ইরাক ছাড়ল মার্কিন ‘যুদ্ধসেনা’
ইরাকে নিয়োজিত মার্কিন ‘যুদ্ধসেনা’র (কমব্যাট বাহিনী) সর্বশেষ ব্রিগেড গতকাল বৃহস্পতিবার ইরাক ছেড়ে চলে গেছে। স্থানীয় সময় ভোর ছয়টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টায়) সেকেন্ড ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের আওতাভুক্ত ফোর্থ স্ট্রাইকার ব্রিগেডের সর্বশেষ সেনাদল স্থলপথে ইরাক সীমান্ত অতিক্রম করে কুয়েতের মাটিতে পা রাখে। গতকাল ভোরে মার্কিন বাহিনীর একজন মুখপাত্র এ কথা বলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ৩১ আগস্টের মধ্যে ইরাক থেকে সব যুদ্ধসেনা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা অনুযায়ী তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। তবে সব কমব্যাট সোলজার বা যুদ্ধসেনা প্রত্যাহার করা হলেও এখনো সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে অর্ধলক্ষাধিক মার্কিন সেনা রয়েছেন।
লস এঞ্জেলেস টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে সেকেন্ড ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের চার হাজার সেনার অধিকাংশই ৩৬০টি সামরিক যান নিয়ে বাগদাদ থেকে কুয়েতের মার্কিন ঘাঁটিতে যাওয়া শুরু করেন। তবে নিরাপত্তার কারণে সংবাদমাধ্যমে আগেই এ খবর প্রকাশ করা হয়নি। ওই ডিভিশনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরিক ব্লুম এএফপিকে বলেছেন, গতকাল ভোর ছয়টা নাগাদ সর্বশেষ সেনাদল ইরাক সীমান্ত অতিক্রম করে। এর মধ্য দিয়ে সাড়ে সাত বছর আগে ইরাক যুদ্ধে আসা মার্কিন বাহিনীর সব কমব্যাট সেনা সদস্যকেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
এরিক ব্লুম বলেন, ইরাকে এখনো তাঁদের বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম ও আসবাব রয়েছে। সেগুলো গোছগাছ করে জাহাজে তোলার কাজ করছেন কিছু সেনা। সেগুলো বাঁধাছাঁদা করে জাহাজে তুলতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাদের মালামাল জাহাজে তোলার পর কুয়েত ঘাঁটি থেকে তাঁদের বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো শুরু হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সব সেনা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।
ব্লুম জানান, বিভিন্ন মার্কিন স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এখনো ইরাকে ৫৬ হাজার সেনা রয়েছেন। এসব সেনা সেখানে অবস্থান করলেও তাঁরা কোনো অভিযানে অংশ নেবেন না। শুধু আক্রান্ত হলে তাঁরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের মধ্য থেকে আরও ছয় হাজার সেনা যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।
২০০৩ সালে হামলা চালানোর সময় মার্কিন বাহিনী তাদের ইরাক অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম’। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর নতুন অভিযান শুরু হবে। সে অভিযানের নাম হবে ‘অপারেশন নিউ ডন’। ইরাকের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা হবে ‘অপারেশন নিউ ডনের’ মূল লক্ষ্য।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি এমএসএনবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কমব্যাট অপারেশনের (যুদ্ধাভিযান) এ আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ইরাক থেকে কমব্যাট সৈন্য প্রত্যাহারের অর্থ এই নয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেছেন, ‘ইরাক থেকে আমরা আমাদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনিনি। সেখানে এখনো আমাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি রয়েছে। আমরা একটি পর্যায় থেকে অন্য একটি পর্যায়ে গিয়েছি মাত্র। ইরাকের প্রতি আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’
ক্রাউলি বলেছেন, ইরাক যুদ্ধে তাঁদের প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার (৪৪১৫ জন) মার্কিন সেনা। তিনি বলেন, এত অর্থ ও লোকবল খরচ করার পর ইরাককে অরক্ষিত রেখে আসার প্রশ্নই আসে না। তাঁরা ইরাককে স্থিতিশীল রাখতে যা যা প্রয়োজন তাই করবেন।
তবে ইরাক থেকে মার্কিন কমব্যাট সেনা সরিয়ে আনায় বিভিন্ন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। খোদ ইরাকের সেনা কর্মকর্তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা এখনো তাঁদের হয়নি।
