দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সমুদ্র বন্দর স্থাপন করার তাগিদ
বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই যৌথভাবে একটি আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রবন্দর স্থাপন ও অভিন্ন বাজার চালু করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হলে শুল্ক, দুর্বল ব্যাংকিং-ব্যবস্থা ও নীতিমালার মতো বাধা অপসারণ করতে হবে।
গতকাল সোমবার ঢাকায় ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতা: যৌথ উদ্যোগ ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ও সার্ক চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি আনিসুল হক। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সার্ক চেম্বারের সদস্য বিদায়ী সভাপতি তারিক সাঈদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এস এ সামাদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে রাজনীতি থেকে অর্থনৈতিক ইস্যু আলাদা করতে হবে। ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এ ধরনের পদ্ধতি অবলম্ব্বন করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে অবকাঠামো খাতে অংশীদা রীর ভিত্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্ন্নয়ন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আবার দেশগুলোতে পারস্পরিক বিনিয়োগে আস্থার অভাব রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে পারস্পরিক বিনিয়োগ বাড়বে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হক বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বৈষম্য রয়েছে। এ কারণে বাণিজ্যে ঘাটতি বাড়ছে। এ অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতিও কমাতে হবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের রাজনৈতিক চিন্তাধারা বদলাতে হবে।
তারিক সাঈদ মূল প্রবন্ধে বলেন, আঞ্চলিক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে একটি বিনিয়োগবিধি হওয়া দরকার। এতে এ অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে।
তারিক সাঈদ আরও বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, দুর্বল অবকাঠামোর কারণে যৌথ বিনিয়োগ হচ্ছে না। এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠিত হওয়ার পরও আঞ্চলিক পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আশির দশকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিজেদের মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ বাণিজ্য করত, ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে বর্তমানে নাফটায় নিজেদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫৪ শতাংশ, আসিয়ান ২৫ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে।
গতকাল সোমবার ঢাকায় ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সহযোগিতা: যৌথ উদ্যোগ ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ও সার্ক চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি আনিসুল হক। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সার্ক চেম্বারের সদস্য বিদায়ী সভাপতি তারিক সাঈদ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এস এ সামাদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে রাজনীতি থেকে অর্থনৈতিক ইস্যু আলাদা করতে হবে। ফিলিপাইন, চীন, ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এ ধরনের পদ্ধতি অবলম্ব্বন করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে অবকাঠামো খাতে অংশীদা রীর ভিত্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্ন্নয়ন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আবার দেশগুলোতে পারস্পরিক বিনিয়োগে আস্থার অভাব রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে উদ্যোক্তাদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে পারস্পরিক বিনিয়োগ বাড়বে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হক বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বৈষম্য রয়েছে। এ কারণে বাণিজ্যে ঘাটতি বাড়ছে। এ অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতিও কমাতে হবে। এ ছাড়া আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের রাজনৈতিক চিন্তাধারা বদলাতে হবে।
তারিক সাঈদ মূল প্রবন্ধে বলেন, আঞ্চলিক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে একটি বিনিয়োগবিধি হওয়া দরকার। এতে এ অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে।
তারিক সাঈদ আরও বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, দুর্বল অবকাঠামোর কারণে যৌথ বিনিয়োগ হচ্ছে না। এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠিত হওয়ার পরও আঞ্চলিক পর্যায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আশির দশকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিজেদের মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ বাণিজ্য করত, ২০০৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে বর্তমানে নাফটায় নিজেদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫৪ শতাংশ, আসিয়ান ২৫ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে।
No comments