মাওবাদীদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বান মমতার
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার প্রকাশ্য মাওবাদীদের অস্ত্র ফেলে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে দলীয় এক সমাবেশে তিনি এই আহ্বান জানান।
মমতা বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে আপনারা অস্ত্র সংবরণ করে ফিরে আসুন জীবনের মূলস্রোতে। সবকিছুই করব আপনাদের জন্য। চাকরি, ব্যবসা থেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নানা সুযোগ দেব আপনাদের।’ মমতা বলেন, ‘আমরা আর খুন চাই না, রক্ত চাই না। আমরা শান্তি চাই। আসুন, আগামী সাত দিন পর আমরা শান্তি মিছিল করি।’
সিপিএম মমতাকে মাওবাদীদের ‘ইন্ধনদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে চললেও মমতা এদিন বুঝিয়ে দেন, তিনি সত্যিই চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী সমস্যার দ্রুত সমাধান। তাই মমতা বলেন, ‘মাওবাদীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব আমরা নেব। আমাদের ইউপিএ সরকার নেবে। আপনারা খুনের রাজনীতি ছেড়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।’
এদিকে মমতার এই জনসভা বর্জন করে জঙ্গল মহলের ‘পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটি’। একই দিন ঝাড়গ্রামে এক পাল্টা জনসভা করে তারা ঘোষণা দেয় মমতার জনসভা বর্জন করবে। প্রসঙ্গত, এর আগে মাওবাদীরা মমতাকেই বলেছিল, তারা মমতাকে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। কিন্তু ৯ জানুয়ারি মমতা সংবাদ সম্মেলন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঘোষণা দেন, তাঁর দল হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তাঁরাও মাওবাদীদের হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে, ছত্রধরদের হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধেও। এ সময় মমতা মাওবাদী দমনে রাজ্য সরকারের পরিচালিত যৌথ বাহিনীর অভিযান ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের দমনের ভার তাঁর দল নেবে বলে ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর খেপে যায় ছত্রধর মাহাতো ও তাঁর সমর্থকরা।
মমতা বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে আপনারা অস্ত্র সংবরণ করে ফিরে আসুন জীবনের মূলস্রোতে। সবকিছুই করব আপনাদের জন্য। চাকরি, ব্যবসা থেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার নানা সুযোগ দেব আপনাদের।’ মমতা বলেন, ‘আমরা আর খুন চাই না, রক্ত চাই না। আমরা শান্তি চাই। আসুন, আগামী সাত দিন পর আমরা শান্তি মিছিল করি।’
সিপিএম মমতাকে মাওবাদীদের ‘ইন্ধনদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে চললেও মমতা এদিন বুঝিয়ে দেন, তিনি সত্যিই চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী সমস্যার দ্রুত সমাধান। তাই মমতা বলেন, ‘মাওবাদীদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব আমরা নেব। আমাদের ইউপিএ সরকার নেবে। আপনারা খুনের রাজনীতি ছেড়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।’
এদিকে মমতার এই জনসভা বর্জন করে জঙ্গল মহলের ‘পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটি’। একই দিন ঝাড়গ্রামে এক পাল্টা জনসভা করে তারা ঘোষণা দেয় মমতার জনসভা বর্জন করবে। প্রসঙ্গত, এর আগে মাওবাদীরা মমতাকেই বলেছিল, তারা মমতাকে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। কিন্তু ৯ জানুয়ারি মমতা সংবাদ সম্মেলন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঘোষণা দেন, তাঁর দল হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তাঁরাও মাওবাদীদের হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে, ছত্রধরদের হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধেও। এ সময় মমতা মাওবাদী দমনে রাজ্য সরকারের পরিচালিত যৌথ বাহিনীর অভিযান ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের দমনের ভার তাঁর দল নেবে বলে ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর খেপে যায় ছত্রধর মাহাতো ও তাঁর সমর্থকরা।
No comments