অলক-আফতাবের বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ
ক্রিকেট মাঠে দর্শক কেন যায়? কেউ ব্যাট-বলের লড়াই দেখতে, কেউ প্রিয় দলের জয় দেখতে আবার কেউ যায় স্রেফ ভালো খেলা দেখতে। তবে আধুনিক দর্শকের চাওয়া—চার হবে, ছয় হবে, চোখ ধাঁধানো শট হবে; সব মিলিয়ে ব্যাটিং দাপট।
বাংলাদেশে এই ‘দাপট’ দেখানোর বেলায় তাঁদের জুড়ি ছিল না। নিজেদের দিনে ব্যাট হাতে ক্রিকেটটাকে সত্যিকারের বিনোদনে পরিণত করতে পারতেন অলক কাপালি ও আফতাব আহমেদ। সেই দিন কোথায় যেন হারিয়ে গেছে! আনন্দদায়ী দুই ব্যাটসম্যান অলক ও আফতাব আরও একবার জাতীয় দলের বাইরেই রয়ে গেলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যানের জায়গা হয়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে। আইসিএল থেকে ফেরার পর আফতাব জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। অলক সে পর্যন্ত এখনো পৌঁছাতে পারেননি। সুতরাং জাতীয় দলে ডাক না পাওয়া তাঁদের কাছে অভাবিত কোনো ঘটনা নয়।
কিন্তু ঘটনাটা যখন দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের মাস ছয়েক আগের, তখন এই দুজনের জন্য ব্যাপারটা বিশেষ কিছু বলে বিবেচিত হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দলে না থাকাটা কি তাঁদের কোনো সংকেত দিল? বিশ্বকাপ কি ঘরে বসে দেখতে হবে আফতাব-অলককে?
আফতাব অবশ্য প্রতিবাদ করলেন, ‘বিশ্বকাপের তো এখনো অনেক দেরি। এর আগে আমি নিজেকে প্রমাণের অনেক সুযোগ পাব। আর রান করতে পারলে দলের বাইরে তো রাখবে না। বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন মোটেও শেষ হয়ে যায়নি।’
অলক-আফতাব মনে হলো সলাপরামর্শ করে বক্তব্য গুছিয়ে রেখেছেন! আফতাবের মতো অলকও মনে করেন না তাঁর বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে, ‘সামনে জাতীয় লিগের ওয়ানডে আছে, এ দলের হয়ে খেলা আছে। ওখানে ভালো করতে হবে। বাকিদের সমান ভালো করলে হবে না। এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করতে হবে। কাজটা হয়তো একটু কঠিন। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলাটা এখনো আমার হাতের মুঠোয়।’
জাতীয় দল যাঁদের একসময় স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গিয়েছিল, তাঁদের কেন এই কঠিন লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে? কী সেই ঘটনা, যাতে এলোমেলো হয়ে গেল সবকিছু? সাধারণ বিশ্লেষণ হলো, আইসিএলই অলক-আফতাবদের পথচ্যুত করেছে।
কিন্তু আফতাব মনে করেন, পারফরম্যান্স করতে না পারায় তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নিজের কাঁধে দায় নিয়ে বললেন, ‘আমাকে তো সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রান করতে পারিনি। যা-ই বলি না কেন, রান করতে না পারলে দলে রাখবে কেন? আমাকে রান করেই দলে ফিরতে হবে।’
অলকেরও দায় নিজের কাঁধে নিতে দ্বিধা নেই, ‘হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রাথমিক দলেও না থেকে কষ্ট পেয়েছি। প্রথম মনে হয়েছিল, অবিচার করা হয়েছে। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম, ঠিকই তো আছে। মাঝে অসুস্থ ছিলাম, দলে ডাক পেয়েও খেলিনি। খেলার মধ্যেই তো ছিলাম না। তাহলে আমাকে কী দেখে দলে রাখবে! আমাকেই এখন কিছু একটা করে দেখাতে হবে।’
এই করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ না নিয়ে উল্টো ভেঙে পড়বেন না তো? মাস কয়েক ধরে একটু নুয়ে পড়া অলকের কণ্ঠে যেন বিদ্যুৎ চমকে গেল, ‘ভেঙে পড়ার প্রশ্নই আসে না। বোর্ড আমাদের নিয়ে ভাবছে। আমাদের নিয়ে কাজ করছে। আমাদের এর প্রতিদান দিতে হবে। সোজা কথা, ফাইট করতে হবে। আমি এখন এই সময়টাকে সেই লড়াই করার সময় হিসেবে দেখছি।’
আফতাবও লড়াই করতে চান। লড়াইয়ের ফলটাও তিনি দেখতে পাচ্ছেন, ‘আমি যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমাকে দলে রাখবে। আর সেখানে ভালো করলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত।’
কত সহজ সমীকরণ! অলকও এই সমীকরণটা মেলানোর চেষ্টায় আছেন। তবে তাঁর চোখ শুধু বিশ্বকাপে আটকে নেই, ‘বিশ্বকাপ তো অবশ্যই খেলতে চাই। তবে আমার মূল লক্ষ্য একবার সুযোগ পেলে ধারাবাহিকভাবে রান করতে থাকা। জাতীয় দলে জায়গা পেলে আর আসা-যাওয়া করে ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চাই না।’
বাংলাদেশে এই ‘দাপট’ দেখানোর বেলায় তাঁদের জুড়ি ছিল না। নিজেদের দিনে ব্যাট হাতে ক্রিকেটটাকে সত্যিকারের বিনোদনে পরিণত করতে পারতেন অলক কাপালি ও আফতাব আহমেদ। সেই দিন কোথায় যেন হারিয়ে গেছে! আনন্দদায়ী দুই ব্যাটসম্যান অলক ও আফতাব আরও একবার জাতীয় দলের বাইরেই রয়ে গেলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যানের জায়গা হয়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে। আইসিএল থেকে ফেরার পর আফতাব জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। অলক সে পর্যন্ত এখনো পৌঁছাতে পারেননি। সুতরাং জাতীয় দলে ডাক না পাওয়া তাঁদের কাছে অভাবিত কোনো ঘটনা নয়।
কিন্তু ঘটনাটা যখন দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের মাস ছয়েক আগের, তখন এই দুজনের জন্য ব্যাপারটা বিশেষ কিছু বলে বিবেচিত হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দলে না থাকাটা কি তাঁদের কোনো সংকেত দিল? বিশ্বকাপ কি ঘরে বসে দেখতে হবে আফতাব-অলককে?
