এক সপ্তাহেই সূচক, লেনদেন ও বাজার মূলধনের রেকর্ড
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার হিসেবে পরিচিত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে ছয় হাজার ২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ হিসেবে পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২০৪ কোটি টাকার শেয়ার। আগের সপ্তাহের চেয়ে যা প্রায় ১১ শতাংশ বা ৫৮৮ কোটি টাকা বেশি। আগের সপ্তাহের মোট লেনদেন ছিল পাঁচ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার মতো। এ সময় দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮৬ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে ইতিহাসে কোনো একক সপ্তাহের লেনদেন হিসেবে গত সপ্তাহের মোট লেনদেন ছিল এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ। আর লেনদেনের এ চিত্রই নির্দেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ তারল্য (অর্থের) প্রবাহ রয়েছে। এসব অর্থ স্বল্পসংখ্যক শেয়ারের পিছে ধাবিত হওয়ায় বাজারে মূল্যসূচকও বাড়ছে। ফলে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ মাইলফলক স্পর্শ করে। এরই প্রভাবে স্টক এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো দুই লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে, যা মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রায় ৩৩ শতাংশের মতো।
ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জটির সাধারণ মূল্যসূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১১৬ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৮৩৮ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এর আগের সপ্তাহে সূচক ১৮৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছিল চার হাজার ৭২২ পয়েন্ট। এ হিসেবে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ২০২ পয়েন্টের মতো। আর সূচক বৃদ্ধির এ ধারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) কিছুটা হলেও বিচলিত করে তুলেছে। গত বুধবার সংস্থাটির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তেমনটিই ধারণা দিয়েছেন।
ওই দিন এসইসির তদারকি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকে টেলিফোন করে তাদের গ্রাহকদের আর্থিক সমন্বয় সুবিধা বা নেটিং বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এ খবরটিই বাজারে নানা গুজবের সৃষ্টি করে মূল্যসূচকের বড় ধরনের পতন ঘটায়। বাজার চলাকালে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সূচক নিয়ন্ত্রণের এ ধরনের উদ্যোগ নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যা ছিল সপ্তাহের শেষে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
যোগাযোগ করা হলে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, বাজার যেভাবে বাড়ছে সেটি স্বাভাবিক। তবে কোনো বাজারই অনির্দিষ্টকাল বাড়তে পারে না। একটি পর্যায়ে এসে মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা হলো বিনিয়োগকারীরা এ স্বাভাবিক বিষয়টাকে মানতে পারে না। আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেভাবে সূচক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, সেটিও ঠিক নয়। মূল্য সংশোধন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হতে দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বাজার পরিস্থিতি: গত সপ্তাহে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতের সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো লেনদেনের ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বিদ্যুত্ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা এবং সপ্তাহ শেষে ২৬টি সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে নিয়ে আসার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করেছে। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ারের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল লক্ষ করার মতো। চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে এ প্রতিষ্ঠানে শেয়ারের বিনিয়োগে ঋণসুবিধা উন্মুক্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এ দিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিটি ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। বর্তমানে বাজারে এ কোম্পানিটির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই অনুপাত সবচেয়ে কম। শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের এটি অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি: পিপলস ইনস্যুরেন্স, বিচ হ্যাচারি, সোনালী আঁশ, ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পঞ্চম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, আরামিট, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স ও ফু ওয়াং ফুড।
দর কমার শীর্ষ ১০: এস আলম, মুন্নু জুটেক্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, মেঘনা সিমেন্ট, শমরিতা হাসপাতাল, ফার্স্ট লিজ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, অ্যাপেক্স ফুডস, স্টান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ও রূপালী ব্যাংক।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজারে ইতিহাসে কোনো একক সপ্তাহের লেনদেন হিসেবে গত সপ্তাহের মোট লেনদেন ছিল এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ। আর লেনদেনের এ চিত্রই নির্দেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ তারল্য (অর্থের) প্রবাহ রয়েছে। এসব অর্থ স্বল্পসংখ্যক শেয়ারের পিছে ধাবিত হওয়ায় বাজারে মূল্যসূচকও বাড়ছে। ফলে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ মাইলফলক স্পর্শ করে। এরই প্রভাবে স্টক এক্সচেঞ্জটির বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো দুই লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে, যা মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রায় ৩৩ শতাংশের মতো।
ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে স্টক এক্সচেঞ্জটির সাধারণ মূল্যসূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১১৬ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৮৩৮ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এর আগের সপ্তাহে সূচক ১৮৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছিল চার হাজার ৭২২ পয়েন্ট। এ হিসেবে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ২০২ পয়েন্টের মতো। আর সূচক বৃদ্ধির এ ধারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) কিছুটা হলেও বিচলিত করে তুলেছে। গত বুধবার সংস্থাটির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তেমনটিই ধারণা দিয়েছেন।
ওই দিন এসইসির তদারকি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকে টেলিফোন করে তাদের গ্রাহকদের আর্থিক সমন্বয় সুবিধা বা নেটিং বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এ খবরটিই বাজারে নানা গুজবের সৃষ্টি করে মূল্যসূচকের বড় ধরনের পতন ঘটায়। বাজার চলাকালে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সূচক নিয়ন্ত্রণের এ ধরনের উদ্যোগ নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যা ছিল সপ্তাহের শেষে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
যোগাযোগ করা হলে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, বাজার যেভাবে বাড়ছে সেটি স্বাভাবিক। তবে কোনো বাজারই অনির্দিষ্টকাল বাড়তে পারে না। একটি পর্যায়ে এসে মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা হলো বিনিয়োগকারীরা এ স্বাভাবিক বিষয়টাকে মানতে পারে না। আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেভাবে সূচক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, সেটিও ঠিক নয়। মূল্য সংশোধন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হতে দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বাজার পরিস্থিতি: গত সপ্তাহে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি খাতের সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো লেনদেনের ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বিদ্যুত্ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা এবং সপ্তাহ শেষে ২৬টি সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে নিয়ে আসার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করেছে। টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ারের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল লক্ষ করার মতো। চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে এ প্রতিষ্ঠানে শেয়ারের বিনিয়োগে ঋণসুবিধা উন্মুক্ত হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এ দিকে ঝুঁকছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিটি ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। বর্তমানে বাজারে এ কোম্পানিটির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই অনুপাত সবচেয়ে কম। শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের এটি অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি: পিপলস ইনস্যুরেন্স, বিচ হ্যাচারি, সোনালী আঁশ, ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পঞ্চম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, আরামিট, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স ও ফু ওয়াং ফুড।
দর কমার শীর্ষ ১০: এস আলম, মুন্নু জুটেক্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, মেঘনা সিমেন্ট, শমরিতা হাসপাতাল, ফার্স্ট লিজ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, অ্যাপেক্স ফুডস, স্টান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ও রূপালী ব্যাংক।
No comments