ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি
প্রশ্নটা তুললেন ভারতীয় এক সাংবাদিক। চেন্নাইয়ে হেরে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত হেরে গেলে সেটা বাংলাদেশের জন্য হতো সুখবর। কাল দুপুরে যখন প্রসঙ্গটা উঠল, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে তখন পর্যন্ত ‘ইংল্যান্ড ১৭১ রানে অলআউট’ খবরটাই জানতেন জেমি সিডন্স। বাংলাদেশ কোচের কণ্ঠে আশা ঝরল, ‘ইংল্যান্ড হারলে আমাদের জন্য ভালোই হবে...।’
কিন্তু ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ যে ছিল সেই ‘চোকার’ দক্ষিণ আফ্রিকা! এত কম রান করেও অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দল এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদটা আজ ভারত থেকেই নিয়ে আসছে। জেমি সিডন্সের কাছে অবশ্য সেটিও কোনো সমস্যা না। অন্যের নাক কাটার চেয়ে নিজের মঙ্গলযাত্রাই কামনা এই অস্ট্রেলিয়ানের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ মার্চের সেই যাত্রায় দারুণ আত্মবিশ্বাসী কোচ। আত্মবিশ্বাসের মূলে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পাওয়া একটা প্রতিশ্রুতি, ‘গত ম্যাচে তিন-চারটি আউট হয়েছে যেগুলো নিয়ে নেটে প্রতিদিনই কথা বলি। অথচ এ ম্যাচেও সেই ভুলগুলোই ধরা পড়ল। অবশ্য তারা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, পরের ম্যাচে ভালো খেলবে।’
এই ‘ভালো’র সঙ্গে তামিম ইকবালকে মিশে থাকতে হবে অনেকটাই। নিজের মাঠে বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখার ইচ্ছার কথা আরও আগেই জানিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক। উপলক্ষটা যখন সমাগত, কোচ আস্থাই রাখতে চাইছেন তাঁর ওপর, ‘গত ম্যাচে ভালো না খেললেও আশা করছি, এই ম্যাচে তামিম ভালো কিছু করবে। দলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন সে, ভালো একটা শুরু এনে দিতে হবে তাকে। তামিমও আত্মবিশ্বাসী। তা ছাড়া এ মাঠে সর্বশেষ ম্যাচটিতেও সে ভালো খেলেছে। আবারও সে রকম খেলতে না পারার তো কোনো কারণ দেখি না।’
শুধু তামিম নয়, কোচের আস্থা পুরো দলের ওপরই। আগের ম্যাচের ময়নাতদন্ত করে ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিক ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংকে সমালোচনায় বিঁধেও বলেছেন, ‘দেশে আর কোনো ক্রিকেটার নেই যারা কাজটা এই ১৫ জনের চেয়ে ভালো করতে পারে। কাজেই আমরা তাদের ওপর আস্থা রাখছি এবং আশা করছি, পরের ম্যাচে তারা ভালো করবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দুঃখকে সঙ্গী করেই ইংল্যান্ড ম্যাচকে পাখির চোখ করছেন সিডন্স। আরেকটু বেশি রান করলে বা টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিলে কী হতো—গত ম্যাচ নিয়ে এমন সব আফসোস ভিড় করছে কোচের মনে। আর এই ভিড় ঠেলেই মাথার ভেতর এগোচ্ছে ইংল্যান্ড-পরিকল্পনা, ‘ছেলেরা সবাই এখন পরের ম্যাচটার অপেক্ষায়। মনের মধ্যে সবারই হতাশা আছে, কিন্তু ভালো খেলেই তো সেটা দূর করতে হবে। আর কোনো উপায় নেই। ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকাতে হলে এই ক্ষতটা ভুলে যেতে হবে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখানে এবং ঢাকায়ও আমরা ভালো খেলেছি।’
নিজের শহর, নিজের মাঠ বলেই কি না অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি নির্ভার দেখাল তামিকে। নেটে গেলেন শেষ দিকে, তার আগ পর্যন্ত তিনি যেন সহকারী কোচ কিংবা টিম ম্যানেজার! কখনো উইকেট নিয়ে কথা বলছেন কিউরেটরদের সঙ্গে, কখনো বা গ্রাউন্ডসম্যানদের ডেকে পরদিনের অনুশীলনের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কোন নেটে বোলিং মেশিন বসাতে হবে, বোলিং মেশিনে চাকা লাগানো কি না—এ রকম আরও অনেক আলোচনা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নাক কাটা পরাজয়ের পর একটু হালকা হতেই হয়তো তামিমের নির্ভার মূর্তিটা বিভিন্ন রূপ নিয়ে থাকল পুরো দলের মধ্যে। অনুশীলনের আগে ফুটবল খেলায় সেই চনমনে বাংলাদেশকেই দেখল সবাই। মাঝে মাঠে গিয়ে বিসিবির দুই শীর্ষ পরিচালক মাহবুবুল আনাম ও দেওয়ান শফিউল আরেফিন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথা বলে এলেন, সাহস দেওয়ারই চেষ্টা করলেন বোধ হয়। আর বিশ্বকাপে সাকিব-তামিমদের শেফ দ্য মিশন ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন তো বলতে গেলে দলের ছায়াসঙ্গী হয়েই আছেন!