ইরাকের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাবাকের জিবারি বলেছেন, ২০২০ সালের আগে ইরাকি বাহিনীর একার পক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। তিনি বলেছেন, ওবামা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী ২০১১ সালে ইরাক থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে আসল সমস্যা শুরু হবে।
লস এঞ্জেলেস টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন দিন ধরে সেকেন্ড ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের চার হাজার সেনার অধিকাংশই ৩৬০টি সামরিক যান নিয়ে বাগদাদ থেকে কুয়েতের মার্কিন ঘাঁটিতে যাওয়া শুরু করেন। তবে নিরাপত্তার কারণে সংবাদমাধ্যমে আগেই এ খবর প্রকাশ করা হয়নি। ওই ডিভিশনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরিক ব্লুম এএফপিকে বলেছেন, গতকাল ভোর ছয়টা নাগাদ সর্বশেষ সেনাদল ইরাক সীমান্ত অতিক্রম করে। এর মধ্য দিয়ে সাড়ে সাত বছর আগে ইরাক যুদ্ধে আসা মার্কিন বাহিনীর সব কমব্যাট সেনা সদস্যকেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
এরিক ব্লুম বলেন, ইরাকে এখনো তাঁদের বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম ও আসবাব রয়েছে। সেগুলো গোছগাছ করে জাহাজে তোলার কাজ করছেন কিছু সেনা। সেগুলো বাঁধাছাঁদা করে জাহাজে তুলতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাদের মালামাল জাহাজে তোলার পর কুয়েত ঘাঁটি থেকে তাঁদের বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো শুরু হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সব সেনা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।
ব্লুম জানান, বিভিন্ন মার্কিন স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এখনো ইরাকে ৫৬ হাজার সেনা রয়েছেন। এসব সেনা সেখানে অবস্থান করলেও তাঁরা কোনো অভিযানে অংশ নেবেন না। শুধু আক্রান্ত হলে তাঁরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের মধ্য থেকে আরও ছয় হাজার সেনা যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।
২০০৩ সালে হামলা চালানোর সময় মার্কিন বাহিনী তাদের ইরাক অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম’। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর নতুন অভিযান শুরু হবে। সে অভিযানের নাম হবে ‘অপারেশন নিউ ডন’। ইরাকের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা হবে ‘অপারেশন নিউ ডনের’ মূল লক্ষ্য।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি এমএসএনবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কমব্যাট অপারেশনের (যুদ্ধাভিযান) এ আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তিকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ইরাক থেকে কমব্যাট সৈন্য প্রত্যাহারের অর্থ এই নয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কাজ শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেছেন, ‘ইরাক থেকে আমরা আমাদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনিনি। সেখানে এখনো আমাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি রয়েছে। আমরা একটি পর্যায় থেকে অন্য একটি পর্যায়ে গিয়েছি মাত্র। ইরাকের প্রতি আমাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’
ক্রাউলি বলেছেন, ইরাক যুদ্ধে তাঁদের প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার (৪৪১৫ জন) মার্কিন সেনা। তিনি বলেন, এত অর্থ ও লোকবল খরচ করার পর ইরাককে অরক্ষিত রেখে আসার প্রশ্নই আসে না। তাঁরা ইরাককে স্থিতিশীল রাখতে যা যা প্রয়োজন তাই করবেন।
তবে ইরাক থেকে মার্কিন কমব্যাট সেনা সরিয়ে আনায় বিভিন্ন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। খোদ ইরাকের সেনা কর্মকর্তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা এখনো তাঁদের হয়নি।
ইরাকের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাবাকের জিবারি বলেছেন, ২০২০ সালের আগে ইরাকি বাহিনীর একার পক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। তিনি বলেছেন, ওবামা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী ২০১১ সালে ইরাক থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার সঙ্গে সঙ্গে আসল সমস্যা শুরু হবে।
No comments