গল্পালোচনা- 'বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র' by মোস্তফা কামাল

১৯৭৪ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে 'তলাবিহীন ঝুড়ি' বলে তিরস্কার করেছিলেন। বাংলাদেশকে নিয়ে এত বড় নেতিবাচক উক্তি এযাবৎকালে আর কেউ করেনি। তাঁর সেই উক্তির জের এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুধু এ জনপদকেই ক্ষতবিক্ষত করছে না; বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ওপরও মারাত্মক আঘাত হেনে চলেছে। এসব নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণার শেষ নেই। বিগত জোট সরকারের আমলেও পশ্চিমা গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতিবেদন বেরিয়েছে। সেই নেতিবাচক প্রতিবেদনের ধকল সামলে ওঠার আগেই জঙ্গিবাদ এ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আর এতে পশ্চিমা গণমাধ্যম যেন মওকা পেয়ে বসে। সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা প্রতিবেদন করতে পারলে যারা পুলকিত হয় তারা বিএনপিকে বাহবা দিতে কসুর করেনি। কারণ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তখন আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিলে জঙ্গিদের বিস্তার ঘটতে পারত না।
টানা পাঁচ বছর জোট সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের অর্থায়নে সারা দেশে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়। জঙ্গিদের মদদ দিয়ে একটি দেশকে ধ্বংস করার প্রথম লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তান। তাতে পশ্চিমা বিশ্ব সফল হয়। টানা পাঁচ বছর তালেবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা দখল করে দেশটির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। দেশটির অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা, অবকাঠামো_সব কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এখনো দেশটির অর্থনীতি ভঙ্গুর। শিক্ষাব্যবস্থা নাজুক। সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছুতেই কাটছে না। সেখানে সংঘাত, মারামারি, হানাহানি প্রতিদিনকার ঘটনা।
আফগান সরকার সম্প্রতি তালেবানের সঙ্গে আপসের প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করতে চাচ্ছে। কিন্তু আপসে রাজি নয় তালেবান জঙ্গিরা। তারা আবারও ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। একইভাবে পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্র তালেবান জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। পাকিস্তানের প্রধান প্রধান শহর ও বন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে দেশটিকে অস্থির করে তুলেছে। প্রায় প্রতিদিনই বোমা হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে শত শত মানুষ। তারা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে না। প্রতিরাতে আতঙ্ক নিয়ে তারা ঘুমাতে যায়, আবার আতঙ্কে তাদের ঘুম ভাঙে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করছে। পাকিস্তানের সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফও পাকিস্তানকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পাকিস্তান যেদিকে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, দেশটির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন হবে। পাকিস্তানের কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, যেকোনো মুহূর্তে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শাসনক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে। জেনারেল কায়ানি এখন আমেরিকার গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের বোঝা কি পাকিস্তান সেনাবাহিনী বহন করবে!
আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশকেও ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই বিডিআর বিদ্রোহের মতো ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। এখনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। সামরিক বাহিনীর ভেতরেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সরকারকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। প্রয়োজনে সব রাজনৈতিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়
সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। আমেরিকার সাময়িকী 'ফরেন পলিসি' ব্যর্থ রাষ্ট্রের ১৭৭টি দেশের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বাংলাদেশ রয়েছে ২৪ নম্বরে।
শীর্ষ দশে আছে পাকিস্তান। জাতিসংঘের সংস্থা এসকাপ বলেছে, এ বছর বাংলাদেশ ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা-সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন ২০০৯ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে তাদের ওয়াচ লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছে। মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে। বাংলাদেশকে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর নেপথ্য কারণ, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই জঙ্গি দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সহায়তার হাত প্রসারিত করেছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সরকার প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর ফলে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে।
এ ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊধর্ে্ব দেশের স্বার্থ। দেশ না বাঁচলে আমরা কেউই বাঁচতে পারব না। বাংলাদেশের সামনে যে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাকে কাজে লাগাতে পারলে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কাতারে যেতে খুব একটা সময় লাগবে না।
ট্রানজিট ইস্যু
