‘উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনা হতাশাব্যঞ্জক ও উসকানিমূলক’
উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু স্থাপনা হতাশাব্যঞ্জক ও উসকানিমূলক। তবে এটা কোনো সংকট সৃষ্টি করছে না। উত্তর কোরিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিফেন বসওয়ার্থ গতকাল সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এ মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণুবিজ্ঞানী সিগফ্রিড ১২ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার নতুন ইয়ংবিয়ন পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন শেষে জানিয়েছেন, সেখানে একটি কক্ষে তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ যন্ত্র সেন্ট্রিফিউজ দেখেছেন, যার সংখ্যা হবে সহস্রাধিক। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে পিয়ংইয়ং আরও শক্তিশালী পরমাণু বোমা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সাং-এইচওয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর স্টিফেন বলেন, এ তথ্য হতাশাব্যঞ্জক হলেও পরিস্থিতি সংকটময় নয়। দূত বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের লক্ষ্য কী, তা পর্যবেক্ষণ ও বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু স্থাপনা ২০০৫ সালে করা ছয় জাতির চুক্তির পরিপন্থী।
ছয় জাতির চুক্তির অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে একটি গ্যাস গ্রাফাইট স্থাপনা বন্ধ করে দেয় পিয়ংইয়ং। এর আগেই অবশ্য পর্যাপ্ত প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধ করে। ধারণা করা হয়, ওই প্লুটোনিয়াম দিয়ে ছয় থেকে আটটি পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব।
পিয়ংইয়ং ২০০৯ সালের এপ্রিলে ছয় জাতির আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে। ভবিষ্যতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ না করে দিয়ে মার্কিন দূত স্টিফেন বলেছেন, তবে কেবল আলোচনার স্বার্থে আলোচনায় বসা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করে আসছিল, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমা বানানোর উদ্দেশ্যেই নতুন নতুন পরমাণু স্থাপনা গড়ে তুলছে। পরমাণুবিজ্ঞানী সিগফ্রিড হেকারের দেওয়া তথ্য ওয়াশিংটনের এত দিনের আশঙ্কার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস।
২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শকদের বের করে দেওয়ার সময় এ ধরনের পরমাণু স্থাপনা দেশটিতে ছিল না। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেকার বলেন, উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু স্থাপনা অত্যাধুনিক। তবে এই স্থাপনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চলছে, নাকি বোমা বানানোর লক্ষ্যে উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের চেষ্টা চলছে, এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেননি হেকার।
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইকেল মুলেন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার স্পর্শকাতর নতুন পরমাণু স্থাপনা নির্মাণ উদ্বেগের বিষয়। ওই স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে পিয়ংইয়ং ওই এলাকাকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। অথচ পিয়ংইয়ং বরাবরই বলে আসছে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে না। গত শনিবার এবিসি টেলিভিশনকে এসব কথা বলেন মুলেন।
উত্তর কোরিয়া ২০০৬ ও ২০০৯ সালে দুবার পরমাণু বোমার পরীক্ষা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণুবিজ্ঞানী সিগফ্রিড ১২ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার নতুন ইয়ংবিয়ন পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন শেষে জানিয়েছেন, সেখানে একটি কক্ষে তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ যন্ত্র সেন্ট্রিফিউজ দেখেছেন, যার সংখ্যা হবে সহস্রাধিক। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে পিয়ংইয়ং আরও শক্তিশালী পরমাণু বোমা বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সাং-এইচওয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর স্টিফেন বলেন, এ তথ্য হতাশাব্যঞ্জক হলেও পরিস্থিতি সংকটময় নয়। দূত বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের লক্ষ্য কী, তা পর্যবেক্ষণ ও বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু স্থাপনা ২০০৫ সালে করা ছয় জাতির চুক্তির পরিপন্থী।
ছয় জাতির চুক্তির অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে একটি গ্যাস গ্রাফাইট স্থাপনা বন্ধ করে দেয় পিয়ংইয়ং। এর আগেই অবশ্য পর্যাপ্ত প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধ করে। ধারণা করা হয়, ওই প্লুটোনিয়াম দিয়ে ছয় থেকে আটটি পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব।
পিয়ংইয়ং ২০০৯ সালের এপ্রিলে ছয় জাতির আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে। ভবিষ্যতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ না করে দিয়ে মার্কিন দূত স্টিফেন বলেছেন, তবে কেবল আলোচনার স্বার্থে আলোচনায় বসা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করে আসছিল, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমা বানানোর উদ্দেশ্যেই নতুন নতুন পরমাণু স্থাপনা গড়ে তুলছে। পরমাণুবিজ্ঞানী সিগফ্রিড হেকারের দেওয়া তথ্য ওয়াশিংটনের এত দিনের আশঙ্কার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস।
২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু পরিদর্শকদের বের করে দেওয়ার সময় এ ধরনের পরমাণু স্থাপনা দেশটিতে ছিল না। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেকার বলেন, উত্তর কোরিয়ার নতুন পরমাণু স্থাপনা অত্যাধুনিক। তবে এই স্থাপনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চলছে, নাকি বোমা বানানোর লক্ষ্যে উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের চেষ্টা চলছে, এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেননি হেকার।
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মাইকেল মুলেন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার স্পর্শকাতর নতুন পরমাণু স্থাপনা নির্মাণ উদ্বেগের বিষয়। ওই স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে পিয়ংইয়ং ওই এলাকাকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। অথচ পিয়ংইয়ং বরাবরই বলে আসছে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে না। গত শনিবার এবিসি টেলিভিশনকে এসব কথা বলেন মুলেন।
উত্তর কোরিয়া ২০০৬ ও ২০০৯ সালে দুবার পরমাণু বোমার পরীক্ষা।
No comments