সাংসদদের আচরণবিধি -তাঁদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে হবে
সাংসদদের ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে যে বেসরকারি বিলটি উত্থাপিত হয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিলের শিরোনাম হলো ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন-২০১০’। বিলটির উত্থাপক সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সাংসদেরা যাতে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি অবিচল থেকে তাঁদের কার্যক্রম ও আচরণ অনুযায়ী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এটি উত্থাপন করা হয়েছে।
বিলটির উদ্দেশ্য মহত্। এতে যেসব বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাংসদেরা কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী চলবেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে কোনো সুপারিশ করতে পারবেন না। নিজের বা পরিবারের সদস্যরা আর্থিক বা বস্তুগত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করবেন না। তাঁরা এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না, যাতে তাঁদের সংসদীয় দায়িত্ব প্রভাবিত হতে পারে।
যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বহু দেশে সাংসদ ও মন্ত্রীদের জন্য আচরণবিধি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিলটি ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখে। এতে যেসব নীতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে, তা যেকোনো দেশের সংসদীয় ব্যবস্থার জন্য অনুসরণীয় হতে পারে। সাংসদদের দায়িত্ব হলো জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে আইন প্রণয়ন করা এবং নির্বাহী বিভাগ যথাযথভাবে সে আইন পালন করছে কি না, তা তদারক করা। সেখানে সাংসদেরা যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে কোনো সুবিধা নেন, কিংবা সুবিধা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন, তাহলে তাঁদের পক্ষে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমাদের সংবিধান নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে এক পক্ষের কাজে অন্য পক্ষের হস্তক্ষেপ মোটেই কাম্য নয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী যখন এই বিল উত্থাপন করেছেন, তখন বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে চলেছে। এ রকম একটি বিলের ব্যাপারে সব দলের উপস্থিতিতে এবং বিস্তারিত আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বিলটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই আমরা মনে করি। একই সঙ্গে এই আশঙ্কাও থেকে যায়, বিলটি যেহেতু সাংসদদের আচরণবিধি সম্পর্কে, সেহেতু এটি যেন ফাইলবন্দী হয়ে না যায়। গুরুত্ব দিয়ে এটি সরকারি বিল হিসেবেও সংসদে উত্থাপন করা যেতে পারে। বেসরকারি বিলের আরেকটি সমস্যা হলো, এটি পাস হলেও বাধ্যবাধকতা থাকে না। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে তাঁকে শাস্তি দেওয়া যায় না।
বিলে সাংসদদের আচরণবিধি পালনে যে নৈতিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাও সমর্থনযোগ্য। জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের সীমার মধ্যে কাজ করবেন, ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেবেন—এটাই প্রত্যাশিত। সাংসদদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে প্রশাসনে অন্যায় ও দুর্নীতি প্রশ্রয় পায়। বরং তাঁরা চারিত্রিক গুণাবলি দিয়ে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, যা প্রশাসন তথা দেশ ও জাতির জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আলোচ্য বিলে সাংসদদের যেসব নীতিনৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে সাংসদদের মর্যাদা যেমন বাড়বে, তেমনি সংসদীয় গণতন্ত্রও সুদৃঢ় হবে।
বিলটির উদ্দেশ্য মহত্। এতে যেসব বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাংসদেরা কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী চলবেন এবং ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে কোনো সুপারিশ করতে পারবেন না। নিজের বা পরিবারের সদস্যরা আর্থিক বা বস্তুগত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করবেন না। তাঁরা এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না, যাতে তাঁদের সংসদীয় দায়িত্ব প্রভাবিত হতে পারে।
যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বহু দেশে সাংসদ ও মন্ত্রীদের জন্য আচরণবিধি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিলটি ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখে। এতে যেসব নীতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে, তা যেকোনো দেশের সংসদীয় ব্যবস্থার জন্য অনুসরণীয় হতে পারে। সাংসদদের দায়িত্ব হলো জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে আইন প্রণয়ন করা এবং নির্বাহী বিভাগ যথাযথভাবে সে আইন পালন করছে কি না, তা তদারক করা। সেখানে সাংসদেরা যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে কোনো সুবিধা নেন, কিংবা সুবিধা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন, তাহলে তাঁদের পক্ষে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমাদের সংবিধান নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে এক পক্ষের কাজে অন্য পক্ষের হস্তক্ষেপ মোটেই কাম্য নয়।
সাবের হোসেন চৌধুরী যখন এই বিল উত্থাপন করেছেন, তখন বিরোধী দল সংসদ বর্জন করে চলেছে। এ রকম একটি বিলের ব্যাপারে সব দলের উপস্থিতিতে এবং বিস্তারিত আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বিলটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক বলেই আমরা মনে করি। একই সঙ্গে এই আশঙ্কাও থেকে যায়, বিলটি যেহেতু সাংসদদের আচরণবিধি সম্পর্কে, সেহেতু এটি যেন ফাইলবন্দী হয়ে না যায়। গুরুত্ব দিয়ে এটি সরকারি বিল হিসেবেও সংসদে উত্থাপন করা যেতে পারে। বেসরকারি বিলের আরেকটি সমস্যা হলো, এটি পাস হলেও বাধ্যবাধকতা থাকে না। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে তাঁকে শাস্তি দেওয়া যায় না।
বিলে সাংসদদের আচরণবিধি পালনে যে নৈতিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাও সমর্থনযোগ্য। জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের সীমার মধ্যে কাজ করবেন, ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেবেন—এটাই প্রত্যাশিত। সাংসদদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে প্রশাসনে অন্যায় ও দুর্নীতি প্রশ্রয় পায়। বরং তাঁরা চারিত্রিক গুণাবলি দিয়ে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন, যা প্রশাসন তথা দেশ ও জাতির জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আলোচ্য বিলে সাংসদদের যেসব নীতিনৈতিকতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত হলে সাংসদদের মর্যাদা যেমন বাড়বে, তেমনি সংসদীয় গণতন্ত্রও সুদৃঢ় হবে।
No comments