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ একটি পক্ষ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় না। কখনো কখনো রাজনৈতিক পর্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মেনে নিতে পারে না। দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হলেই ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্টের মতো স্পর্শকাতর ইস্যু সামনে টেনে এনে রাজনীতির মাঠ গরম করা হয়। নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানো হয়। যেকোনো মূল্যে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে ওই পক্ষটি মরিয়া হয়ে ওঠে। এ পক্ষটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগাযোগও রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এ পক্ষটিকে চাঙ্গা রাখতে সচেষ্ট। এ পক্ষটিকে চাঙ্গা রাখতে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা অর্থ ব্যয়ও করছে বলে জানা যায়। কিন্তু কেন? এ পক্ষটির স্বার্থ কী? তারা কি চায় না এ দেশটি সমৃদ্ধি অর্জন করুক! মানুষের জীবনমানের উন্নতি হোক! সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠুক!
ট্রানজিট যদি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হয় তাহলে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা কোথায়? অর্থনৈতিক লাভালাভের বিষয়টি বিবেচনা করেই কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থনৈতিক ইস্যুকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করলে আমরাই সুযোগ হারাব। এ নিয়ে অতীতে অনেক সময় নষ্ট করা হয়েছে। এখন আমাদের উচিত হবে বাস্তবতার নিরিখে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা কিংবা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিরোধিতা করে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেওয়ার কোনো অর্থ হয় না।
আমরা জানি, ১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এবং এখন পর্যন্ত তা বন্ধ রয়েছে। তখন দুই দেশের স্থলবন্দর ব্যবহার করে পণ্য আদান-প্রদান হতো। নৌ-ট্রানজিট তো পাকিস্তান আমল থেকেই চালু ছিল। এখনো কিছু জায়গায় যেমন শাহবাজপুর থেকে আসামের মহিষাসন পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার এবং আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার লাইন বসিয়ে দুই দেশের মধ্যে রেলসংযোগ স্থাপন করা যায়।
এক হিসাবে দেখা গেছে, দুই দেশের মধ্যে শুধু রেল-ট্রানজিট চালু হলে বাংলাদেশ এখনই পরিবহন ভাড়া, পোর্ট চার্জ ও ট্রানজিট ফি বাবদ বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে। পাঁচ বছর পর এ আয়ের পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন থেকে এক বিলিয়নে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যই নয়, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এই তিন দেশই বাংলাদেশের কাছে ট্রানজিট ব্যবহারের সুযোগ চায়।
এডিবির এক জরিপে জানা যায়, বাংলাদেশ ট্রানজিট ব্যবহারের সুবিধা দিলে এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরও প্রতিবেশী দেশকে ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। ভারত, নেপাল ও ভুটানের পণ্যবাহী কনটেইনার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পরিবহনের কারণে শুল্ক হিসেবে এ অর্থ পাবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তবে বিআইডিএসের জরিপে বলা হয়েছে, ট্রানজিট দিলে বাংলাদেশ ৪০০ কোটি টাকা পাবে। কোন জরিপটি সঠিক সে বিতর্কে না গিয়ে এটা স্পষ্ট করে বলা যায়, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট সুবিধা দিলে বাংলাদেশ লাভবানই হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
এসব তথ্য নিশ্চয়ই সরকারের কাছেও রয়েছে। প্রয়োজনে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটিও করা যেতে পারে। তাঁরা ট্রানজিটের লাভালাভ খতিয়ে দেখবেন এবং সরকারকে প্রস্তাবনা পেশ করবেন। তার আলোকে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এ ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ যাতে কেউ না পায় সে জন্য বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
যাঁরা বলছেন, ট্রানজিট দিলে ভারত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র বহন করবে, তাঁরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন; এ দেশের সহজ সরল মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
=========================
রাজনৈতিক আলোচনা- 'যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের যন্ত্রণা এবং নতুন মুক্তিযোদ্ধা সনদ' by হারুন হাবীব  খবর ও ফিচার- কয়েন-কাহিনী  প্রকৃতি- 'বৈরিতায় বিপন্ন বাঘ' by বিপ্লব রহমান  প্রকৃতি- 'সুন্দরবন ঘেঁষে রেললাইন!' by পার্থ সারথি দাস  খবর- কোরীয় সীমান্তে ব্যাপক গোলাবিনিময়ে নিহত ২  শিল্প-অর্থনীতি 'চামড়াশিল্প শিগগিরই সরছে না' by আলী আসিফ  ফিচার- ‘র‌্যাগিং : পৌষ মাস না সর্বনাশ?' by সমুদ্র সৈকত  ভর্তি এবার লটারিতে! by হাবিবুর রহমান তারেক ও তমাল আবদুল কাইয়ুম  আলোচনা- 'পেট্রোবাংলার ভূমিকা এবং কিছু প্রশ্ন' by ড. এম শামসুল আলম  আন্তর্জাতিক- 'যুক্তরাষ্ট্রের ইরাকনীতি ইরানকে বিজয়ী করছে' by ফয়সাল আমিন ইস্ত্রাবাদি  আলোচনা- 'ইভ টিজিং : দায়ী কে?' by ফখরে আলম  কল্প গল্প- '...আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে!' by আলী আলী হাবিব  রাজনৈতিক আলোচনা- ''উচিত কথায় ননদ বেজার, গরম ভাতে ভাতে বিলাই (বিড়াল)' by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী  প্রকৃতি- 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষশত্রু' by মেহেদী উল্লাহ  ইতিহাস- 'ইতিহাসে মওলানা ভাসানীর আসন' by সৈয়দ আবুল মকসুদ  ইতিহাস- 'টিকে থাকুক ‘টেগর লজ’' by আশীষ-উর-রহমান  আলোচনা- 'কর্মশক্তি ও টাকার অপচয়!' by রোজিনা ইসলাম  রাজনৈতিক আলোচনা- 'আশির দশকে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন' by আবুল কাসেম ফজলুল হক  আলোচনা- 'বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব আকাশচুম্বী' by ড. নিয়াজ আহম্মেদ  ইতিহাস- 'প্রত্যন্ত জনপদে ইতিহাস-সঙ্গী হয়ে' by সাযযাদ কাদির


কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মোস্তফা কামাল
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক


এই গল্পালোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.