স্মিথও কৃতিত্ব দিচ্ছেন ব্রডদের
‘জানি, কথাটা শুনতে আপনার ভালো লাগবে না। কিন্তু প্রশ্নটা করতেই হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকা কি আবার চাপে “চোক” করে গেল?’
আট বছরের অধিনায়ক-জীবনে কতবার এই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে, গ্রায়েম স্মিথের তা মনে রাখা সম্ভব নয়। ৪১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ১৭১ রানকেই দুর্লঙ্ঘ বানিয়ে ফেলার পরও শুনতে হলো। না শুনলেই বরং অবাক হতেন স্মিথ। জানতেন, প্রশ্নটা আসবেই। উত্তরটা তাই গুছিয়েই রেখেছিলেন, ‘আমি তা বলব না। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চাপ সামলে ভালো পারফর্ম করেছি। ইংল্যান্ডের বোলারদের স্কিলটাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন না কেন? ব্রড-অ্যান্ডারসন দু দিকেই বল রিভার্স সুইং করিয়েছে। বিশ্বে খুব কম ব্যাটসম্যানেরই এটা সামলানোর ক্ষমতা আছে।’
কথাটা মিথ্যা নয়। এত কম স্কোর তাড়া করতে নেমে আর কোনো দল কখনো হারেনি, ঘটনা তাও নয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন এমন হারবে, কারণটা আর ব্যাটিং-বোলিংয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে যে চাপে ভেঙে পড়ার অসংখ্য উদাহরণ।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস সেটিকে আসল কারণ না মেনে তাঁর বোলারদের কৃতিত্ব দেবেন, এটাও স্বাভাবিক। ‘সোয়ানি আজ অসাধারণ ছিল। জিমি (অ্যান্ডারসন)-ব্রড তো রিভার্স সুইংয়ের দুর্দান্ত এক প্রদর্শনী দেখাল। এই বিশ্বকাপে আমাদের বোলিংটা ভালো হচ্ছিল না। আজ দারুণ হলো। ওরা দেখিয়েছে, ১৭০ রানও ডিফেন্ড করা যায়। ভবিষ্যতে ব্যাটিং-বোলিং একসঙ্গে ভালো হলে আমাদের দলের চেহারাই বদলে যাবে।’
আগের তিন ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ভালো হয়েছে, বোলিং ভালো হয়নি। কাল বোলিং ভালো হলো, ব্যাটিংয়ের অবস্থা কহতব্য নয়। স্ট্রাউসের আত্মহত্যা দিয়েই এর শুরু। মাথা পেতে দায়টাও নিলেন, ‘খুব বাজে ব্যাটিং করেছি আমরা। এত কম রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলাটা রীতিমতো ক্রিমিনাল।’
১৭১ অবশ্যই কম মনে হয়েছিল, তবে তাই বলে জয়ের আশা ছেড়ে দেননি স্ট্রাউস। কারণটা অবশ্যই উইকেট, ‘উইকেটে অনেক টার্ন আর বাউন্স ছিল। স্মিথ তো সোয়ানকে খেলতেই পারছিল না। রিভার্স সুুইং করছিল। জানতাম, টেল এন্ডারদের রিভার্স সুইং খেলার সাধ্য নেই।’
বিনা উইকেটে ৬৩ করে ফেলার পর অবশ্যই সহজ জয়ই দেখছিলেন, তবে বিরতির সময় ১৭২ করাটাকে সহজ বলে ভাবার ভুল করেননি গ্রায়েম স্মিথও। ‘এই উইকেটে স্বচ্ছন্দভাবে ব্যাটিং করা কঠিন। বাউন্স ছিল অসমান, বল খুব স্পিন করছিল, রিভার্স সুইংও হচ্ছিল। জানতাম, এ ধরনের উইকেটে ম্যাচ খুব ক্লোজ হবে।’
সেই ক্লোজ ম্যাচে জিততে না পারার কারণ হিসেবে কারও দিকে আঙুল তুললেন না স্মিথ। শুধু বললেন, শেষ ১৫ ওভারে রানের ধারাটা একদম শুকিয়ে গিয়েছিল। মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন উপমহাদেশের উইকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি শ্লেষভরে বলেছিলেন, ‘এখানে এসে স্পিনিং উইকেট পেলে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো উইকেট “মিসবিহেভ” করেছে বলতে থাকে।’ কালকের ম্যাচে উপমহাদেশের কোনো দল প্রতিপক্ষ হলে স্ট্রাউস-স্মিথও হয়তো তেমন বলতেন। এখানে দুই দলের জন্যই সমস্যাটা সমান বলেই স্ট্রাউস বরং এমন উইকেটের ভালো দিকও খুঁজে পেলেন, ‘এমন উইকেট হলে খেলাটা অনেক ইন্টারেস্টিং হয়। আমি এতে আপত্তির কিছু দেখি না। ইংল্যান্ডে যদি সিম আর বাউন্সের উইকেট হয়, এখানে এমন হতে পারবে না কেন? তবে আজকের উইকেটটা সম্ভবত একটু বেশি ভেঙে গিয়েছিল।’
