লড়ে যাচ্ছেন মিসবাহ

প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ফলোঅন এড়ানো। সেটি ছুঁতে পাকিস্তানের প্রয়োজন আর মাত্র ৬৮ রান। যদিও পাকিস্তানকে ফলোঅনে ফেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো চোখ রাঙাচ্ছে, তাদের প্রয়োজন মাত্র ৪ উইকেট। পাকিস্তানের আশা হয়ে উইকেটে টিকে আছেন মিসবাহ-উল হক। সঙ্গী আবদুর রেহমানের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ফিফটি আছে ১১টি, ব্যাটের হাত মন্দ না সামি-গুলদেরও। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ফলোঅনের মাঝে মূল বাধা এখন পাকিস্তান অধিনায়কই।
দক্ষিণ আফ্রিকা রানের পাহাড়ে ওঠার পর চাপটা বেশি ছিল পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ওপর। এককভাবে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, তবে সমন্বিত প্রচেষ্টায় জবাবটা খারাপ দেননি ব্যাটসম্যানরা। দুটি সেঞ্চুরি জুটি এগিয়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তানকে এবং দুটি জুটিতেই বড় অবদান দুই তরুণ আজহার ও আসাদ শফিকের। ইনিংসের প্রথম বলেই মোহাম্মদ হাফিজকে হারানোর ধাক্কা আগের দিন বিকেলেই সামলে নিয়েছিলেন তৌফিক-আজহার। জুটিটাকে কালও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যান দুজন। জুটি ভাঙতে পেস বোলিং করেছেন অফ স্পিনার ইয়োহান বোথা, তবে লাভ কিছু হয়নি। ১১৭ রানের জুটিটা ভেঙেছে ক্যালিসের বাউন্সারে তৌফিক উমর লোভ সামলাতে না পারায়। জুটিতে আজহার আলীর অবদান ৬৭।
২০০৬ সালে ইউনুস খানের পর তিন নম্বরে নেমে পাকিস্তানের হয়ে প্রথম টানা তিন ইনিংসে ফিফটি করেছেন আজহার। তবে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন তিন অঙ্ক ছুঁতে। টানা দুই ওভারে আজহার ও ইউনুসকে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দেন ডেল স্টেইন। কিন্তু আরেকটি শতরানের জুটিই ম্যাচে ফেরায় পাকিস্তানকে। এই জুটির মূল কারিগর অভিষিক্ত আসাদ শফিক। উইকেটের এক পাশে ছিলেন মিসবাহ, বয়সে এক যুগ ছোট শফিক আরেক পাশে খেলেছেন দারুণ সব শট। পরে আলগা বলকে যোগ্য শাস্তি দিতে তৎপর হয়েছেন মিসবাহও। হ্যারিসের জোড়া আঘাতে শফিক ও আদনান আকমল ফিরে গেলেও আস্থা হয়ে টিকে আছেন মিসবাহ।

No comments

Powered by Blogger.