শেয়ারবাজারে বড় দরপতন
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গতকাল বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) একটি অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনাকে।
বাজার সূত্র বলছে, লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্টের মতো বেড়ে যায়। ঠিক এমন সময় এসইসির তদারকি বিভাগ থেকে টেলিফোনে কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে গ্রাহকদের লেনদেনে আর্থিক সমন্বয় সুবিধা বা ফাইন্যান্সিয়াল নেটিং বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসইসির এ নির্দেশের পরপরই এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের গ্রাহকদের শেয়ার বিক্রি করে সমপরিমাণ টাকার বিপরীতে অন্য কোনো শেয়ার না কেনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
সূত্র জানায়, খবরটি মুহূর্তের মধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। ফলে দ্রুতগতিতে সূচক কমতে থাকে। একপর্যায়ে ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৫০ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। এ সময় দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সূচকের পার্থক্য দাঁড়ায় ২০৮ পয়েন্টের বেশি।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, একটি গোষ্ঠীকে কম দামে শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ করে দিতেই এসইসি পরিকল্পিতভাবে বাজার চলাকালে এ ধরনের হস্তক্ষেপ করেছে। তাই সূচক কমলেও রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও সদস্যদের একটি অংশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। এ সময় তাঁরা এসইসির এ ধরনের ভূমিকাকে বাজারের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেন।
যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমদ রশীদ লালী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু লেনদেন চলাকালে বাজারে হস্তক্ষেপ করে সূচক নিয়ন্ত্রণ করবে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
বিষয়টি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, দু-একটি প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের নির্দেশ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এসইসির একটি বৈষম্যমূলক আচরণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এসইসির তদারকি বিভাগ থেকে প্রাইম ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগ এবং লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ও আল-আরাফাহ ব্যাংকের ব্রোকারেজ বিভাগে ফোন করে নেটিং সুবিধা বন্ধ করতে বলা হয়। পরে এসইসির দুজন কর্মকর্তা তাঁদের নির্দেশনা ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কি না, দেখতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেন।
হঠাত্ করে কেন এসইসি এ ধরনের উদ্যোগ নিল তা জানতে বারবার চেষ্টা করেও এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সংস্থাটির সদস্য মনসুর আলম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, এসইসির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
কিন্তু এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা এ উদ্যোগের কথা প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন বাজার যেভাবে বাড়ছিল তাতে কিছুটা মূল্য সংশোধন অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। তাই ওপরের নির্দেশেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল এক হাজার ৪৩৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এটি দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে লেনদেনের নতুন রেকর্ড। এর আগে গত রোববার এক হাজার ৩২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি টাকার শেয়ার। এ হিসাবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। এর আগে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বোচ্চ সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক গতকাল ৯০ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৭০৪-এ নেমে এসেছে। আর সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ২৭২ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭১০ হয়েছে।
বাজার সূত্র বলছে, লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্টের মতো বেড়ে যায়। ঠিক এমন সময় এসইসির তদারকি বিভাগ থেকে টেলিফোনে কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে গ্রাহকদের লেনদেনে আর্থিক সমন্বয় সুবিধা বা ফাইন্যান্সিয়াল নেটিং বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসইসির এ নির্দেশের পরপরই এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের গ্রাহকদের শেয়ার বিক্রি করে সমপরিমাণ টাকার বিপরীতে অন্য কোনো শেয়ার না কেনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
সূত্র জানায়, খবরটি মুহূর্তের মধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। ফলে দ্রুতগতিতে সূচক কমতে থাকে। একপর্যায়ে ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৫০ পয়েন্টের বেশি কমে যায়। এ সময় দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সূচকের পার্থক্য দাঁড়ায় ২০৮ পয়েন্টের বেশি।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, একটি গোষ্ঠীকে কম দামে শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ করে দিতেই এসইসি পরিকল্পিতভাবে বাজার চলাকালে এ ধরনের হস্তক্ষেপ করেছে। তাই সূচক কমলেও রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও সদস্যদের একটি অংশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। এ সময় তাঁরা এসইসির এ ধরনের ভূমিকাকে বাজারের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেন।
যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমদ রশীদ লালী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা চাইলে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু লেনদেন চলাকালে বাজারে হস্তক্ষেপ করে সূচক নিয়ন্ত্রণ করবে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
বিষয়টি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, দু-একটি প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের নির্দেশ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এসইসির একটি বৈষম্যমূলক আচরণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এসইসির তদারকি বিভাগ থেকে প্রাইম ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগ এবং লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ও আল-আরাফাহ ব্যাংকের ব্রোকারেজ বিভাগে ফোন করে নেটিং সুবিধা বন্ধ করতে বলা হয়। পরে এসইসির দুজন কর্মকর্তা তাঁদের নির্দেশনা ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কি না, দেখতে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেন।
হঠাত্ করে কেন এসইসি এ ধরনের উদ্যোগ নিল তা জানতে বারবার চেষ্টা করেও এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সংস্থাটির সদস্য মনসুর আলম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, এসইসির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
কিন্তু এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা এ উদ্যোগের কথা প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন বাজার যেভাবে বাড়ছিল তাতে কিছুটা মূল্য সংশোধন অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। তাই ওপরের নির্দেশেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বাজার পরিস্থিতি: ডিএসইতে গতকাল এক হাজার ৪৩৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এটি দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে লেনদেনের নতুন রেকর্ড। এর আগে গত রোববার এক হাজার ৩২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি টাকার শেয়ার। এ হিসাবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। এর আগে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বোচ্চ সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক গতকাল ৯০ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৭০৪-এ নেমে এসেছে। আর সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ২৭২ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৭১০ হয়েছে।
No comments