পাল্লেকেলেতে রিচার্ডসের পাশে মুরালি?
ভিভ রিচার্ডসকে তাহলে ছাড়িয়ে যাওয়া হলো না মুত্তিয়া মুরালিধরনের! খটকা লাগছে তো? ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলারদের একজন কীভাবে ছাড়িয়ে যাবেন অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে? না, এই ছাড়িয়ে যাওয়া মাঠের লড়াই বা পরিসংখ্যানে নয়। এই ছাড়িয়ে যাওয়া সৌভাগ্যে!
জীবদ্দশায় নিজের নামে স্টেডিয়াম (অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম) দেখে যেতে পারলেন, সেই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারছেন, নিজেকে নিশ্চয়ই অনেক সৌভাগ্যবান ভাবেন রিচার্ডস। এর চেয়েও অনেক বড় গৌরবের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মুরালিধরন। আরেকটু হলেই খেলে ফেলতেন নিজের নামে নামকরণ হওয়া স্টেডিয়ামে! মুরালিধরন স্টেডিয়ামে খেলছেন মুরালিধরন, ক্রিকেট ইতিহাস দেখত অবিস্মরণীয় এই ঘটনা। হলো না সময়ের মারপ্যাঁচে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মিত দুটি নতুন স্টেডিয়ামের একটি হাম্বানটোটার স্টেডিয়ামটির নামকরণ হয়েছে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে। রাজাপক্ষে হাম্বানটোটারই সন্তান। ক্যান্ডির স্টেডিয়ামটির নাম ক্যান্ডির সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তান মুত্তিয়া মুরালিধরনের নামে করার প্রস্তাব করেন সেন্ট্রাল প্রভিন্সের গভর্নর টিকিরি কোব্বেকাদুওয়া। গত ২৭ জুলাই সেন্ট্রাল প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাসও হয়ে যায় এই প্রস্তাব। ক্যান্ডির নতুন ভেন্যুর নাম তাই ঠিক হয়ে যায় মুত্তিয়া মুরালিধরন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। বিশ্রাম বা হঠাৎ চোট না পেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামী পরশুর ম্যাচে এই মাঠেই খেলতে নামছেন মুরালিধরন। কিন্তু ঝামেলা হয়ে গেছে অন্য জায়গায়। স্টেডিয়ামটির নাম যে এখনো পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম!
সেন্ট্রাল প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে পাস হওয়ার পরও কেন এখনো নামকরণ হলো না মুরালিধরনের নামে? পরিষ্কার উত্তর কারও কাছেই নেই। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী পেসার ও বর্তমানে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার কোচ (নর্থ প্রভিন্স কোচ) রবীন্দ্র পুষ্পকুমারা জানালেন, ‘মাঠটা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সামান্য কিছু কাজ এখনো বাকি। মুত্তিয়া আমাদের কিংবদন্তি। পুরোপুরি তৈরি হলে তখন ঘটা করে ওর নামে স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হবে।’ শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ সত্যি বাকি। কালও মাঠের এক পাশে অস্থায়ী কাঠের গ্যালারি বানানোর কাজ চলছিল। কিন্তু মুরালি নামাঙ্কিত হওয়ার পথে এটি বাধা হবে কেন? বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন করার মতো বড় ব্যাপার আর কী হতে পারে, বিশেষ করে, যেখানে স্বয়ং মুরালির খেলার সম্ভাবনা?
পাল্লেকেলের ভেন্যু ম্যানেজার রোলেন পেরেরার কথায় বোঝা গেল সমস্যা অন্য জায়গায়, ‘সেন্ট্রাল প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে পাস হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমাদের তো ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার কথা শুনতে হবে। বোর্ড এখনো আমাদের কিছু জানায়নি।’ শ্রীলঙ্কার প্রবীণ এক ক্রীড়া সাংবাদিক জানালেন স্টেডিয়াম মুরালির নামে করা হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধান্বিত বোর্ড। অনেক দেশে গ্রেট ক্রিকেটারদের নামে স্টেডিয়ামের বড়জোর কোনো স্ট্যান্ড থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে মিলে স্টেডিয়ামটা নাকি মুরালি নিজেই বানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নানা ঝামেলায় শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। পরে বোর্ড নিজেদের উদ্যোগেই করে ফেলে। এটির কোনো ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে।
এমনিতে স্টেডিয়ামটি অসাধারণ, এক পলক দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। প্রেসবক্স থেকে সামনে তাকালে মাঠের খেলা ছেড়ে মাঝেমধ্যেই মন হারিয়ে যেতে পারে অন্য কোথাও। পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল সব পাহাড়! ভেন্যু ম্যানেজার পেরেরা জানালেন, সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কের অনুকরণে গড়া হয়েছে এই স্টেডিয়াম। নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে আজ ওয়ানডে অভিষেক হলেও এই মাঠের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে আসলে গত ডিসেম্বরে, শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দিয়ে। তবে বৃষ্টির জন্য এক ইনিংসও শেষ হতে পারেনি। সুরঙ্গা লাকমলের সৌজন্যে এই মাঠ ঢুকে গেছে রেকর্ড বুকেও। এই মাঠের প্রথম বলেই ক্রিস গেইলকে আউট করেছিলেন লাকমল, টেস্ট ইতিহাসে কোনো মাঠের প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে আর শুধু কপিল দেব ও ইমরান খানের।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া সাংবাদিকেরা জানালেন, প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে যখন পাস হয়েছে, তখন মুরালির নামে হতেই হবে এই স্টেডিয়াম। হয়তো সময় লাগবে দু-এক বছর বা কয়েক বছর। তবে একদিন হবেই। তখন খেলতে নয়, রিচার্ডসের মতো মুরালিধরনও আসবেন দর্শক হয়ে। কষ্ট হয়তো একটু থাকবে, কিন্তু গর্বও কি হবে না!