উইকেট যদি এই ম্যাচের এক নম্বর আলোচ্য হয়ে থাকে, দুই নম্বরে অবশ্যই ইউডিআরএস (আম্পায়ার্স ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত রিভিউ করা নিয়ে নাটকের পর নাটক হলো। অনেকবারই বদলে গেল মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, যার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যবাহী গ্রায়েম স্মিথের আউটটা। মাঠের আম্পায়ার নটআউট বলেছিলেন। কিন্তু ‘হাজার খানেক’ রিপ্লে দেখার পর টিভি আম্পায়ার জানালেন, সোয়ানের বলটা প্রিয়রের গ্লাভসে যাওয়ার আগে স্মিথের গ্লাভস ছুঁয়ে গেছে। শেষে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল এটিই। স্মিথের ভালো লাগার কথা নয়, ‘ইউডিআরএসের ব্যাপারে অবশ্যই আমার মতামত আছে। তবে তা নিজের মনেই রাখতে চাই’ বলে পরোক্ষে তা জানিয়েও দিলেন। ইউডিআরএসের মাহাত্ম্য সবচেয়ে ভালো বুঝিয়ে দিলেন জ্যাক ক্যালিস। ব্রডের বলে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দেননি সাইমন টফেল। ক্যালিসও দাঁড়িয়ে ছিলেন, ইংল্যান্ড রিভিউ চাইতে যাচ্ছে বোঝার পরই হাঁটা শুরু করলেন।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রবি বোপারা। হওয়া উচিত ছিল স্টুয়ার্ড ব্রডের। তবে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক হওয়াটা যদি বিবেচ্য হয়, এই ম্যাচে স্বীকৃতিটা পাওয়া উচিত ছিল ইউডিআরএসের।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ তো আর বলা যায় না, না হয় ডিসাইডার অব দ্য ম্যাচই বলতেন!
আট বছরের অধিনায়ক-জীবনে কতবার এই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে, গ্রায়েম স্মিথের তা মনে রাখা সম্ভব নয়। ৪১ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ১৭১ রানকেই দুর্লঙ্ঘ বানিয়ে ফেলার পরও শুনতে হলো। না শুনলেই বরং অবাক হতেন স্মিথ। জানতেন, প্রশ্নটা আসবেই। উত্তরটা তাই গুছিয়েই রেখেছিলেন, ‘আমি তা বলব না। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চাপ সামলে ভালো পারফর্ম করেছি। ইংল্যান্ডের বোলারদের স্কিলটাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন না কেন? ব্রড-অ্যান্ডারসন দু দিকেই বল রিভার্স সুইং করিয়েছে। বিশ্বে খুব কম ব্যাটসম্যানেরই এটা সামলানোর ক্ষমতা আছে।’
কথাটা মিথ্যা নয়। এত কম স্কোর তাড়া করতে নেমে আর কোনো দল কখনো হারেনি, ঘটনা তাও নয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন এমন হারবে, কারণটা আর ব্যাটিং-বোলিংয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে যে চাপে ভেঙে পড়ার অসংখ্য উদাহরণ।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস সেটিকে আসল কারণ না মেনে তাঁর বোলারদের কৃতিত্ব দেবেন, এটাও স্বাভাবিক। ‘সোয়ানি আজ অসাধারণ ছিল। জিমি (অ্যান্ডারসন)-ব্রড তো রিভার্স সুইংয়ের দুর্দান্ত এক প্রদর্শনী দেখাল। এই বিশ্বকাপে আমাদের বোলিংটা ভালো হচ্ছিল না। আজ দারুণ হলো। ওরা দেখিয়েছে, ১৭০ রানও ডিফেন্ড করা যায়। ভবিষ্যতে ব্যাটিং-বোলিং একসঙ্গে ভালো হলে আমাদের দলের চেহারাই বদলে যাবে।’
