ইরানের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র চালু হচ্ছে কাল
কয়েক দশক অপেক্ষার পর অবশেষে চালু হচ্ছে ইরানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র। দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী বুশেহেরের কাছে অবস্থিত রুশ সহযোগিতায় নির্মিত বুশেহের বিদ্যুেকন্দ্র আগামীকাল শনিবার চালু হচ্ছে।
ইরানের পারমাণবিক প্রধান আলি আকবর সালেহি গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সরবরাহ করা জ্বালানি আগামী ২১ আগস্ট বুশেহের কেন্দ্রে ঢোকানো হবে।
সালেহি জানান, জ্বালানি সরবরাহের কাজ ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং এর দুই সপ্তাহ পর থেকে কেন্দ্রের চুল্লি মোট উত্পাদন ক্ষমতার ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উত্পাদনে সক্ষম হবে। তখন এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হবে। পূর্ণাঙ্গ উত্পাদনে পৌঁছাতে ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগতে পারে।
২০ হাজার মেগাওয়াট উত্পাদন ক্ষমতার এ বিদ্যুেকন্দ্র তৈরিতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় হয়।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমাদের চাপের মুখেও সেখানে এই পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে সহায়তা দিয়েছে রাশিয়া। তবে বিতর্কিত পরমাণু প্রকল্প ইস্যুতে ইরানের ওপর ঠিকই চাপ দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। গত জুনে ইরানের ওপর জাতিসংঘের চতুর্থ দফা নিষেধাজ্ঞায়ও রাশিয়া সম্মতি দেয়।
বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে সহায়তার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, এতে করে ইরানকে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে।
পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে ইরান প্রথম উদ্যোগ নেয় প্রায় চার দশক আগে। মার্কিন সমর্থিত ইরানের শাহ ১৯৭০-এর দশকে এই উদ্যোগ নেন। তখন জার্মানির সিমেন্স কোম্পানির সঙ্গে এ বিষয়ে ইরানের চুক্তি হয়।
তবে ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হন শাহ। এরপর থমকে যায় এই কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ১৯৮০-এর দশকের বেশির ভাগজুড়ে স্থবির হয়ে থাকে এ প্রকল্প। ওই দশকের শেষের দিকে এসে নতুন আধ্যাত্মিক নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট আকবর হাশেমি রাফসানজানির নেতৃত্বে পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প আবার পুনরুজ্জীবিত হয়।
পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের কারণে সিমেন্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ার পর ১৯৯০-এর দশকের প্রথমার্ধজুড়ে সহযোগী খুঁজতে থাকে চীন।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল উত্তোলনকারী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্যাস মজুদকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইরান দাবি করে আসছে, দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে তাঁদের পরমাণু বিদ্যুৎ উত্পাদন করতে হবে। কেননা তেল ও গ্যাস একসময় ফুরিয়ে আসবে।
ইরানের পারমাণবিক প্রধান আলি আকবর সালেহি গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সরবরাহ করা জ্বালানি আগামী ২১ আগস্ট বুশেহের কেন্দ্রে ঢোকানো হবে।
সালেহি জানান, জ্বালানি সরবরাহের কাজ ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে এবং এর দুই সপ্তাহ পর থেকে কেন্দ্রের চুল্লি মোট উত্পাদন ক্ষমতার ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উত্পাদনে সক্ষম হবে। তখন এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হবে। পূর্ণাঙ্গ উত্পাদনে পৌঁছাতে ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগতে পারে।
২০ হাজার মেগাওয়াট উত্পাদন ক্ষমতার এ বিদ্যুেকন্দ্র তৈরিতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় হয়।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমাদের চাপের মুখেও সেখানে এই পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে সহায়তা দিয়েছে রাশিয়া। তবে বিতর্কিত পরমাণু প্রকল্প ইস্যুতে ইরানের ওপর ঠিকই চাপ দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। গত জুনে ইরানের ওপর জাতিসংঘের চতুর্থ দফা নিষেধাজ্ঞায়ও রাশিয়া সম্মতি দেয়।
বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে সহায়তার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বলেন, এতে করে ইরানকে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে।
পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে ইরান প্রথম উদ্যোগ নেয় প্রায় চার দশক আগে। মার্কিন সমর্থিত ইরানের শাহ ১৯৭০-এর দশকে এই উদ্যোগ নেন। তখন জার্মানির সিমেন্স কোম্পানির সঙ্গে এ বিষয়ে ইরানের চুক্তি হয়।
তবে ১৯৭৯ সালে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হন শাহ। এরপর থমকে যায় এই কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ১৯৮০-এর দশকের বেশির ভাগজুড়ে স্থবির হয়ে থাকে এ প্রকল্প। ওই দশকের শেষের দিকে এসে নতুন আধ্যাত্মিক নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট আকবর হাশেমি রাফসানজানির নেতৃত্বে পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প আবার পুনরুজ্জীবিত হয়।
পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের কারণে সিমেন্সের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ার পর ১৯৯০-এর দশকের প্রথমার্ধজুড়ে সহযোগী খুঁজতে থাকে চীন।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তেল উত্তোলনকারী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্যাস মজুদকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও ইরান দাবি করে আসছে, দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে তাঁদের পরমাণু বিদ্যুৎ উত্পাদন করতে হবে। কেননা তেল ও গ্যাস একসময় ফুরিয়ে আসবে।
No comments