সৌদি আরবে বিক্ষোভ সমাবেশ নিষিদ্ধ
সৌদি আরবে সব ধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্টের পতন এবং লিবিয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার এ ব্যবস্থা নিল। সৌদি আরবেও এর মধ্যে কয়েকটি ছোটখাটো বিক্ষোভ করেছে সংখ্যালঘু শিয়ারা। এই অবস্থায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাদশাহ আবদুল্লাহ গত মাসে জনগণের জন্য আবাসন, বিদেশে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ বেশ কিছু ঘোষণা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের ইসলামিক আইনের এবং সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ বিক্ষোভ-সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট বা এ ধরনের কর্মসূচি আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা হলো।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে আইনত সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সম্ভাব্য বড় ধরনের বিক্ষোভ ঠেকাতে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে সরকার। তবে এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরাও তাঁদের কৌশল পরিবর্তন করছেন। তাঁরা এখন বিক্ষোভের মিছিলে নারীদের নামানোর পরিকল্পনা করছেন, যাতে সেনারা সহজে গুলি চালাতে না পারেন।
বিভিন্ন সময়ে আটক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে গত কয়েক দিনে তেলসমৃদ্ধ দেশের পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভ হয়েছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে বিক্ষোভ করেন কয়েক শ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা শেখ তৌফিক আল-আমিরের মুক্তির দাবি জানান। আমিরকে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর মুক্তির দাবিতে গত কয়েক দিনে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পূর্বাঞ্চলীয়প্রদেশের আল-হুফুফ ও আল-কাতিফ শহরেও শুক্রবার একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। তবে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার আল-কাতিফ শহরে একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে পুলিশ ২২ জনকে আটক করে। বন্দীদের মুক্তির দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করছিলেন বলে জানান সৌদি আরবের হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম আল-মুগাইতিব।
মুগাইতিব বলেন, বিক্ষোভকারীরা আল-কাতিফের নয় বন্দী এবং শেখ আল-আমিরের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। তাঁরা আল-আমিরের পোস্টার নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা দাবি আদায়ে শিয়া-সুন্নি ঐক্যের আহ্বান জানান।
সৌদি আরবে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানোয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আল-আমিরকে। দেশটির রাজপরিবার বর্তমানে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
গত শুক্রবার রাজধানী রিয়াদের আল-রাজহি মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে কিছু মানুষ দমন-পীড়ন ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ সময় সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশে গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্টের পতন এবং লিবিয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার এ ব্যবস্থা নিল। সৌদি আরবেও এর মধ্যে কয়েকটি ছোটখাটো বিক্ষোভ করেছে সংখ্যালঘু শিয়ারা। এই অবস্থায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাদশাহ আবদুল্লাহ গত মাসে জনগণের জন্য আবাসন, বিদেশে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ বেশ কিছু ঘোষণা দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের ইসলামিক আইনের এবং সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ বিক্ষোভ-সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট বা এ ধরনের কর্মসূচি আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা হলো।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে আইনত সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সম্ভাব্য বড় ধরনের বিক্ষোভ ঠেকাতে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে সরকার। তবে এই অবস্থায় বিক্ষোভকারীরাও তাঁদের কৌশল পরিবর্তন করছেন। তাঁরা এখন বিক্ষোভের মিছিলে নারীদের নামানোর পরিকল্পনা করছেন, যাতে সেনারা সহজে গুলি চালাতে না পারেন।
বিভিন্ন সময়ে আটক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে গত কয়েক দিনে তেলসমৃদ্ধ দেশের পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভ হয়েছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে বিক্ষোভ করেন কয়েক শ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা শেখ তৌফিক আল-আমিরের মুক্তির দাবি জানান। আমিরকে গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর মুক্তির দাবিতে গত কয়েক দিনে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
পূর্বাঞ্চলীয়প্রদেশের আল-হুফুফ ও আল-কাতিফ শহরেও শুক্রবার একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। তবে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার আল-কাতিফ শহরে একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে পুলিশ ২২ জনকে আটক করে। বন্দীদের মুক্তির দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ করছিলেন বলে জানান সৌদি আরবের হিউম্যান রাইটস ফার্স্ট সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম আল-মুগাইতিব।
মুগাইতিব বলেন, বিক্ষোভকারীরা আল-কাতিফের নয় বন্দী এবং শেখ আল-আমিরের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। তাঁরা আল-আমিরের পোস্টার নিয়ে মিছিলে যোগ দেন। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা দাবি আদায়ে শিয়া-সুন্নি ঐক্যের আহ্বান জানান।
সৌদি আরবে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানোয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আল-আমিরকে। দেশটির রাজপরিবার বর্তমানে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
গত শুক্রবার রাজধানী রিয়াদের আল-রাজহি মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে কিছু মানুষ দমন-পীড়ন ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ সময় সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
No comments