সিডন্স যতই বলুন, বোর্ড পরিচালকেরা যতই সাহস দিন, ৫৮ রানের ক্ষত সহজে শুকানোর নয়। ‘ভুলে যাব’ সিদ্ধান্ত নিয়েই যদি এমন দুঃস্মৃতি ভোলা যেত, ক্রিকেটটা অনেক সহজ হয়ে যেত তাহলে। তার পরও সেটা ভুলতে হবে এবং ভোলার সবচেয়ে ভালো উপায় বোধ হয় কোচকে দেওয়া খেলোয়াড়দের ভালো খেলার প্রতিশ্রুতিটা রক্ষা করা।
কিন্তু ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ যে ছিল সেই ‘চোকার’ দক্ষিণ আফ্রিকা! এত কম রান করেও অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দল এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদটা আজ ভারত থেকেই নিয়ে আসছে। জেমি সিডন্সের কাছে অবশ্য সেটিও কোনো সমস্যা না। অন্যের নাক কাটার চেয়ে নিজের মঙ্গলযাত্রাই কামনা এই অস্ট্রেলিয়ানের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১ মার্চের সেই যাত্রায় দারুণ আত্মবিশ্বাসী কোচ। আত্মবিশ্বাসের মূলে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পাওয়া একটা প্রতিশ্রুতি, ‘গত ম্যাচে তিন-চারটি আউট হয়েছে যেগুলো নিয়ে নেটে প্রতিদিনই কথা বলি। অথচ এ ম্যাচেও সেই ভুলগুলোই ধরা পড়ল। অবশ্য তারা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, পরের ম্যাচে ভালো খেলবে।’
এই ‘ভালো’র সঙ্গে তামিম ইকবালকে মিশে থাকতে হবে অনেকটাই। নিজের মাঠে বিশ্বকাপটাকে স্মরণীয় করে রাখার ইচ্ছার কথা আরও আগেই জানিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক। উপলক্ষটা যখন সমাগত, কোচ আস্থাই রাখতে চাইছেন তাঁর ওপর, ‘গত ম্যাচে ভালো না খেললেও আশা করছি, এই ম্যাচে তামিম ভালো কিছু করবে। দলের সেরা খেলোয়াড়দের একজন সে, ভালো একটা শুরু এনে দিতে হবে তাকে। তামিমও আত্মবিশ্বাসী। তা ছাড়া এ মাঠে সর্বশেষ ম্যাচটিতেও সে ভালো খেলেছে। আবারও সে রকম খেলতে না পারার তো কোনো কারণ দেখি না।’
শুধু তামিম নয়, কোচের আস্থা পুরো দলের ওপরই। আগের ম্যাচের ময়নাতদন্ত করে ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিক ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংকে সমালোচনায় বিঁধেও বলেছেন, ‘দেশে আর কোনো ক্রিকেটার নেই যারা কাজটা এই ১৫ জনের চেয়ে ভালো করতে পারে। কাজেই আমরা তাদের ওপর আস্থা রাখছি এবং আশা করছি, পরের ম্যাচে তারা ভালো করবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের দুঃখকে সঙ্গী করেই ইংল্যান্ড ম্যাচকে পাখির চোখ করছেন সিডন্স। আরেকটু বেশি রান করলে বা টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিলে কী হতো—গত ম্যাচ নিয়ে এমন সব আফসোস ভিড় করছে কোচের মনে। আর এই ভিড় ঠেলেই মাথার ভেতর এগোচ্ছে ইংল্যান্ড-পরিকল্পনা, ‘ছেলেরা সবাই এখন পরের ম্যাচটার অপেক্ষায়। মনের মধ্যে সবারই হতাশা আছে, কিন্তু ভালো খেলেই তো সেটা দূর করতে হবে। আর কোনো উপায় নেই। ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকে তাকাতে হলে এই ক্ষতটা ভুলে যেতে হবে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখানে এবং ঢাকায়ও আমরা ভালো খেলেছি।’
নিজের শহর, নিজের মাঠ বলেই কি না অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি নির্ভার দেখাল তামিকে। নেটে গেলেন শেষ দিকে, তার আগ পর্যন্ত তিনি যেন সহকারী কোচ কিংবা টিম ম্যানেজার! কখনো উইকেট নিয়ে কথা বলছেন কিউরেটরদের সঙ্গে, কখনো বা গ্রাউন্ডসম্যানদের ডেকে পরদিনের অনুশীলনের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কোন নেটে বোলিং মেশিন বসাতে হবে, বোলিং মেশিনে চাকা লাগানো কি না—এ রকম আরও অনেক আলোচনা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নাক কাটা পরাজয়ের পর একটু হালকা হতেই হয়তো তামিমের নির্ভার মূর্তিটা বিভিন্ন রূপ নিয়ে থাকল পুরো দলের মধ্যে। অনুশীলনের আগে ফুটবল খেলায় সেই চনমনে বাংলাদেশকেই দেখল সবাই। মাঝে মাঠে গিয়ে বিসিবির দুই শীর্ষ পরিচালক মাহবুবুল আনাম ও দেওয়ান শফিউল আরেফিন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথা বলে এলেন, সাহস দেওয়ারই চেষ্টা করলেন বোধ হয়। আর বিশ্বকাপে সাকিব-তামিমদের শেফ দ্য মিশন ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন তো বলতে গেলে দলের ছায়াসঙ্গী হয়েই আছেন!
সিডন্স যতই বলুন, বোর্ড পরিচালকেরা যতই সাহস দিন, ৫৮ রানের ক্ষত সহজে শুকানোর নয়। ‘ভুলে যাব’ সিদ্ধান্ত নিয়েই যদি এমন দুঃস্মৃতি ভোলা যেত, ক্রিকেটটা অনেক সহজ হয়ে যেত তাহলে। তার পরও সেটা ভুলতে হবে এবং ভোলার সবচেয়ে ভালো উপায় বোধ হয় কোচকে দেওয়া খেলোয়াড়দের ভালো খেলার প্রতিশ্রুতিটা রক্ষা করা।
No comments