আগের তিন ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ভালো হয়েছে, বোলিং ভালো হয়নি। কাল বোলিং ভালো হলো, ব্যাটিংয়ের অবস্থা কহতব্য নয়। স্ট্রাউসের আত্মহত্যা দিয়েই এর শুরু। মাথা পেতে দায়টাও নিলেন, ‘খুব বাজে ব্যাটিং করেছি আমরা। এত কম রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলাটা রীতিমতো ক্রিমিনাল।’
১৭১ অবশ্যই কম মনে হয়েছিল, তবে তাই বলে জয়ের আশা ছেড়ে দেননি স্ট্রাউস। কারণটা অবশ্যই উইকেট, ‘উইকেটে অনেক টার্ন আর বাউন্স ছিল। স্মিথ তো সোয়ানকে খেলতেই পারছিল না। রিভার্স সুুইং করছিল। জানতাম, টেল এন্ডারদের রিভার্স সুইং খেলার সাধ্য নেই।’
বিনা উইকেটে ৬৩ করে ফেলার পর অবশ্যই সহজ জয়ই দেখছিলেন, তবে বিরতির সময় ১৭২ করাটাকে সহজ বলে ভাবার ভুল করেননি গ্রায়েম স্মিথও। ‘এই উইকেটে স্বচ্ছন্দভাবে ব্যাটিং করা কঠিন। বাউন্স ছিল অসমান, বল খুব স্পিন করছিল, রিভার্স সুইংও হচ্ছিল। জানতাম, এ ধরনের উইকেটে ম্যাচ খুব ক্লোজ হবে।’
সেই ক্লোজ ম্যাচে জিততে না পারার কারণ হিসেবে কারও দিকে আঙুল তুললেন না স্মিথ। শুধু বললেন, শেষ ১৫ ওভারে রানের ধারাটা একদম শুকিয়ে গিয়েছিল। মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন উপমহাদেশের উইকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি শ্লেষভরে বলেছিলেন, ‘এখানে এসে স্পিনিং উইকেট পেলে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো উইকেট “মিসবিহেভ” করেছে বলতে থাকে।’ কালকের ম্যাচে উপমহাদেশের কোনো দল প্রতিপক্ষ হলে স্ট্রাউস-স্মিথও হয়তো তেমন বলতেন। এখানে দুই দলের জন্যই সমস্যাটা সমান বলেই স্ট্রাউস বরং এমন উইকেটের ভালো দিকও খুঁজে পেলেন, ‘এমন উইকেট হলে খেলাটা অনেক ইন্টারেস্টিং হয়। আমি এতে আপত্তির কিছু দেখি না। ইংল্যান্ডে যদি সিম আর বাউন্সের উইকেট হয়, এখানে এমন হতে পারবে না কেন? তবে আজকের উইকেটটা সম্ভবত একটু বেশি ভেঙে গিয়েছিল।’
উইকেট যদি এই ম্যাচের এক নম্বর আলোচ্য হয়ে থাকে, দুই নম্বরে অবশ্যই ইউডিআরএস (আম্পায়ার্স ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত রিভিউ করা নিয়ে নাটকের পর নাটক হলো। অনেকবারই বদলে গেল মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, যার মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যবাহী গ্রায়েম স্মিথের আউটটা। মাঠের আম্পায়ার নটআউট বলেছিলেন। কিন্তু ‘হাজার খানেক’ রিপ্লে দেখার পর টিভি আম্পায়ার জানালেন, সোয়ানের বলটা প্রিয়রের গ্লাভসে যাওয়ার আগে স্মিথের গ্লাভস ছুঁয়ে গেছে। শেষে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল এটিই। স্মিথের ভালো লাগার কথা নয়, ‘ইউডিআরএসের ব্যাপারে অবশ্যই আমার মতামত আছে। তবে তা নিজের মনেই রাখতে চাই’ বলে পরোক্ষে তা জানিয়েও দিলেন। ইউডিআরএসের মাহাত্ম্য সবচেয়ে ভালো বুঝিয়ে দিলেন জ্যাক ক্যালিস। ব্রডের বলে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দেননি সাইমন টফেল। ক্যালিসও দাঁড়িয়ে ছিলেন, ইংল্যান্ড রিভিউ চাইতে যাচ্ছে বোঝার পরই হাঁটা শুরু করলেন।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রবি বোপারা। হওয়া উচিত ছিল স্টুয়ার্ড ব্রডের। তবে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক হওয়াটা যদি বিবেচ্য হয়, এই ম্যাচে স্বীকৃতিটা পাওয়া উচিত ছিল ইউডিআরএসের।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ তো আর বলা যায় না, না হয় ডিসাইডার অব দ্য ম্যাচই বলতেন!
No comments