আফতাব অবশ্য প্রতিবাদ করলেন, ‘বিশ্বকাপের তো এখনো অনেক দেরি। এর আগে আমি নিজেকে প্রমাণের অনেক সুযোগ পাব। আর রান করতে পারলে দলের বাইরে তো রাখবে না। বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন মোটেও শেষ হয়ে যায়নি।’
অলক-আফতাব মনে হলো সলাপরামর্শ করে বক্তব্য গুছিয়ে রেখেছেন! আফতাবের মতো অলকও মনে করেন না তাঁর বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ শেষ হয়ে গেছে, ‘সামনে জাতীয় লিগের ওয়ানডে আছে, এ দলের হয়ে খেলা আছে। ওখানে ভালো করতে হবে। বাকিদের সমান ভালো করলে হবে না। এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করতে হবে। কাজটা হয়তো একটু কঠিন। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলাটা এখনো আমার হাতের মুঠোয়।’
জাতীয় দল যাঁদের একসময় স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গিয়েছিল, তাঁদের কেন এই কঠিন লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে? কী সেই ঘটনা, যাতে এলোমেলো হয়ে গেল সবকিছু? সাধারণ বিশ্লেষণ হলো, আইসিএলই অলক-আফতাবদের পথচ্যুত করেছে।
কিন্তু আফতাব মনে করেন, পারফরম্যান্স করতে না পারায় তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নিজের কাঁধে দায় নিয়ে বললেন, ‘আমাকে তো সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রান করতে পারিনি। যা-ই বলি না কেন, রান করতে না পারলে দলে রাখবে কেন? আমাকে রান করেই দলে ফিরতে হবে।’
অলকেরও দায় নিজের কাঁধে নিতে দ্বিধা নেই, ‘হ্যাঁ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রাথমিক দলেও না থেকে কষ্ট পেয়েছি। প্রথম মনে হয়েছিল, অবিচার করা হয়েছে। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম, ঠিকই তো আছে। মাঝে অসুস্থ ছিলাম, দলে ডাক পেয়েও খেলিনি। খেলার মধ্যেই তো ছিলাম না। তাহলে আমাকে কী দেখে দলে রাখবে! আমাকেই এখন কিছু একটা করে দেখাতে হবে।’
এই করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ না নিয়ে উল্টো ভেঙে পড়বেন না তো? মাস কয়েক ধরে একটু নুয়ে পড়া অলকের কণ্ঠে যেন বিদ্যুৎ চমকে গেল, ‘ভেঙে পড়ার প্রশ্নই আসে না। বোর্ড আমাদের নিয়ে ভাবছে। আমাদের নিয়ে কাজ করছে। আমাদের এর প্রতিদান দিতে হবে। সোজা কথা, ফাইট করতে হবে। আমি এখন এই সময়টাকে সেই লড়াই করার সময় হিসেবে দেখছি।’
আফতাবও লড়াই করতে চান। লড়াইয়ের ফলটাও তিনি দেখতে পাচ্ছেন, ‘আমি যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমাকে দলে রাখবে। আর সেখানে ভালো করলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত।’
কত সহজ সমীকরণ! অলকও এই সমীকরণটা মেলানোর চেষ্টায় আছেন। তবে তাঁর চোখ শুধু বিশ্বকাপে আটকে নেই, ‘বিশ্বকাপ তো অবশ্যই খেলতে চাই। তবে আমার মূল লক্ষ্য একবার সুযোগ পেলে ধারাবাহিকভাবে রান করতে থাকা। জাতীয় দলে জায়গা পেলে আর আসা-যাওয়া করে ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চাই না।’
No comments