আবারও চাঙা শেয়ারবাজার
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। সর্বশেষ মার্জিন ঋণ অর্ধেকে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কমিশনের আশা অনুযায়ী একদিন কিছুটা সংশোধন হলেও আজ মঙ্গলবার আবার চাঙা হয়ে ওঠে শেয়ারবাজার। বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নতুন শেয়ার বাজারে না এলে বাজার কোনোভাবেই টেনে ধরা সম্ভব নয়। অপরদিকে বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভিত্তির কোম্পানি বাজারে এলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে অব্যাহতভাবে শেয়ারবাজার চাঙাভাব থাকায় চিন্তিত হয়ে পড়ে কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণ ১ঃ১ থেকে কমিয়ে ১ঃ০.৫ করার সিদ্ধান্ত নেয় এসইসির বাজার পর্যালোচনা কমিটি। কিন্তু এসইসির এই সিদ্ধান্তে গতকাল সোমবার বাজার কিছুটা সংশোধন হলেও আজ আবার চাঙাভাব লক্ষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার-বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, এসইসি বিভিন্নভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে, যা বাজার শীতল বা শান্ত রাখার প্রচেষ্টার অংশ। তবে বর্তমানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাঁরা নগদ টাকা নিয়ে বাজারে আসছেন বিধায় এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার সরবরাহ বাড়ালে বাজার কিছুটা শীতল হবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে নির্দিষ্ট সময় পার হলেও তালিকাভুক্ত সরকারি শেয়ার ছাড়তে না পারার ব্যাপারে আবু আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘোষণা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত নয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে আসতে না পারার পেছনে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অন্যথায় অব্যাহতভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতে থাকবে। তিনি মনে করেন, সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো উদাহরণ হলে তা পরবর্তী সময়ে কাজে আসবে।
আরেক বাজার-বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, নতুন কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এটা ঠিক। তবে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, জানা নেই। নতুন কোম্পানি বাজারে আনার ব্যাপারে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) লেগে থাকতে হবে।
বজার পরিস্থিতি: ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আজ সাধারণ মূল্যসূচক ৩৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮৫৫৪ দশমিক ৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া মোট ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর।
আজ ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৭৩৬ কোটি টাকার কিছু বেশি লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে প্রায় নয় কোটি টাকা কম।
আজ লেনদেনে শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো: বেক্সিমকো, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস, ইউসিবিএল, স্কয়ার টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং, বেক্সটেক্স, এনসিসি ব্যাংক, এনবিএল, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
আজ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ারের দর। এ ছাড়া সিনোবাংলা, দুলামিয়া কটন, সিএমসি কামাল, আজিজ পাইপ, এম্বি ফার্মা, বিডি ফিন্যান্স, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স ও মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে আজ সবচেয়ে বেশি কমেছে কোহিনুর কেমিক্যালের শেয়ারের দর। এ ছাড়া ফেডারেল ইনস্যুরেন্স, এইমস প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন হাউজিং, স্টাইল ক্রাফট, কে অ্যান্ড কিউ, বিডি ল্যাম্প, আলহাজ টেক্সটাইল ও আরামিট সিমেন্ট দর কমে যাওয়া শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে।
আজ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩,৫৮,৮৯৬ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে অব্যাহতভাবে শেয়ারবাজার চাঙাভাব থাকায় চিন্তিত হয়ে পড়ে কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণ ১ঃ১ থেকে কমিয়ে ১ঃ০.৫ করার সিদ্ধান্ত নেয় এসইসির বাজার পর্যালোচনা কমিটি। কিন্তু এসইসির এই সিদ্ধান্তে গতকাল সোমবার বাজার কিছুটা সংশোধন হলেও আজ আবার চাঙাভাব লক্ষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও পুঁজিবাজার-বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, এসইসি বিভিন্নভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে, যা বাজার শীতল বা শান্ত রাখার প্রচেষ্টার অংশ। তবে বর্তমানে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাঁরা নগদ টাকা নিয়ে বাজারে আসছেন বিধায় এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার সরবরাহ বাড়ালে বাজার কিছুটা শীতল হবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে নির্দিষ্ট সময় পার হলেও তালিকাভুক্ত সরকারি শেয়ার ছাড়তে না পারার ব্যাপারে আবু আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘোষণা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত নয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে আসতে না পারার পেছনে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অন্যথায় অব্যাহতভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতে থাকবে। তিনি মনে করেন, সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো উদাহরণ হলে তা পরবর্তী সময়ে কাজে আসবে।
আরেক বাজার-বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, নতুন কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এটা ঠিক। তবে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, জানা নেই। নতুন কোম্পানি বাজারে আনার ব্যাপারে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) লেগে থাকতে হবে।
বজার পরিস্থিতি: ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আজ সাধারণ মূল্যসূচক ৩৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮৫৫৪ দশমিক ৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া মোট ২৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে মোট তিনটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর।
আজ ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৭৩৬ কোটি টাকার কিছু বেশি লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে প্রায় নয় কোটি টাকা কম।
আজ লেনদেনে শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো: বেক্সিমকো, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস, ইউসিবিএল, স্কয়ার টেক্সটাইল, আরএন স্পিনিং, বেক্সটেক্স, এনসিসি ব্যাংক, এনবিএল, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
আজ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ারের দর। এ ছাড়া সিনোবাংলা, দুলামিয়া কটন, সিএমসি কামাল, আজিজ পাইপ, এম্বি ফার্মা, বিডি ফিন্যান্স, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স ও মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে আজ সবচেয়ে বেশি কমেছে কোহিনুর কেমিক্যালের শেয়ারের দর। এ ছাড়া ফেডারেল ইনস্যুরেন্স, এইমস প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন হাউজিং, স্টাইল ক্রাফট, কে অ্যান্ড কিউ, বিডি ল্যাম্প, আলহাজ টেক্সটাইল ও আরামিট সিমেন্ট দর কমে যাওয়া শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে।
আজ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩,৫৮,৮৯৬ কোটি টাকা।
No comments