সংবর্ধনার বিকল্প পদ্ধতি বের করুন -জনভোগান্তিমূলক কর্মসূচি আর নয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার দিনে সরকারি দল যে এমন ব্যাপক মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করবে—এ তথ্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর জানা ছিল কি না, সে বিষয়ে আমরা সন্দিহান। সরকারি দলের নেতাদের উচিত ছিল এমন পন্থায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানোর ব্যবস্থা করা, যাতে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে। প্রধানমন্ত্রী ফিরেছেন সন্ধ্যায়, দুপুর থেকে রাস্তাঘাটে যানজট সৃষ্টি করে মিছিল বের করার কী প্রয়োজন ছিল, তা বোধগম্য নয়। সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো যেত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা দুপুর থেকে মিছিল নিয়ে বের হন শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে। আর জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরাটন হোটেল পর্যন্ত মহাসড়কজুড়ে মিছিলের কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি হয়। এই সড়কের বেশ কিছু অংশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এ রকম বৃহত্ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে তার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়ে মহানগরের অন্য সড়কগুলোতেও। মহানগরজুড়ে যান চলাচলে অচলাবস্থার সচিত্র বিবরণ পরদিন বৃহস্পতিবারের জাতীয় সংবাদপত্রগুলোতে ছাপা হয়েছে, যা থেকে জনসাধারণের ভোগান্তির মাত্রা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়, অতীতেও জনগণের চলাচলের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা না করে রাজনৈতিক দলগুলো এমন কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু এখন একটি পরিবর্তনকামী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন সময়ে ভিআইপিদের চলাচলের সময় যাতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে বাধাবিঘ্নের সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসার দিনেই বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীর কর্মী-সমর্থকদের দীর্ঘ মোটর শোভাযাত্রা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এবং আবদুল মোমিন তালুকদারের কর্মী-সমর্থকদের মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাসের শোভাযাত্রা বগুড়া-সান্তাহার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে ওসব পথে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের চরম ভোগান্তি হয়। বিরোধী দলগুলোর মিছিল-সমাবেশের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ তাদের বিবেচনায় থাকে না, বরং হরতালের মতো কর্মসূচিগুলোতে তারা জনদুর্ভোগকেই পুঁজি করতে চায়। সরকারি দলও যদি এমনভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করে, যা জনসাধারণের দুর্ভোগের কারণ হয়, তাহলে তো বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো পার্থক্য থাকে না। কিন্তু সরকারি দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর কাছে জনসাধারণ অধিকতর দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশা করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা দুপুর থেকে মিছিল নিয়ে বের হন শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে। আর জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরাটন হোটেল পর্যন্ত মহাসড়কজুড়ে মিছিলের কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি হয়। এই সড়কের বেশ কিছু অংশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এ রকম বৃহত্ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে তার প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়ে মহানগরের অন্য সড়কগুলোতেও। মহানগরজুড়ে যান চলাচলে অচলাবস্থার সচিত্র বিবরণ পরদিন বৃহস্পতিবারের জাতীয় সংবাদপত্রগুলোতে ছাপা হয়েছে, যা থেকে জনসাধারণের ভোগান্তির মাত্রা সহজেই অনুধাবন করা যায়।
এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়, অতীতেও জনগণের চলাচলের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা না করে রাজনৈতিক দলগুলো এমন কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু এখন একটি পরিবর্তনকামী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন সময়ে ভিআইপিদের চলাচলের সময় যাতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে বাধাবিঘ্নের সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে কথা বলেছিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ফিরে আসার দিনেই বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলীর কর্মী-সমর্থকদের দীর্ঘ মোটর শোভাযাত্রা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এবং আবদুল মোমিন তালুকদারের কর্মী-সমর্থকদের মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাসের শোভাযাত্রা বগুড়া-সান্তাহার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে ওসব পথে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের চরম ভোগান্তি হয়। বিরোধী দলগুলোর মিছিল-সমাবেশের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ তাদের বিবেচনায় থাকে না, বরং হরতালের মতো কর্মসূচিগুলোতে তারা জনদুর্ভোগকেই পুঁজি করতে চায়। সরকারি দলও যদি এমনভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করে, যা জনসাধারণের দুর্ভোগের কারণ হয়, তাহলে তো বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো পার্থক্য থাকে না। কিন্তু সরকারি দল ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর কাছে জনসাধারণ অধিকতর দায়িত্বশীলতা প্রত্যাশা করে।
No comments