জীবদ্দশায় নিজের নামে স্টেডিয়াম (অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম) দেখে যেতে পারলেন, সেই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারছেন, নিজেকে নিশ্চয়ই অনেক সৌভাগ্যবান ভাবেন রিচার্ডস। এর চেয়েও অনেক বড় গৌরবের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন মুরালিধরন। আরেকটু হলেই খেলে ফেলতেন নিজের নামে নামকরণ হওয়া স্টেডিয়ামে! মুরালিধরন স্টেডিয়ামে খেলছেন মুরালিধরন, ক্রিকেট ইতিহাস দেখত অবিস্মরণীয় এই ঘটনা। হলো না সময়ের মারপ্যাঁচে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মিত দুটি নতুন স্টেডিয়ামের একটি হাম্বানটোটার স্টেডিয়ামটির নামকরণ হয়েছে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে। রাজাপক্ষে হাম্বানটোটারই সন্তান। ক্যান্ডির স্টেডিয়ামটির নাম ক্যান্ডির সবচেয়ে বিখ্যাত সন্তান মুত্তিয়া মুরালিধরনের নামে করার প্রস্তাব করেন সেন্ট্রাল প্রভিন্সের গভর্নর টিকিরি কোব্বেকাদুওয়া। গত ২৭ জুলাই সেন্ট্রাল প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে পাসও হয়ে যায় এই প্রস্তাব। ক্যান্ডির নতুন ভেন্যুর নাম তাই ঠিক হয়ে যায় মুত্তিয়া মুরালিধরন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। বিশ্রাম বা হঠাৎ চোট না পেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামী পরশুর ম্যাচে এই মাঠেই খেলতে নামছেন মুরালিধরন। কিন্তু ঝামেলা হয়ে গেছে অন্য জায়গায়। স্টেডিয়ামটির নাম যে এখনো পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম!
সেন্ট্রাল প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে পাস হওয়ার পরও কেন এখনো নামকরণ হলো না মুরালিধরনের নামে? পরিষ্কার উত্তর কারও কাছেই নেই। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী পেসার ও বর্তমানে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার কোচ (নর্থ প্রভিন্স কোচ) রবীন্দ্র পুষ্পকুমারা জানালেন, ‘মাঠটা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সামান্য কিছু কাজ এখনো বাকি। মুত্তিয়া আমাদের কিংবদন্তি। পুরোপুরি তৈরি হলে তখন ঘটা করে ওর নামে স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হবে।’ শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ সত্যি বাকি। কালও মাঠের এক পাশে অস্থায়ী কাঠের গ্যালারি বানানোর কাজ চলছিল। কিন্তু মুরালি নামাঙ্কিত হওয়ার পথে এটি বাধা হবে কেন? বিশ্বকাপের ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন করার মতো বড় ব্যাপার আর কী হতে পারে, বিশেষ করে, যেখানে স্বয়ং মুরালির খেলার সম্ভাবনা?
পাল্লেকেলের ভেন্যু ম্যানেজার রোলেন পেরেরার কথায় বোঝা গেল সমস্যা অন্য জায়গায়, ‘সেন্ট্রাল প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে পাস হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমাদের তো ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার কথা শুনতে হবে। বোর্ড এখনো আমাদের কিছু জানায়নি।’ শ্রীলঙ্কার প্রবীণ এক ক্রীড়া সাংবাদিক জানালেন স্টেডিয়াম মুরালির নামে করা হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধান্বিত বোর্ড। অনেক দেশে গ্রেট ক্রিকেটারদের নামে স্টেডিয়ামের বড়জোর কোনো স্ট্যান্ড থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে মিলে স্টেডিয়ামটা নাকি মুরালি নিজেই বানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নানা ঝামেলায় শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। পরে বোর্ড নিজেদের উদ্যোগেই করে ফেলে। এটির কোনো ভূমিকা থাকলেও থাকতে পারে।
এমনিতে স্টেডিয়ামটি অসাধারণ, এক পলক দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। প্রেসবক্স থেকে সামনে তাকালে মাঠের খেলা ছেড়ে মাঝেমধ্যেই মন হারিয়ে যেতে পারে অন্য কোথাও। পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল সব পাহাড়! ভেন্যু ম্যানেজার পেরেরা জানালেন, সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কের অনুকরণে গড়া হয়েছে এই স্টেডিয়াম। নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে আজ ওয়ানডে অভিষেক হলেও এই মাঠের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে আসলে গত ডিসেম্বরে, শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দিয়ে। তবে বৃষ্টির জন্য এক ইনিংসও শেষ হতে পারেনি। সুরঙ্গা লাকমলের সৌজন্যে এই মাঠ ঢুকে গেছে রেকর্ড বুকেও। এই মাঠের প্রথম বলেই ক্রিস গেইলকে আউট করেছিলেন লাকমল, টেস্ট ইতিহাসে কোনো মাঠের প্রথম বলেই উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব আছে আর শুধু কপিল দেব ও ইমরান খানের।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া সাংবাদিকেরা জানালেন, প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলে যখন পাস হয়েছে, তখন মুরালির নামে হতেই হবে এই স্টেডিয়াম। হয়তো সময় লাগবে দু-এক বছর বা কয়েক বছর। তবে একদিন হবেই। তখন খেলতে নয়, রিচার্ডসের মতো মুরালিধরনও আসবেন দর্শক হয়ে। কষ্ট হয়তো একটু থাকবে, কিন্তু গর্বও কি হবে না!
No comments