ব্যবসা প্রসারে বিকল্প অর্থায়ন শুরু করেছে এবি ব্যাংক
প্রচলিত ঋণ কার্যক্রমের বাইরে শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে বিকল্প অর্থায়নের দিকেও ঝুঁকছে বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক লিমিটেড। সরাসরি বিভিন্ন কোম্পানির অগ্রাধিকার বা প্রেফারেন্স শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমে এ ধরনের অর্থায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে ব্যাংকটি।
এই অর্থায়ন কার্যক্রম সমমূলধন অর্থায়ন বা ইক্যুইটি ফাইন্যান্স নামেই বেশি পরিচিত। বেসরকারি খাতের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইক্যুইটি ফাইন্যান্স শুরু করল এবি ব্যাংকের বিনিয়োগ ব্যাংকিং বিভাগ। এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) অনেকটা এ ধরনের অর্থায়ন করত।
জানা গেছে, এবি ব্যাংক এভারেস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং ফাইবার@ হোম নামে দুটি কোম্পানির পাঁচ কোটি টাকার শতভাগ রূপান্তরযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। তবে শর্ত হলো, তিন বছর পর কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। যাতে তালিকাভুক্তির পর বাজারে শেয়ারগুলো বিক্রি করে মুনাফাসহ বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পেতে পারে। তালিকাভুক্তির আগ পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাবে, যা অবশ্যই প্রচলিত ব্যাংক সুদের চেয়ে অনেক কম।
যোগাযোগ করা হলে এবি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অর্থায়নের এ বিকল্প পদ্ধতি ব্যাপকভাবে চালু করা সম্ভব হলে প্রচলিত ব্যাংক ঋণের ওপর চাপ কমবে। ফলে ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার কমাবে। এতে সুদহার কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে।
ফজলুর রহমান আরও বলেন, ব্যাংক ঋণের থেকে এ ধরনের অর্থায়নের গুণগত পার্থক্য হলো, চুক্তি অনুযায়ী কেবল মুনাফা হলেই উদ্যোক্তা অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে লভ্যাংশ দেবে। তা না হলে দেবে না। কিন্তু ঋণের সুদহার সব সময়ের জন্য স্থির থাকে। তা ছাড়া এ ধরনের অর্থায়নের লভ্যাংশ সুদহারের কম হওয়ায় উদ্যোক্তাদের জন্য খরচও কমাবে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির শর্ত থাকায় বাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহও নিশ্চিত হবে। এতে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়াবে।
ফজলুর রহমান বলেন, তবে একটি বা দুটি কোম্পানির মাধ্যমে এর সুফল বোঝা যাবে না। এ জন্য অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।
জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলালায়ন ও ক্যাশ লিংকসহ আরও কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে এ ধরনের অর্থায়নের ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। আর এগুলো বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকের মুনাফাও বাড়বে। আইসিবি আগে এ ধরনের সেতু অর্থায়ন বা ব্রিজ ফাইন্যান্সিং করত। এভাবে কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৮০টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালের পুঁজিবাজার ধসের পর বাজারে শেয়ারের চাহিদা কমে গেলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সুপারিশে আইসিবি এ ধরনের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। তবে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আবার নতুন করে এ কার্যক্রম শুরুর পরামর্শ দিয়েছে আইসিবিকে। আইসিবি নিজস্ব তহবিল থেকে এ ধরনের অর্থায়ন শুরু করবে বলে জানা গেছে।
এই অর্থায়ন কার্যক্রম সমমূলধন অর্থায়ন বা ইক্যুইটি ফাইন্যান্স নামেই বেশি পরিচিত। বেসরকারি খাতের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইক্যুইটি ফাইন্যান্স শুরু করল এবি ব্যাংকের বিনিয়োগ ব্যাংকিং বিভাগ। এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) অনেকটা এ ধরনের অর্থায়ন করত।
জানা গেছে, এবি ব্যাংক এভারেস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং ফাইবার@ হোম নামে দুটি কোম্পানির পাঁচ কোটি টাকার শতভাগ রূপান্তরযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। তবে শর্ত হলো, তিন বছর পর কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। যাতে তালিকাভুক্তির পর বাজারে শেয়ারগুলো বিক্রি করে মুনাফাসহ বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পেতে পারে। তালিকাভুক্তির আগ পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাবে, যা অবশ্যই প্রচলিত ব্যাংক সুদের চেয়ে অনেক কম।
যোগাযোগ করা হলে এবি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অর্থায়নের এ বিকল্প পদ্ধতি ব্যাপকভাবে চালু করা সম্ভব হলে প্রচলিত ব্যাংক ঋণের ওপর চাপ কমবে। ফলে ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার কমাবে। এতে সুদহার কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে।
ফজলুর রহমান আরও বলেন, ব্যাংক ঋণের থেকে এ ধরনের অর্থায়নের গুণগত পার্থক্য হলো, চুক্তি অনুযায়ী কেবল মুনাফা হলেই উদ্যোক্তা অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে লভ্যাংশ দেবে। তা না হলে দেবে না। কিন্তু ঋণের সুদহার সব সময়ের জন্য স্থির থাকে। তা ছাড়া এ ধরনের অর্থায়নের লভ্যাংশ সুদহারের কম হওয়ায় উদ্যোক্তাদের জন্য খরচও কমাবে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির শর্ত থাকায় বাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহও নিশ্চিত হবে। এতে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়াবে।
ফজলুর রহমান বলেন, তবে একটি বা দুটি কোম্পানির মাধ্যমে এর সুফল বোঝা যাবে না। এ জন্য অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।
জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলালায়ন ও ক্যাশ লিংকসহ আরও কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে এ ধরনের অর্থায়নের ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। আর এগুলো বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকের মুনাফাও বাড়বে। আইসিবি আগে এ ধরনের সেতু অর্থায়ন বা ব্রিজ ফাইন্যান্সিং করত। এভাবে কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৮০টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালের পুঁজিবাজার ধসের পর বাজারে শেয়ারের চাহিদা কমে গেলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সুপারিশে আইসিবি এ ধরনের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। তবে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আবার নতুন করে এ কার্যক্রম শুরুর পরামর্শ দিয়েছে আইসিবিকে। আইসিবি নিজস্ব তহবিল থেকে এ ধরনের অর্থায়ন শুরু করবে বলে জানা গেছে।
No comments