঠোর শাস্তির বিরোধিতা করে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বসে এনবিআরকে খসড়া তৈরির পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমির হোসেন খান জানান, আইন প্রবর্তনের শুরুর দিকে দুই হাজার কোটি টাকা মূসক আদায় হলেও বর্তমানে আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আদায়ের পরিমাণটিই বিদ্যমান আইনের শক্তিশালী অবস্থানের নির্দেশক। শঙ্কা হয়, নতুন আইন প্রণয়ন করতে গিয়ে না কোনো বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ে।
ব্যবসায়ীদের জন্য পাঁচ স্তরে শাস্তির ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে—এ কথাটি বলা হয়নি। এ ছাড়া সব ধরনের শাস্তির কথাই বলা হয়েছে।’
হালকা প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রস্তাবিত আইনে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী মাসেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করে তাঁদের মতামত আরও নিবিড়ভাবে নেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আইনটি প্রথম দিকে যা ছিল, বর্তমানে সেই আকারে নেই। এতে সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে অনেক বেশি। সামগ্রিকভাবে এটি অনেক জটিল হয়ে পড়েছে। তাই নতুন আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।
প্রস্তাবিত মূসক আইনের খসড়াটি ব্যবসায়ীরা ভালো করে পড়েননি বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
গতকাল রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মূসক আইন-২০১১-এর ওপর অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এ কে আজাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআরের সদস্য আবদুল মান্নান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও আইন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তাবিত আইনের প্রধান প্রধান সংশোধিত অংশ তুলে ধরেন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রস্তাবিত আইনটিকে সমর্থন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভালো করে দেখলে একে গ্রহণ না করার মতো কিছু নেই। তবে আরও ব্যবসাবান্ধব করতে ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়া যেতে পারে।’
অর্থমন্ত্রী এনবিআরকে এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজনেরও নির্দেশ দেন।
ব্যস্ততার কারণে অনুষ্ঠানের মাঝখানে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত আইনটি অনেক সময়োপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনটি সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের পুরোপুরি ধারণা না থাকায় তিনি বিস্মিত।
তবে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, নতুন করে মূসক আইন প্রণয়নের দরকার নেই। বরং বিদ্যমান আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করলেই হবে। যেভাবে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে তাঁদের ধারণা।
প্রস্তাবিত মূসক আইনে মূল্য, ইনভয়েস পদ্ধতি, প্যাকেজ পদ্ধতি, কর অব্যাহতি, সেবা আমদানি, উৎসে কর, টার্নওভার এনলিস্টেড ফার্ম, রিফান্ড ও রিওয়ার্ডের জন্য আলাদা হিসাব, রিটার্ন দাখিল, মূসকের হার, আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি, নিবাসী ও অনিবাসীদের মূসক দেওয়ার বিষয়ে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া এতে কোনো ব্যক্তি মূসক আরোপের যোগ্য হওয়ার পরও মূসক নিবন্ধন না নিলে জেল-জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আইনে। এমনকি পাঁচ বছরের জেল দণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া মূসক কর্মকর্তারা কোনো ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে মূসক নিবন্ধন দেখতে চাইতে পারেন। ওই ব্যবসায়ী যদি মূসক নিবন্ধন সনদপত্র দেখাতে না পারেন, তবে ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা আইনে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ছয় মাস পর্যন্ত জেল দেওয়ারও বিধান রাখা হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কে আজাদ বলেন, প্রস্তাবিত আইনে শাস্তির যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে মূসক আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি নতুন আইনে কঠোর শাস্তির বিরোধিতা করে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বসে এনবিআরকে খসড়া তৈরির পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমির হোসেন খান জানান, আইন প্রবর্তনের শুরুর দিকে দুই হাজার কোটি টাকা মূসক আদায় হলেও বর্তমানে আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আদায়ের পরিমাণটিই বিদ্যমান আইনের শক্তিশালী অবস্থানের নির্দেশক। শঙ্কা হয়, নতুন আইন প্রণয়ন করতে গিয়ে না কোনো বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ে।
ব্যবসায়ীদের জন্য পাঁচ স্তরে শাস্তির ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে—এ কথাটি বলা হয়নি। এ ছাড়া সব ধরনের শাস্তির কথাই বলা হয়েছে।’
হালকা প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রস্তাবিত আইনে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী মাসেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করে তাঁদের মতামত আরও নিবিড়ভাবে নেওয়া হবে।
No comments